Skip to Content
দিনপঞ্জি মনপঞ্জি ডাকঘর

Price:

600.00 ৳


জয়ন্তী মৌচাক
জয়ন্তী মৌচাক
500.00 ৳
500.00 ৳
Selected Poems (Joy Goswami)
Selected Poems (Joy Goswami)
700.00 ৳
700.00 ৳

দিনপঞ্জি মনপঞ্জি ডাকঘর

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/13460/image_1920?unique=f476e7e

600.00 ৳ 600.0 BDT 600.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

১৯৪৯ সালের ৯ মার্চ পাকিস্তান সরকারের পুলিশ মুনীর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। নাট্যকর্মী লিলি চৌধুরীর (তখন লিলি মির্জা) সঙ্গে তখন তাঁর এতটা গভীর প্রণয় যে, একজন আরেকজনকে না দেখে থাকতে পারেন না। তাঁদের বিয়েও প্রায় পাকা। জেলে থাকার কারণে তাদের মধ্যে তৈরি হলাে বিচ্ছেদ। মুনীর চৌধুরী তখন লিলি চৌধুরীকে উদ্দেশ করে লেখেন তার ‘দিনপঞ্জি-মনপঞ্জি'। এর প্রথম অংশে আছে দিনলিপি এবং দ্বিতীয় অংশে ‘জটিলতা’ শীর্ষক একটি গল্পের ভেতর দিয়ে তার মনােবাসনার উপস্থাপন এ রচনায়। কারাবাসের যন্ত্রণার চেয়ে বিচ্ছেদের বেদনাই প্রকাশ পেয়েছে বেশি। পক্ষান্তরে লিলি চৌধুরী তখন বাবার বাড়িতে থেকে একই বিচ্ছেদ-যন্ত্রণা ভােগ করেছেন আর মুনীর চৌধুরীকে উদ্দেশ করে লিখেছেন ‘ডাকঘর’ । আজ থেকে ৬৫ বছর আগে, ২৪ বছর বয়সী মুনীর চৌধুরী এবং ২১ বছর বয়সী লিলি চৌধুরী ডায়েরিতে তাদের বিরহের যে বেদনা লিপিবদ্ধ করেছেন, আজও তা অত্যন্ত প্রাণময়। এ গ্রন্থটির পাঠ হবে পাঠকের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা।

Munir Chowdhury

মুনীর চৌধুরী আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী (২৭ নভেম্বর ১৯২৫ - ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১) একজন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক, ভাষাবিজ্ঞানী, বাগ্মী এবং শহিদ বুদ্ধিজীবী। তিনি তৎকালীন ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস নোয়াখালী জেলার চাটখিল থানাধীন গোপাইরবাগ গ্রামে। তিনি ছিলেন ইংরেজ আমলের একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খান বাহাদুর আবদুল হালিম চৌধুরীর চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়। কবীর চৌধুরী তাঁর অগ্রজ, ফেরদৌসী মজুমদার তাঁর অনুজা। ১৯৪৯-এ লিলি চৌধুরীর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মুনীর চৌধুরী ১৯৪১ সালে ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল (বর্তমান ঢাকা কলেজ) থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাস করেন এবং ১৯৪৩ সালে আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে আইএসসি পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স (১৯৪৬) এবং মাস্টার্স (১৯৪৭) পাস করেন, উভয় ক্ষেত্রেই দ্বিতীয় শ্রেণীতে। তিনি ছিলেন সলিমুল্লাহ হলের আবাসিক ছাত্র। বক্তৃতানৈপুণ্যের সুবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রজীবনের প্রথম বছরেই, ১৯৪৩ সালে, হলের সেরা বক্তা হিসেবে প্রোভোস্ট্স কাপ জেতেন। ১৯৪৬ সালে নিখিল বঙ্গ সাহিত্য প্রতিযোগিতায় সর্বাধিক সংখ্যক পুরস্কার জেতেন। ১৯৪৯ সালে মুনীর চৌধুরী খুলনার ব্রজলাল কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। সেখানে তিনি কিছুদিন বাংলাও পড়িয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে মুহম্মদ আবদুল হাই অকালে মৃত্যুবরণ করলে তাঁর স্থানে মুনীর চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান হন। ১৯৭০ সালের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত একটি ভাষাতাত্ত্বিক সম্মেলনে যোগ দিতে যান। মুনীর চৌধুরী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে পাকিস্তান সরকারের হাতে বন্দী হন। বন্দী থাকা অবস্থায় তিনি তাঁর বিখ্যাত নাটক কবর রচনা করেন (১৯৫৩)। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের যে কোন ধরনের সংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। ১৯৬৬ সালে রেডিও ও টেলিভিশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান প্রচারে পাকিস্তান সরকারের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেন। ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সরকার বাংলা বর্ণমালাকে রোমান বর্ণমালা দিয়ে সংস্কারের উদ্যোগ নিলে তিনি এর প্রতিবাদ করেন। ১৯৭১ সালে অসহযোগ আন্দোলনের সময়ে সে আন্দোলনের সমর্থনে সিতারা-ই-ইমতিয়াজ খেতাব বর্জন করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মুনীর চৌধুরী ফিরে আসার কিছুকাল পরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। তাঁর কিশোর ছেলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে চলে যায়। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আদেশে মে-জুন মাসে ইংরেজি বিভাগের প্রধান হিসেবে এবং জুলাই মাস থেকে কলা অনুষদের ডীন হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর মুনীর চৌধুরীকে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীদের সহযোগী আল-বদর বাহিনী তাঁর বাবার বাড়ি থেকে অপহরণ করে ও সম্ভবত ঐদিনই তাঁকে হত্যা করে। তবে এর কোন সঠিক তথ্য পাওয়া যায় নি।

Title

দিনপঞ্জি মনপঞ্জি ডাকঘর

Author

Munir Chowdhury

Publisher

Prothoma Prakashan

Number of Pages

432

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Diary
  • Memories
  • First Published

    JAN 2023

    ১৯৪৯ সালের ৯ মার্চ পাকিস্তান সরকারের পুলিশ মুনীর চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। নাট্যকর্মী লিলি চৌধুরীর (তখন লিলি মির্জা) সঙ্গে তখন তাঁর এতটা গভীর প্রণয় যে, একজন আরেকজনকে না দেখে থাকতে পারেন না। তাঁদের বিয়েও প্রায় পাকা। জেলে থাকার কারণে তাদের মধ্যে তৈরি হলাে বিচ্ছেদ। মুনীর চৌধুরী তখন লিলি চৌধুরীকে উদ্দেশ করে লেখেন তার ‘দিনপঞ্জি-মনপঞ্জি'। এর প্রথম অংশে আছে দিনলিপি এবং দ্বিতীয় অংশে ‘জটিলতা’ শীর্ষক একটি গল্পের ভেতর দিয়ে তার মনােবাসনার উপস্থাপন এ রচনায়। কারাবাসের যন্ত্রণার চেয়ে বিচ্ছেদের বেদনাই প্রকাশ পেয়েছে বেশি। পক্ষান্তরে লিলি চৌধুরী তখন বাবার বাড়িতে থেকে একই বিচ্ছেদ-যন্ত্রণা ভােগ করেছেন আর মুনীর চৌধুরীকে উদ্দেশ করে লিখেছেন ‘ডাকঘর’ । আজ থেকে ৬৫ বছর আগে, ২৪ বছর বয়সী মুনীর চৌধুরী এবং ২১ বছর বয়সী লিলি চৌধুরী ডায়েরিতে তাদের বিরহের যে বেদনা লিপিবদ্ধ করেছেন, আজও তা অত্যন্ত প্রাণময়। এ গ্রন্থটির পাঠ হবে পাঠকের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
    No Specifications