ড. এস.এম. মাসুম বিল্লাহ
মাসুম বিল্লাহ জন্মেছেন গ্রামে। স্কুল শিক্ষক বাবার দরাজ কণ্ঠে ফজরের নামাজের পর কোরান তেলাওয়াত শুনে শুনে ঘুম। ভাঙত আর সূর্য অস্ত যেত ক্রিকেটের বল-ব্যাট হাতে । গ্রামের কাদা-জলে কাটানাে শৈশব পেরিয়ে ড. বিল্লাহ এখন বাস করছেন কংক্রিটের নগরে, দেখেছে পৃথিবীর এপ্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত কিন্তু এখনাে বুক পকেটে বহন করছে সেই গ্রাম্য সরলতা, মন এখনাে সিক্ত হয় গ্রামের মাঠের দূর্বা ঘাসের উপর জমে থাকা শিশিরের মত, খুব আলগােছে । শৈশব শেষে আইন পড়তে পাড়ি দিলেন মাগুড়া ছেড়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। আইনের সাথে সেই শুরু প্রেম গাঁথা। কবিতার মত করে আইন বলা, গুছিয়ে প্রেমপত্রের মত করে আইনের নােট লিখে লিখে ছাত্রাবস্থায় ড. বিল্লাহ আইন আর সাহিত্যের ভেতর একটা সেতু এঁটে দিলেন । প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি সেখানেই পেলেন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হলেন। পেলেন স্বর্ণপদক। ঢাকায় কর্ম জীবন শুরু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে, তারপর জগন্নাথের আইন বিভাগে। সাংবাদিকতা করেছেন ডেইলি স্টারেস্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশের ভূমি আইনের ইতিহাস নিয়ে পিএইচডি করেছেন নিউজিল্যান্ডের ভিক্টরিয়া। ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলিংটনে। ড. মিজানের হাতে গড়া হিউম্যান রাইটস সামার স্কুলের পরিচালক হিসেবে দক্ষিণ এশিয় আইনের শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন। মানবাধিকার সংস্কৃতির এক দ্রোহী মশাল । দেশে-বিদেশের বহু জানালে প্রকাশিত হয়েছে প্রবন্ধ। পৃথিবীর নানা প্রান্তে উড়ে যাচ্ছেন আইনের আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে । সংবিধান-আইন-আর রাজনীতি নিয়ে নিয়মিত বলছেন টিভি টক শাে’তে । মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছেন তার বাংলা বা ইংরেজি লেখাতে, আর বচনে। ক্লাসরুম মাতিয়ে রাখেন গল্পে গল্পে। আইনের ভেতর হিউমার মিশিয়ে । ভালবাসেন কবিতা পড়তে, এড়িয়ে যেতে চান তর্ক, চোখ মেলে দেখতে চান আরেকটু সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সব অর্জন ছাপিয়ে মানুষের ভালবাসা পাওয়াই বড় মনে করেন ড. বিল্লাহ। আর আমরা কাছের মানুষ তাঁর থেকে দেখি সদা প্রাণ খােলা হাসিমুখ, হৃদয় খােলা বিনয় । এই তাে আমাদের কাছের মানুষ, ড. বিল্লাহ।