Skip to Content
প্রান্তজনের গল্প

Price:

695.00 ৳


The Power of Positive Thinking
The Power of Positive Thinking
405.00 ৳
405.00 ৳
আমাদের নাতিপোতা গ্রামের ইতিহাস
আমাদের নাতিপোতা গ্রামের ইতিহাস
280.00 ৳
350.00 ৳ (20% OFF)

প্রান্তজনের গল্প

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/276/image_1920?unique=0fec06c

695.00 ৳ 695.0 BDT 695.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

harishankar Jaladas pranto joner Golpo prantojoner golpo প্রান্তজনের গল্প

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

ব্রাত্য মানুষদের নিয়ে যতগুলো ছোটগল্প আছে হরিশংকর জলদাসের, তাদের সবটা নিয়েই এই গল্পসংকলন- ‘প্রান্তজনের গল্প’।প্রান্তজন কারা? সমাজের একেবারে প্রান্তে যারা বাস করে, তারাই প্রান্তজন। এটা অভিধানের কথা। ভদ্র-শিক্ষিত সমাজ মানুষের দেওয়া অভিধাটা কী? ছোটলোক, ছোটজাত, নীচ বংশ, পতিত, সংস্কারহীন, আচারভ্রষ্টা- এসব। বর্ণগরিমায় বিভোর সনাতনধর্ম তো গত হাজার হাজার বছর ধরে বলেই আসছে- ব্রাহ্মণরা নরোত্তম, শূদ্ররা নরাধম! ‘মনুসংহিতা’য় বলা হয়েছে- শূদ্রাধমও আছে। এরা নমঃশূদ্র। ডোম, মেথর, ব্যাধ, জেলে, ধোপা, মুচি, গণিকা- এরা শূদ্রাধম। তাই ওরা নরাধমও। এদের নিয়েই হরিশংকরের লেখালেখি। তিনি নিজেও এরকম একটা ইতর (!) জাতে জন্মেছেন। তাই লিখতে বসলেন যখন, নিষাদ-কৈবর্ত-কোটনা-বেশ্যা-ভিক্ষুক-মেথর-চর্মকার তাঁর কলমে এসে ভর করল। সমাজে এরাই কি শুধু প্রান্তজন? নির্যাতিত গৃহবধূ, লাঞ্ছিত গৃহকর্মী, ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী, সহায়হীন ভিক্ষুক- এরা কি প্রান্তজন নয়! হ্যাঁ, ওরাও একধরনের প্রান্তজন। প্রান্তজনই শুধু অচ্ছুত আর অপাঙ্ক্তেয় নয়, উঁচুজাতের ভদ্র-শিক্ষিত পরিবারেও এই প্রান্তমানুষদের দেখা মিলে। ‘ক্ষরণ’ গল্পের দেবর্ষি, ‘চিঠির দরিদ্রকৃষকের কালাকোলা মেয়েটি, ‘রতন’-এর রতন, ‘ভিখারি’র ভিক্ষুকটি, ‘তিতাসপাড়ের উপাখ্যানে’র অদ্বৈত মল্লবর্মণ, ‘একটি হাত, ডান হাত’-এর একলব্য- এদের প্রতিপ্রত্যেকে প্রান্তজন। ‘একজন জলদাসীর গল্প’, ‘কুন্তীর বস্ত্রহরণ’, ‘হুড়কো’, ‘মোহনা’, ‘খিদে’- এসবগল্প পাঠককে এক একটি জীবনজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড় করাবে। বাঙালিজীবনের দ্ব›দ্ব-বিদ্বেষ, প্রীতি-প্রতিবাদ হরিশংকরের গল্পের বিষয়-আশয়। সবকিছুকে ছাপিয়ে মানবিক মূল্যবোধই তাঁর গল্পে তীব্র হয়ে উঠে। ‘প্রান্তজনের গল্প’গুলো পাঠ করতে করতে পাঠক তা অনুভব করবেন।

Harisankar Jaladas

হরিশংকর জলদাস প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হরিশংকর জলদাস ১৯৫৫ সালের ১২ই অক্টোবর বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগের উত্তর পতেঙ্গা গ্রামের এক জেলে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা যুধিষ্ঠির জলদাস পেশায় ছিলেন একজন জেলে। ফলে আর্থিক অভাব অনটন আর অর্থনৈতিক টানাপোড়েনই ছিল হরিশংকরের বেড়ে ওঠার সঙ্গী। হরিশংকর জলদাসের শৈশব-কৈশোর কাটে পতেঙ্গার কৈবর্তপাড়ায়। তার বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে জেলের জীবনযুদ্ধে না জড়িয়ে শিক্ষিত করবেন যেন ছেলে সম্মানের জীবনযাপন করতে পারে। হরিশংকরের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু হয় দেবেন্দ্রলাল দে’র আদাবস্যার নামের এক পাঠশালায়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে তিনি ভর্তি হন পতেঙ্গা বোর্ড প্রাইমারি স্কুলে। ১৯৭১ সালে পতেঙ্গা হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাস করেন। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক সম্পন্ন করেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করে বাবার স্বপ্ন পূরণে আরো একধাপ এগিয়ে যান হরিশংকর। 'জাইল্যা' ঘরের সন্তান বলে তাকে বিভিন্ন সময়ে অপমানিত হতে হয়েছে, শুনতে হয়েছে ‘জাওলার ছাওয়াল’ কটুক্তি। সেই কথার উচিত জবাব দিতে তিনি ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ‘নদীভিত্তিক বাংলা উপন্যাস ও কৈবর্ত জনজীবন’ বিষয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এখানে তিনি জেলেদের জীবনের সকল আনন্দ-বেদনা, উৎপত্তি-বিকাশ, তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবন ইত্যাদি তুলে ধরেন। পেশাগত জীবনে হরিশংকর জলদাস চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান। কিন্তু কর্মজীবনের শুরুতে অভাবের দিনগুলোতে তিনি দিনে শিক্ষকতা এবং রাতে বাবার সাথে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতেন। ৪৭ বছর বয়সে তিনি তার প্রথম উপন্যাস ‘জলপুত্র’ লেখেন। এরপর, ক্রমাগত বাজারে আসতে থাকে হরিশংকর জলদাসের নতুন বই। হরিশংকর জলদাসের বইগুলোতে সবসময়ই উঠে এসেছে নিপীড়িত, প্রান্তিক এবং নিচুতলার মানুষের কথা। হরিশংকর জলদাসের উপন্যাসসমগ্র সমৃদ্ধ হয়েছে ‘আমি মৃণালিনী নই’, ‘হৃদয়নদী, ‘রামগোলাম’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ইত্যাদি চমৎকার উপন্যাসের মাধ্যমে। হরিশংকর জলদাসের ছোটগল্প ‘লুচ্চা’, ‘জলদাসীর গল্প’, ‘মাকাল লতা’ প্রভৃতিও পাঠকপ্রিয়। এছাড়া দুটি আত্মজীবনী রচনা করেছেন তিনি। ‘কসবি’, ‘দহনকাল’, ‘জলপুত্র’ হরিশংকর জলদাস এর সেরা বই। মধ্যবয়সে লেখা শুরু করলেও সাহিত্যকর্মে নতুন মাত্রা যোগ করায় তিনি বহু পুরস্কার অর্জন করেছেন। ২০১১ সালে ‘প্রথম আলো বর্ষসেরা পুরস্কার’ (দহনকাল), ২০১৩ সালে ‘আলাওল সাহিত্য পুরস্কার’ (জলপুত্র), ‘ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার’ (প্রতিদ্বন্দ্বী), ‘বাংলা অ্যাকাডেমি পুরষ্কার’, ‘সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার’ সহ ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৯ সালে তিনি পেয়েছেন ‘একুশে পদক’।

Title

প্রান্তজনের গল্প

Author

Harisankar Jaladas

Publisher

Shamabesh

Number of Pages

364

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Story
  • First Published

    FEB 2021

    ব্রাত্য মানুষদের নিয়ে যতগুলো ছোটগল্প আছে হরিশংকর জলদাসের, তাদের সবটা নিয়েই এই গল্পসংকলন- ‘প্রান্তজনের গল্প’।প্রান্তজন কারা? সমাজের একেবারে প্রান্তে যারা বাস করে, তারাই প্রান্তজন। এটা অভিধানের কথা। ভদ্র-শিক্ষিত সমাজ মানুষের দেওয়া অভিধাটা কী? ছোটলোক, ছোটজাত, নীচ বংশ, পতিত, সংস্কারহীন, আচারভ্রষ্টা- এসব। বর্ণগরিমায় বিভোর সনাতনধর্ম তো গত হাজার হাজার বছর ধরে বলেই আসছে- ব্রাহ্মণরা নরোত্তম, শূদ্ররা নরাধম! ‘মনুসংহিতা’য় বলা হয়েছে- শূদ্রাধমও আছে। এরা নমঃশূদ্র। ডোম, মেথর, ব্যাধ, জেলে, ধোপা, মুচি, গণিকা- এরা শূদ্রাধম। তাই ওরা নরাধমও। এদের নিয়েই হরিশংকরের লেখালেখি। তিনি নিজেও এরকম একটা ইতর (!) জাতে জন্মেছেন। তাই লিখতে বসলেন যখন, নিষাদ-কৈবর্ত-কোটনা-বেশ্যা-ভিক্ষুক-মেথর-চর্মকার তাঁর কলমে এসে ভর করল। সমাজে এরাই কি শুধু প্রান্তজন? নির্যাতিত গৃহবধূ, লাঞ্ছিত গৃহকর্মী, ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী, সহায়হীন ভিক্ষুক- এরা কি প্রান্তজন নয়! হ্যাঁ, ওরাও একধরনের প্রান্তজন। প্রান্তজনই শুধু অচ্ছুত আর অপাঙ্ক্তেয় নয়, উঁচুজাতের ভদ্র-শিক্ষিত পরিবারেও এই প্রান্তমানুষদের দেখা মিলে। ‘ক্ষরণ’ গল্পের দেবর্ষি, ‘চিঠির দরিদ্রকৃষকের কালাকোলা মেয়েটি, ‘রতন’-এর রতন, ‘ভিখারি’র ভিক্ষুকটি, ‘তিতাসপাড়ের উপাখ্যানে’র অদ্বৈত মল্লবর্মণ, ‘একটি হাত, ডান হাত’-এর একলব্য- এদের প্রতিপ্রত্যেকে প্রান্তজন। ‘একজন জলদাসীর গল্প’, ‘কুন্তীর বস্ত্রহরণ’, ‘হুড়কো’, ‘মোহনা’, ‘খিদে’- এসবগল্প পাঠককে এক একটি জীবনজিজ্ঞাসার মুখোমুখি দাঁড় করাবে। বাঙালিজীবনের দ্ব›দ্ব-বিদ্বেষ, প্রীতি-প্রতিবাদ হরিশংকরের গল্পের বিষয়-আশয়। সবকিছুকে ছাপিয়ে মানবিক মূল্যবোধই তাঁর গল্পে তীব্র হয়ে উঠে। ‘প্রান্তজনের গল্প’গুলো পাঠ করতে করতে পাঠক তা অনুভব করবেন।
    No Specifications