Skip to Content
বাংলাদেশ ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়

Price:

550.00 ৳


জয়ন্তী মৌচাক
জয়ন্তী মৌচাক
500.00 ৳
500.00 ৳
Selected Poems (Joy Goswami)
Selected Poems (Joy Goswami)
700.00 ৳
700.00 ৳

বাংলাদেশ ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/14593/image_1920?unique=ef5deb1

550.00 ৳ 550.0 BDT 550.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী যখন ঘুমন্ত । বাঙালি জাতির উপর পরিকল্পিত গণহত্যা চালায় তখন মােনায়েম সরকার তা স্বচক্ষে দেখেছেন। সেই রাতে তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সাইন্স ল্যাবরেটরি (এলিফ্যান্ট রােড) এলাকাতে তার এক। আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। মধ্যরাতে গুলির আওয়াজ আর আগুনের আলােতে। তার ঘুম ভেঙে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও তার আশেপাশের বস্তিতে সেদিন কী তাণ্ডব চলছিল তা বুঝে নিতে তার এতটুকু অসুবিধা হয়নি। ২৬ মার্চ শুক্রবার কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা। হয়। তখন অধ্যাপক গৌরাঙ্গ প্রসাদ মিত্রের মােটর। সাইকেলে করে প্রথমেই যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। জগন্নাথ হলে। সেখানে গিয়ে যা দেখেন তা। বর্ণনাতীত। বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ, গুলির চিহ্ন। এক জায়গায় দেখেন মাটি ঢিপি দিয়ে রাখা। তখন। গণকবর শব্দটি তার মাথায় ছিল না। পরে জেনেছেন যেটাকে তিনি প্রথম মাটির ঢিপি ভেবেছিলাম- ওটা ছিল জগন্নাথ হলের শহিদদের গণকবর। ২৫ মার্চ। রাতে পুরাে ঢাকা শহর এক মৃতপুরীতে পরিণত হয়েছিল। ১৯৮১ সালে জাতিসংঘের সার্বজনীন। মানবাধিকার ঘােষণায় উল্লেখ করা হয়, একাত্তরের। বাংলাদেশে এত অল্প সময়ে যে বিপুল সংখ্যক। মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তেমনটি ইতিহাসে আর কোনাে গণহত্যার বেলায় ঘটেনি। ওই সময় গড়ে। প্রতিদিন ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার বাঙালিকে হত্যা। করা হয়। গণহত্যার ইতিহাসে এটি দৈনিক গড়। হত্যাকা-ের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে। ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাক। এটি এখন সময়ের দাবি।। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা। দেখেছেন তাদের উচিত আগামী প্রজন্মের জন্য এই সব ইতিহাস সংরক্ষণ করে যাওয়া। সেই দায়বােধ। থেকেই নতুন প্রজন্মের জন্য এই গ্রন্থ সংকলন করেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযােদ্ধা মােনায়েম। সরকার। আশাকরি নতুন জন্ম আদরের সঙ্গেই গ্রন্থটি। গ্রহণ করবে।

Monaem Sarker

মোনায়েম সরকার ১৯৪৫ সালের ৩০ মার্চ কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার ফতেহাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। রাজনীতিতে হাতে খড়ি স্কুল জীবন থেকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৭ সালে কৃতিত্বের সাথে ফলিত পদার্থ বিজ্ঞানে এম.এসসি. ডিগ্রি লাভ করার পর বাম রাজনীতির টানেই তিনি সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক কর্মীর জীবন বেছে নেন। তিনি ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি ও ন্যাপের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর মোনায়েম সরকার বাংলাদেশে স্বাধীনতার ধারা ও মূল্যবোধ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনমত গড়ে তোলেন যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। পঁচাত্তর পরবর্তী প্রায় ৪ বছর প্রবাস জীবনে তিনি শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী, পি.এন. হাকসার, ভূপেন গুপ্ত, রমেশ চন্দ্র, রাজেশ্বর রাও, ভি.টি. রনধিকে, অধ্যাপক শান্তিময় রায়, গণেশ ঘোষ, মন্মথ নাথ গুপ্ত প্রমুখ বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও সংস্কৃতি ও সাহিত্যক্ষেত্রেও তাঁর পদচারণা অবারিত। তিনি উদীচীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থগুলি হলো : বাংলাদেশে বিপ্লবী গণতন্ত্রীদের উত্থান অনিবার্য (১৯৮৭), রক্তমাখা বুক জুড়ে স্বদেশের ছবি (১৯৮২), বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র বিকাশে ঐক্য অপরিহার্য (১৯৯১), ইতিহাসের আলোকে বাঙালি জাতীয়তার বিকাশ ও বঙ্গবন্ধু (১৯৯২), জাতীয় বিকাশের মূলস্রোত বনাম তৃতীয় ধারা (১৯৯২), গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠান বামপন্থীদের করণীয় (১৯৯২), বামপন্থীদের সঙ্কট ও বাংলাদেশের রাজনীতি (১৯৯৩), ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু (১৯৯৪), মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব (১৯৯৫), বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (১৯৯৬), জাতীয় চার নেতা স্মারকগ্রন্থ (১৯৯৬), বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাস (যৌথভাবে) (১৯৯৭), স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী স্মারকগ্রন্থ (১৯৯৭), শেখ মুজিব একটি লাল গোলাপ (১৯৯৮), বাঙালি বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু (২০০০), বহতা নদীর মত আওয়ামী লীগ (২০০০), বাঙালির কণ্ঠ (২০০১), একজন রাজনৈতিক কর্মীর প্রতিচ্ছবি (২০০৩), যুক্তফ্রণ্ট থেকে মহাজোট (২০০৭), জাগো বাঙালি কোন্ঠে সবায় (২০০৭), স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রণ্ট : চুয়ান্নর অভিজ্ঞতা (৫৪-র নির্বাচনের অপ্রকাশিত দলিল), জেগে ওঠার সময় এখনই (২০০৭), বাংলা একাডেমী কর্তৃক মোনায়েম সরকারের সম্পাদনায় প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ বঙ্গবন্ধুর জীবনী গ্রন্থ (দুই খণ্ডে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জীবন ও রাজনীতি (২০০৮), রাজনীতির চালচিত্র (২০০৮), বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ণের সমস্যা ও সম্ভাবনা (২০০৯), খবভঃ উবসড়পৎধঃরপ ঐঁসধহব ডড়ৎষফ ঙৎফবৎ (২০০৯), মোনায়েম সরকারের নির্বাচিত রাজনৈতিক রচনা (২০০৯), সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি (২০১০), বাঙালির ঐতিহ্য ও ভবিষ্যৎ (২০১০), টহরঃবফ ঘধঃরড়হং ধহফ এষড়নধষ ঈৎরংবং (২০১০), বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি ও শেখ হাসিনা (২০১১), বাংলাদেশের মূলধারার রাজনীতির সংকট ও সম্ভাবনা (২০১১) ইত্যাদি। সাপ্তাহিক যুগবাণী, নতুন বাংলা, দেশবন্ধু ও মৃদুভাষণ প্রকাশনা-সম্পাদনার কাজে চার দশক শ্রম ও মেধা দিয়ে অবদান রাখেন। বর্তমানে তিনি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ-এর মহাপরিচালক।

Title

বাংলাদেশ ২৫ মার্চ গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়

Author

Monaem Sarker

Publisher

Parijat Prokashani

Number of Pages

280

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Genocide
  • Liberation War
  • First Published

    FEB 2018

    ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি বর্বর বাহিনী যখন ঘুমন্ত । বাঙালি জাতির উপর পরিকল্পিত গণহত্যা চালায় তখন মােনায়েম সরকার তা স্বচক্ষে দেখেছেন। সেই রাতে তিনি উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সাইন্স ল্যাবরেটরি (এলিফ্যান্ট রােড) এলাকাতে তার এক। আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন। মধ্যরাতে গুলির আওয়াজ আর আগুনের আলােতে। তার ঘুম ভেঙে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ও তার আশেপাশের বস্তিতে সেদিন কী তাণ্ডব চলছিল তা বুঝে নিতে তার এতটুকু অসুবিধা হয়নি। ২৬ মার্চ শুক্রবার কয়েক ঘণ্টার জন্য কারফিউ শিথিল করা। হয়। তখন অধ্যাপক গৌরাঙ্গ প্রসাদ মিত্রের মােটর। সাইকেলে করে প্রথমেই যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। জগন্নাথ হলে। সেখানে গিয়ে যা দেখেন তা। বর্ণনাতীত। বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ, গুলির চিহ্ন। এক জায়গায় দেখেন মাটি ঢিপি দিয়ে রাখা। তখন। গণকবর শব্দটি তার মাথায় ছিল না। পরে জেনেছেন যেটাকে তিনি প্রথম মাটির ঢিপি ভেবেছিলাম- ওটা ছিল জগন্নাথ হলের শহিদদের গণকবর। ২৫ মার্চ। রাতে পুরাে ঢাকা শহর এক মৃতপুরীতে পরিণত হয়েছিল। ১৯৮১ সালে জাতিসংঘের সার্বজনীন। মানবাধিকার ঘােষণায় উল্লেখ করা হয়, একাত্তরের। বাংলাদেশে এত অল্প সময়ে যে বিপুল সংখ্যক। মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তেমনটি ইতিহাসে আর কোনাে গণহত্যার বেলায় ঘটেনি। ওই সময় গড়ে। প্রতিদিন ৬ হাজার থেকে ১২ হাজার বাঙালিকে হত্যা। করা হয়। গণহত্যার ইতিহাসে এটি দৈনিক গড়। হত্যাকা-ের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে। ২৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণহত্যা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাক। এটি এখন সময়ের দাবি।। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ভয়াবহতা। দেখেছেন তাদের উচিত আগামী প্রজন্মের জন্য এই সব ইতিহাস সংরক্ষণ করে যাওয়া। সেই দায়বােধ। থেকেই নতুন প্রজন্মের জন্য এই গ্রন্থ সংকলন করেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযােদ্ধা মােনায়েম। সরকার। আশাকরি নতুন জন্ম আদরের সঙ্গেই গ্রন্থটি। গ্রহণ করবে।
    No Specifications