Skip to Content
দেখা হইল চক্ষু মেলিয়া

Price:

500.00 ৳


জয়ন্তী মৌচাক
জয়ন্তী মৌচাক
500.00 ৳
500.00 ৳
Selected Poems (Joy Goswami)
Selected Poems (Joy Goswami)
700.00 ৳
700.00 ৳

দেখা হইল চক্ষু মেলিয়া

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/13500/image_1920?unique=20d6fc2

500.00 ৳ 500.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

কোমর বা কাঁখ পর্যন্ত জলে ডোবা এই গাছগুলো, হিজল ও তমাল তাদের ছড়ানো ডালপালা বিশেষ করে শুকনো হওয়া ডালগুলোর এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য তৈরি হয়েছে রাতারগুলে। শৈশবে দেখেছি ভরাবর্ষার দিনগুলোয় মামাবাড়ির গ্রামীণ বনের গাছপালাগুলো এভাবেই ডুবে যেত বন্যাজলে। পরিবেশ ও দৃশ্য আমার অচেনা নয় একেবারে। হয়তো এতটা গভীরতা নয়, সে বৃক্ষাবলির ভেতর হিজল, তমালও ছিল, তবে রাতারগুল নিরবচ্ছিন্ন জলসাম্রাজ্য আর ঘন গাছপালা নিয়ে আলাদা সৌন্দর্যের তো বটেই। তবে, সৈয়দ মুজতবা আলীর কথা ধার নিয়েই বলি, এ নিয়ে গুলবাজদের এত গুল শুনেছি, তারা কখনও কখনও গুল মোহাম্মদ বা গুলজারি লাল নন্দও হয়েছে, কিংবা কখনও বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রতিভাত হয়েছে ডিউক অব গুলস্টার কিংবা দ্য গুল হিসেবে, কিন্তু তারা যে গুলমগীর হতে পারেনি তা নিয়ে আমি নিঃসংশয়। তারা গুলমহলও বানাতে পারেনি, কেননা রাতারগুল পুনরাবৃত্তিমূলক, এখানে নব নব সৌন্দর্যের উন্মোচন নেই। জানিনা ৯৭২ একরের দূর দূর প্রান্তে আর কী কী রহস্য আছে তবে এখানকার মাঝিরা পর্যটকদের একটি নির্দিষ্ট জলবেষ্টিত এলাকার ভেতরেই ঘোরায়, ফটো স্টুডিওগুলো এখানেই, বাঁদরের নাচানাচি আর সংগীতসাধনা এই সীমিত অঞ্চলের ভেতরে কেবলি ঘুরপাক খায়। মাঝি জানাল বছরব্যাপী রাতারগুলে পানি থাকে। শুকনো মৌসুমে অবশ্য কিছু জায়গা শুকিয়ে যায়, তখন নেমে হাঁটাচলাও করা যায়।

Kamrul Hassan

কামরুল হাসান জন্ম২২শে ডিসেম্বর, ১৯৬১। শৈশব ও কৈশাের কাটে শরীয়তপুরে। মামাবাড়ির উদার ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে তার বিকাশ। ছাত্রজীবনে মেধাবী কামরুল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মেধা তালিকায় স্থানলাভ করেছিলেন। চিকিৎসক হবার আকাঙ্ক্ষায় ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। নিতান্ত আবেগতাড়িত হয়ে মেডিকেল পড়াশােনা ছেড়ে সরকারি বৃত্তি নিয়ে চলে যান ভারতে। সেখানকার বিখ্যাত আইআইটি খড়গপুরে অধ্যয়ন করেন বিমান প্রকৌশলবিদ্যায়। পরবর্তী পড়াশােনা ব্যবসায় প্রশাসনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ। এ ছাড়া তিনি যুক্তরাজ্যের দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কর্মজীবনের শুরুতে যােগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশ বিমানে, প্রকৌশল প্রশিক্ষক হিসেবে। বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপক হিসেবে। বহুবার চাকরি বদল করে উপলব্ধি করেন। কর্পোরেট জগতে তিনি বেমানান। তখন যােগ দেন শিক্ষকতায়। ভ্রমণপিপাসু কামরুল হাসানের প্রথম ভ্রমণকথা বিলেতের দিনলিপি। উজবেকিস্তান ভ্রমণের উপর লিখেছেন আমির তিমুরের দেশে। জীবনসঙ্গী লুবনা হাসান ও বিশ্ববিদ্যালয়গামী চার সন্তান নিয়ে তার সংসার।

Title

দেখা হইল চক্ষু মেলিয়া

Author

Kamrul Hassan

Publisher

Banglaprakash (a concern of Omicon Group)

Number of Pages

216

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Memoir
  • Travel
  • First Published

    FEB 2024

    কোমর বা কাঁখ পর্যন্ত জলে ডোবা এই গাছগুলো, হিজল ও তমাল তাদের ছড়ানো ডালপালা বিশেষ করে শুকনো হওয়া ডালগুলোর এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য তৈরি হয়েছে রাতারগুলে। শৈশবে দেখেছি ভরাবর্ষার দিনগুলোয় মামাবাড়ির গ্রামীণ বনের গাছপালাগুলো এভাবেই ডুবে যেত বন্যাজলে। পরিবেশ ও দৃশ্য আমার অচেনা নয় একেবারে। হয়তো এতটা গভীরতা নয়, সে বৃক্ষাবলির ভেতর হিজল, তমালও ছিল, তবে রাতারগুল নিরবচ্ছিন্ন জলসাম্রাজ্য আর ঘন গাছপালা নিয়ে আলাদা সৌন্দর্যের তো বটেই। তবে, সৈয়দ মুজতবা আলীর কথা ধার নিয়েই বলি, এ নিয়ে গুলবাজদের এত গুল শুনেছি, তারা কখনও কখনও গুল মোহাম্মদ বা গুলজারি লাল নন্দও হয়েছে, কিংবা কখনও বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রতিভাত হয়েছে ডিউক অব গুলস্টার কিংবা দ্য গুল হিসেবে, কিন্তু তারা যে গুলমগীর হতে পারেনি তা নিয়ে আমি নিঃসংশয়। তারা গুলমহলও বানাতে পারেনি, কেননা রাতারগুল পুনরাবৃত্তিমূলক, এখানে নব নব সৌন্দর্যের উন্মোচন নেই। জানিনা ৯৭২ একরের দূর দূর প্রান্তে আর কী কী রহস্য আছে তবে এখানকার মাঝিরা পর্যটকদের একটি নির্দিষ্ট জলবেষ্টিত এলাকার ভেতরেই ঘোরায়, ফটো স্টুডিওগুলো এখানেই, বাঁদরের নাচানাচি আর সংগীতসাধনা এই সীমিত অঞ্চলের ভেতরে কেবলি ঘুরপাক খায়। মাঝি জানাল বছরব্যাপী রাতারগুলে পানি থাকে। শুকনো মৌসুমে অবশ্য কিছু জায়গা শুকিয়ে যায়, তখন নেমে হাঁটাচলাও করা যায়।
    No Specifications