এ কে এম মুজাম্মিল হক
এ কে এম মুজাম্মিল হক গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের একজন কর্মী। সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস-ঐতিহ্যের তথ্যানুসন্ধান এবং লোকশিল্প ও কারুশিল্পের উপাদান নিয়ে কাজ করে আসছেন। সৃজনশীল সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সমীক্ষাধর্মী সাংস্কৃতিক গবেষণায় নিবেদিত প্রাণ। লেখালেখির হাতেখড়ি জাতীয় পত্রিকায় ফিচার লেখার মাধ্যমে। মানসিক প্রশান্তিতেই লেখালেখিতে জড়িয়ে পড়া। সেই সুবাদে দক্ষতার সাথে বালোকাফার গবেষণা সম্পাদনার দায়িত্ব পালন। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর শাহবাগ ঢাকায় প্রথম কর্মজীবন। আর সোনারগাঁও জাদুঘরে গাইড লেকচারার- পিআরও হিসেবে। নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি লাইব্রেরিয়ান এবং গবেষণা অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন গবেষণাধর্মী একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এর জনসংযোগের দায়িত্ব পালনে প্রচুর পড়াশুনার সুযোগ হয়। পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি লিখেছেন দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক সমকাল, আমাদের সময়, দৈনিক নয়া দিগন্ত, দৈনিক দেশ জনতা, বাংলাদেশ প্রতিদিন, দৈনিক বর্তমানসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক সংবাদপত্রে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন থেকে তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : ঐতিহাসিক সোনারগাঁ HISTORICAL SONARGAON এবং ব্যক্তিগতভাবে সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক অসংখ্য গ্রন্থ সম্পাদনা করেছেন। তার সম্পাদনায় গতিধারা থেকে সুবর্ণগ্রামের ইতিহাস গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। পারিবারিক : ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে লেখক এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মাতা আলহাজ মেহেরুন নেসা খানম, পিতা আলহাজ মো. আবদুল গফুর খান। মিসেস নাজনীন হক নীরা সহধর্মিণী, কেএম নাজমুল হক প্রিন্স প্রাণাধিক প্রিয় সন্তান। ক্ষণিকের নীড় : সোনারগাঁও ভিলা, বিনোদপুর, রাজবাড়ি পৌরসভা, রাজবাড়ি। তিনি সোনারগাঁও জাদুঘরের একজন অফিসার।