Skip to Content
নোয়াখালি ও সন্দ্বীপনের ইতিহাস

Price:

1,300.00 ৳


Atomic Habits by James Clear
Atomic Habits by James Clear
1,618.20 ৳
1,798.00 ৳ (10% OFF)
Hercule Poirot : The Complete Short Stories
Hercule Poirot : The Complete Short Stories
2,100.00 ৳
2,100.00 ৳

নোয়াখালি ও সন্দ্বীপনের ইতিহাস

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/2338/image_1920?unique=8178005

1,300.00 ৳ 1300.0 BDT 1,300.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

জেলা নােয়াখালির জন্ম ১৮৭৬ সালে। কুমিল্লা জেলার কয়েকটি পরগণা নিয়ে গড়ে ওঠে নােয়াখালি। মেঘনা সঙ্গমের উত্তরে বিস্তৃত সমুদ্রতীরবর্তী বদ্বীপগুলির অবস্থানের কারণে জেলার আয়তন বৃদ্ধি পেয়েছে ক্রমে ক্রমে। ত্রিপুরার পাহাড় থেকে নেমে এসেছে মুহুরি নদী। ফেনি নদী বিস্তৃত দক্ষিণপূর্ব কোণে, যা জেলাকে চট্টগ্রাম জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। কুমিল্লার পরগণাগুলি নিয়ে নােয়াখালি জেলার গঠনের সময় দুই জেলার সীমানা নয়া বিন্যাসের প্রয়ােজন হয়ে পড়েছিল। জেলার পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা প্রবাহ জেলার সীমা নির্দেশক। সন্দ্বীপ সুদীর্ঘকাল এই জেলাভুক্ত হলেও, ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে সন্দ্বীপকে চট্টগ্রাম ডিভিশন ভুক্ত করা হয়েছে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছােট ছােট দ্বীপ আছে। এইসব দ্বীপ এখনও নােয়াখালি জেলার অন্তর্গত। সমুদ্রের অবিশ্রাম ভাঙাগড়ার ফলে জেলায় আয়তন কখনও বাড়ে, কখনও কমে। ১৯৫৪ সালে নােয়াখালি জেলার আয়তন ছিল ১৫৩৫ বর্গমাইল। ১৮৭২ সালের আদমসুমারির সময় এই জেলার আয়তন ছিল ১৫৫৭ বর্গমাইল। ১৮৭৫ সালের সরকারি ঘােষণা থেকে জানা যায় তখন ৭৮টি গ্রামের ৭৮ বর্গমাইল ৩৮ একর ভূমি খণ্ডে (জনসংখ্যা ১৬,৭৮৯) ত্রিপুরা থেকে নােয়াখালির সঙ্গে যুক্ত করা হয়। আর নােয়াখালি থেকে ১২০ বর্গমাইল ৫৭ একর বিশিষ্ট ২২টি গ্রাম ত্রিপুরাভুক্ত করা হয়েছিল। ১৮৭৫ সালে চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরা থেকে মীরকশারাই ও ছাগল নাইনয়া থানাকে নােয়াখালি ভুক্ত করা হয়েছিল। নােয়াখালি বলতে এখন কেবলমাত্র নির্দিষ্ট স্থানেই সীমাবদ্ধ নয়; সমগ্র জেলাটি নােয়াখালি নামে পরিচিত। এই নােয়াখালি শব্দটির উৎপত্তি খাল শব্দ থেকে। এই খাল বা স্বাভাবিক জলস্রোত যা সুধারাম শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনার দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে।

Komol Chowdhury

কমল চৌধুরী জন্ম ১৯৩৯ সালে বাংলাদেশের খুলনা জেলায়। ১৯৪৭ সাল থেকেই কলকাতায় বড় হওয়া ও লেখাপড়া শেখা। ১৯৬১ সালে যুগান্তর পত্রিকা। গােষ্ঠীর সাপ্তাহিক ‘অমৃত’ পত্রিকায় যােগ দেন। তারপর থেকে যুগান্তর, অমৃতবাজার পত্রিকা এবং সংবাদ প্রতিদিন-এ চাকরি জীবন কাটিয়ে ২০০২ সাল থেকে দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ সম্পাদনা ও প্রকাশনার, কাজে ব্যস্ত। ১৯৮৭ সালে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপর স্বতন্ত্র দুখানি বই লেখেন—যা। ১৯৯৯ সালে একখণ্ডে চব্বিশ পরগনা-উত্তর-দক্ষিণ-সুন্দরবন’ নামে প্রকাশিত। পরবর্তীকালে দে’জ ইতিহাস গ্রন্থমালায় সম্পাদনা করেছেন—যশােহর খুলনার ইতিহাস (২ খণ্ড), ঢাকার ইতিহাস (২ খণ্ড), বিক্রমপুর- রামপালের। ইতিহাস, বৃহত্তর বাখরগঞ্জের ইতিহাস, সুবর্ণগ্রামের ইতিহাস, দার্জিলিঙের ইতিহাস, কোচবিহারের ইতিহাস, ফরিদপুরের ইতিহাস, নােয়াখালি ও সন্দ্বীপের ইতিহাস, রাজশাহীর ইতিহাস, মেদিনীপুরের ইতিহাস (৩ খণ্ড), চট্টগ্রামের ইতিহাস, মুর্শিদাবাদের ইতিহাস (২ খণ্ড)। সিপাহি বিদ্রোহের ১৫০ বছর, বঙ্গভঙ্গ ও সমকালীন বঙ্গসমাজ,বাঙ্গালার ইতিহাস (২ খণ্ড), সিলেটের ইতিহাস, নদীয়ার ইতিহাস, বীরভূমের ইতিহাস, সাঁওতাল বিদ্রোহ সমাজ ও জীবন, বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস (নগেন্দ্রনাথ বসু) সিরাজদ্দৌলা (অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়), বাঙ্গালার ইতিহাসনবাবী আমল (কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়), মধ্যযুগে বাঙ্গালা (কালীপ্রসন্ন বন্দ্যোপাধ্যায়), গৌড় রাজমালা (রমাপ্রসাদ চন্দ), উত্তরবঙ্গ : ইতিহাস ও ঐতিহ্য, গৌড় লেখমালা (অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়), অগ্রন্থিত অক্ষয়কুমার, এবং অন্যান্য গ্রন্থ। গণ-আন্দোলনের ছয় দশক’ নামে দুটি মূল্যবান গ্রন্থও সম্পাদনা করেছেন। আঞ্চলিক ইতিহাস চর্চার আরও কয়েকখানি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায়।

Title

নোয়াখালি ও সন্দ্বীপনের ইতিহাস

Author

Komol Chowdhury

Publisher

Dey's Publishing House

Number of Pages

772

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • History
  • First Published

    APR 2019

    জেলা নােয়াখালির জন্ম ১৮৭৬ সালে। কুমিল্লা জেলার কয়েকটি পরগণা নিয়ে গড়ে ওঠে নােয়াখালি। মেঘনা সঙ্গমের উত্তরে বিস্তৃত সমুদ্রতীরবর্তী বদ্বীপগুলির অবস্থানের কারণে জেলার আয়তন বৃদ্ধি পেয়েছে ক্রমে ক্রমে। ত্রিপুরার পাহাড় থেকে নেমে এসেছে মুহুরি নদী। ফেনি নদী বিস্তৃত দক্ষিণপূর্ব কোণে, যা জেলাকে চট্টগ্রাম জেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। কুমিল্লার পরগণাগুলি নিয়ে নােয়াখালি জেলার গঠনের সময় দুই জেলার সীমানা নয়া বিন্যাসের প্রয়ােজন হয়ে পড়েছিল। জেলার পশ্চিম দিক দিয়ে প্রবাহিত মেঘনা প্রবাহ জেলার সীমা নির্দেশক। সন্দ্বীপ সুদীর্ঘকাল এই জেলাভুক্ত হলেও, ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে সন্দ্বীপকে চট্টগ্রাম ডিভিশন ভুক্ত করা হয়েছে। সন্দ্বীপ ও হাতিয়ার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছােট ছােট দ্বীপ আছে। এইসব দ্বীপ এখনও নােয়াখালি জেলার অন্তর্গত। সমুদ্রের অবিশ্রাম ভাঙাগড়ার ফলে জেলায় আয়তন কখনও বাড়ে, কখনও কমে। ১৯৫৪ সালে নােয়াখালি জেলার আয়তন ছিল ১৫৩৫ বর্গমাইল। ১৮৭২ সালের আদমসুমারির সময় এই জেলার আয়তন ছিল ১৫৫৭ বর্গমাইল। ১৮৭৫ সালের সরকারি ঘােষণা থেকে জানা যায় তখন ৭৮টি গ্রামের ৭৮ বর্গমাইল ৩৮ একর ভূমি খণ্ডে (জনসংখ্যা ১৬,৭৮৯) ত্রিপুরা থেকে নােয়াখালির সঙ্গে যুক্ত করা হয়। আর নােয়াখালি থেকে ১২০ বর্গমাইল ৫৭ একর বিশিষ্ট ২২টি গ্রাম ত্রিপুরাভুক্ত করা হয়েছিল। ১৮৭৫ সালে চট্টগ্রাম ও ত্রিপুরা থেকে মীরকশারাই ও ছাগল নাইনয়া থানাকে নােয়াখালি ভুক্ত করা হয়েছিল। নােয়াখালি বলতে এখন কেবলমাত্র নির্দিষ্ট স্থানেই সীমাবদ্ধ নয়; সমগ্র জেলাটি নােয়াখালি নামে পরিচিত। এই নােয়াখালি শব্দটির উৎপত্তি খাল শব্দ থেকে। এই খাল বা স্বাভাবিক জলস্রোত যা সুধারাম শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মেঘনার দক্ষিণে প্রবাহিত হয়েছে।
    No Specifications