Skip to Content
গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ

Price:

400.00 ৳


Nani A. Palkhivala : A Life
Nani A. Palkhivala : A Life
1,080.00 ৳
1,200.00 ৳ (10% OFF)
বাংলাদেশ : রাজনৈতিক সংস্কৃতি (মাওলা)
বাংলাদেশ : রাজনৈতিক সংস্কৃতি (মাওলা)
440.00 ৳
550.00 ৳ (20% OFF)

গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/12727/image_1920?unique=e07eb1e

400.00 ৳ 400.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্র বিকশিত হতে না পারার প্রধান কারণ হলো ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একদলীয় শাসন কায়েম এবং পরবর্তীতে দেশের রাজনীতিতের সামরিক বাহিনীর হ্স্তক্ষেপ। এদেশের প্রথম কুড়ি বছরের মধ্যে পনের বছরই দু’জন সামরিক প্রধানের অধীনে দেশ পরিচালিত হয়, যেখানে উভয়ের মধ্যে যেমন ছিল সাদৃশ্য তেমনি ছিল বৈসাদৃশ্যও। জিয়া এবং এরশাদের সময় সাংবিধানিক শাসন, লোক প্রশাসন এবং আদালতের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং রাজনীতিতে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়। কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ না করে তাঁর সামরিক আইন বা ডিক্রীর মাধ্যমে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর দেশ শাসনে রাজনীতিবিদদের চাইতে আমলাদের উপর বেশী নির্ভর করেছেন। তখন রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা রাজনীতিবিদদের হাত থেকে আমলা ও টেকনোক্র্যাটদের কাছে চলে যায় । ফলে সামগ্রিক শাসন ব্যবস্থার চরিত্র ও রূপ বদলে যায় এবং দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়। বইটি বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান মওদুদ আহমদ কর্তৃক রচিত একটি অনন্য গ্রন্থ। উল্লেখ্য যে , দেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার পুনঃপতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি উল্লিখিত দুই সরকারেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থেকে মূল্যবান ভূমিকা পালন করেন। সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহে সামরিক শাসকরা কিভাবে দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উপাদানসমূহকে বিনষ্ট করে এই গ্রন্থে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই বইতে লেখক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি চমৎকার চালচিত্র তুলে ধরেছেন। এটা শুভ দিক যে, বাংলাদেশ পুনরায় গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। যদিও এই বিষয়টি এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তবে এই বইতে লিপিবদ্ধ ঘটনা এবং ইস্যুসমূহ বাংলাদেশ ও তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের যাত্রাকে ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

Moudud Ahmed

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ (২৪ মে ১৯৪০ – ১৬ মার্চ ২০২১) ছিলেন একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিএনপির ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম। সাবেক সাংসদ ও অষ্টম জাতীয় সংসদে তিনি আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ২৪ মে ১৯৪০ সালে ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাইবোনের মধ্যে মওদুদ আহমেদ চতুর্থ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্যারিস্টার মওদুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১-এ ইয়াহিয়া খান কর্তৃক আহুত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ছিলেন। ১৯৭৭-৭৯ সালে তিনি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৭৯ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন[৩] এবং তাকে উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮১ সালের মে মাসে জিয়াউর রহমান নিহত হন এবং এক বছরের ভেতর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেন। ১৯৮৫ এর নির্বাচনে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের তথ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এক বছর পর ১৯৮৬ এ তাকে আবার উপ-প্রধানমন্ত্রী করা হয়। ১৯৮৮ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৮৯ সালে তাকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং এরশাদ তাকে উপ-রাষ্ট্রপতি করেন। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকার জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে দেয়। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সালে মওদুদ আহমেদ আবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০১ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।পাঁচবার মওদুদ আহমেদ নোয়াখালী জেলার কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা থেকে নির্বাচিত হন। মওদুদ আহমেদ জিয়াউর রহমানকে বিএনপি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করেন। এই দলের তিনি অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টির সংগঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

Title

গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ

Author

Moudud Ahmed

Publisher

THE UNIVERSITY PRESS LTD.

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Democracy
  • বাংলাদেশে সুষ্ঠুভাবে গণতন্ত্র বিকশিত হতে না পারার প্রধান কারণ হলো ১৯৭৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক একদলীয় শাসন কায়েম এবং পরবর্তীতে দেশের রাজনীতিতের সামরিক বাহিনীর হ্স্তক্ষেপ। এদেশের প্রথম কুড়ি বছরের মধ্যে পনের বছরই দু’জন সামরিক প্রধানের অধীনে দেশ পরিচালিত হয়, যেখানে উভয়ের মধ্যে যেমন ছিল সাদৃশ্য তেমনি ছিল বৈসাদৃশ্যও। জিয়া এবং এরশাদের সময় সাংবিধানিক শাসন, লোক প্রশাসন এবং আদালতের প্রচলিত বিচার ব্যবস্থা ব্যাহত হয় এবং রাজনীতিতে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করা হয়। কোন গণতান্ত্রিক পদ্ধতি অনুসরণ না করে তাঁর সামরিক আইন বা ডিক্রীর মাধ্যমে নিজেদের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর দেশ শাসনে রাজনীতিবিদদের চাইতে আমলাদের উপর বেশী নির্ভর করেছেন। তখন রাষ্ট্রের শাসন ক্ষমতা রাজনীতিবিদদের হাত থেকে আমলা ও টেকনোক্র্যাটদের কাছে চলে যায় । ফলে সামগ্রিক শাসন ব্যবস্থার চরিত্র ও রূপ বদলে যায় এবং দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের সংকট সৃষ্টি হয়। বইটি বাংলাদেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও পার্লামেন্টারিয়ান মওদুদ আহমদ কর্তৃক রচিত একটি অনন্য গ্রন্থ। উল্লেখ্য যে , দেশে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক সরকার পুনঃপতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি উল্লিখিত দুই সরকারেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োজিত থেকে মূল্যবান ভূমিকা পালন করেন। সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশসমূহে সামরিক শাসকরা কিভাবে দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক উপাদানসমূহকে বিনষ্ট করে এই গ্রন্থে সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। পাশাপাশি এই বইতে লেখক বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি চমৎকার চালচিত্র তুলে ধরেছেন। এটা শুভ দিক যে, বাংলাদেশ পুনরায় গণতান্ত্রিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। যদিও এই বিষয়টি এই গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়নি, তবে এই বইতে লিপিবদ্ধ ঘটনা এবং ইস্যুসমূহ বাংলাদেশ ও তৃতীয় বিশ্বের গণতন্ত্রের যাত্রাকে ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।
    No Specifications