তেত্রিশ বৎসরের পুলিস কাহিনী বা প্রিয়নাথ জীবনী

দাবােগার দপ্তর’-এর লেখক প্রিয়নাথ মুখােপাধ্যায় একটি আত্মজীবনী লিখেছিলেন। তার নাম তেত্রিশ বৎসরের পুলিশ কাহিনী বা প্রিয়নাথ জীবনী’। গ্রন্থ শুরু হচ্ছে এভাবে, “আমি ৩৩ বৎসর পুলিশ বিভাগে গৰ্য্য করিয়া ইংরাজী ১৯১১ সালের ১৬ই মে তারিখে পেল্স লইয়া পুলিশ বিভাগ হইতে অবসর গ্রহণ করিবার পর, আমার বন্ধুবান্ধবদিগের মধ্যে অনেকে আমাকে বিশেষরূপ উপরােধ করেন যে, এই দীর্ঘকাল পুলিশ বিভাগে আপনি যে সকল কাৰ্য্য করিয়াছেন যতদূর সম্ভব সৰ্ব্বসাধারণের নিকট তাহা প্রকাশ করুন। যেটুকু অংশ আমরা পড়ছি, তা হল প্রিয়নাথের জীবনের প্রথম অংশ। বন্ধুদের অনুরােধ রক্ষার্থেই প্রিয়নাথ কলম তুলে নিয়েছিলেন। পুলিশ বিভাগে দীর্ঘকাল ধরে কাজের। বাদে প্রিয়নাথ অনেক মােকদ্দমার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, অনেক সৎ ও অসৎ লােকের সঙ্গে মিশেছেন। এবং উর্ধ্বতন ও অধস্তন কর্মচারীর সঙ্গে কাজ করেছেন। সেইসব কথা নানা কারণেই প্রকাশযােগ্য নয়। স্তু তিনি কি লিখতে পারেন? ও কি লেখা সম্ভব? প্রিয়নাথ মুখােপাধ্যায় জানাচ্ছেন, ‘আমার বন্ধুবান্ধবগণের মধ্যে আমার জীবনচরিত আমার নিজের মুখে শুনিতে চাহেন। তাঁহাদের অনুরােধ রক্ষা করাও আমার পক্ষে যে কতদূর অসম্ভব তাহা আমি বলিতে পারি না, কারণ আমার বিশ্বাস যে আমার জীবনের মধ্যে এরূপ কোন ষয় নাই, যাহা দ্বারা কাহারও কোনরূপ উপকার হইতে পারে; কিন্তু বন্ধুগণের অনুরােধ রক্ষা না করিলেও চলে না, সুতরাং এই দীর্ঘকালের মধ্যে আমার জীবনে কি কি ঘটনা ঘটিয়াছে, কোন্ মকদ্দামা আমা কর্তৃক পে বৃত হইয়াছে, যতদূর সম্ভব তাহাই লিপিবদ্ধ করিয়া এই পুস্তক ‘প্রিয়নাথ জীবনী’ নামে তাহাদিগের হস্তে প্রদান করিতে প্রবৃত্ত হইলাম।এই অসাধারণ দুষ্প্রাপ্য বই ‘প্রিয়নাথ জীবনী’-তে পাঠক সেই সময়ের মাজচিত্র পাবেন একথা নির্দ্বিধায় বলা যায়।