বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোণা জেলার মােহনগঞ্জে জনগ্রহণ করেন। তার পিতা মরহুম ডা. আখলাকুল হােসাইন আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি গণপরিষদ সদস্য হিসেবে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধান রচনায় সক্রিয়। অংশগ্রহণ করেন এবং সংবিধান রচনার পর তাতে স্বাক্ষর প্রদান করেন। বিচাপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতি বিষয়ে এম.এস.এস ডিগ্রি লাভ করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন। বিচারপতি হাসান ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগে অনেক সাংবিধানিক মােকদ্দমা পরিচালনা করেন। বিচারপতি হিসেবে যােগদানের পূর্বে তিনি দেওয়ানি, ফৌজদারি এবং সাংবিধানিক বিষয়াদি সম্পর্কিত মােকদ্দমার। একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধানমন্ডি ল’ কলেজে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ৩০ জুন ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে। যােগদান করেন এবং ৬ জুন ২০১১ খ্রিস্টাব্দে একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়ােগ লাভ করেন। তিনি ২৫ মার্চ ২০১২ খ্রিস্টাব্দে আন্তর্জাতিক অপরাধ। ট্রাইবুনাল ২-এর একজন সদস্য হিসেবে যােগদান করেন এবং ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়ােগপ্রাপ্ত হন। বিচারপতি হাসান অনেক দেশ ভ্রমণ করেছেন। তাঁর একমাত্র পুত্র আহমেদ শাফকাত হাসান আইনবিষয়ক একজন গবেষক। তিনি যুক্তরাজ্যের ইনার টেম্পল থেকে বার-আট-ল করার পর ইউনিভার্সিটি অব ডারহাম থেকে আন্তর্জাতিক আইন বিষয়ে এল,এল,এম ডিগ্রি অর্জন। করেছেন। তাঁর স্ত্রী নাফিসা বানু বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের নির্বাহী বাের্ডের সদস্য (অর্থ) হিসেবে কর্মরত।