Skip to Content
চোখের বালি (ভাষাপ্রকাশ)

Price:

300.00 ৳


কিশোর গল্প : শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কিশোর গল্প : শরতচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
320.00 ৳
320.00 ৳
প্রাথমিক গণিতের ব্যাকরণ
প্রাথমিক গণিতের ব্যাকরণ
250.00 ৳
250.00 ৳

চোখের বালি (ভাষাপ্রকাশ)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/23832/image_1920?unique=c773b04

300.00 ৳ 300.0 BDT 300.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

উনবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে য়ুরােপীয় রেনেসাঁসের প্রভাবে যে বিপুল প্রাণাবেগ সঞ্চারিত হয় তার সর্বশ্রেষ্ঠ শৈল্পিক অভিব্যক্তি চোখের বালি। গ্রন্থাকারে এর প্রথম সংস্করণ বের হয় ১৩০৯ বঙ্গাব্দে। ইতঃপূর্বে, উনবিংশ শতাব্দীতে তাঁর। তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয় : করুণা, বউ-ঠাকুরানীর হাট এবং রাজর্ষি। তিনটি উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্রের রচনারীতির প্রভাব পরিলক্ষিত হলেও কখনাে-কখনাে অকস্মাৎ বিদ্যুতের মতাে বিচ্ছুরিত হয়েছে রবীন্দ্রঝলক। বউ-ঠাকুরানীর হাটে এই স্বাতন্ত্র সুপ্রত্যক্ষ। প্রকৃতপক্ষে উপন্যাসসাহিত্যে রবীন্দ্র-প্রতিভার বিস্ময়কর আত্মপ্রকাশ ঘটে চোখের বালিতে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথই এটিকে সেদিনকার বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে ‘আকস্মিক’ বলে চিহ্নিত করেছেন। এ-গ্রন্থে তিনি বঙ্কিম-অনুসৃত ঘটনাপরম্পরার বিবরণ দেননি বরং বিশ্লেষণ করে চরিত্রের আঁতের কথা বের করে দেখিয়েছেন। পরিবর্তমান সময়প্রবাহের বহুভঙ্গিম কলস্রোত এ-গ্রন্থের। প্রতিটি বাঁকে স্পষ্ট। এর আখ্যানভাগ, চরিত্রপাত্র এবং তাদের ভাষা ও মনােধর্ম একেবারেই আলাদা। এটি ঘটনাপ্রধান নয়, মনস্তত্ত্বমূলক উপন্যাস। ব্যক্তির। মনােলােকের গহন-গভীরে আলাে ফেলে রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন মানুষের বহিধর্মের সঙ্গে তার অন্তর্ধর্মের সঙ্গতি দুর্লক্ষ। উপরিতলে মানুষকে আমরা যে রূপে দেখি, অন্তস্তলে তার স্বরূপ সম্পূর্ণ ভিন্ন। মানুষ তথা সমকালীন। নরনারী সম্পর্কে ব্যতিক্রমধর্মী এই বিশ্লেষণই চোখের বালিকে দিয়েছে বিস্ময়কর স্বাতন্ত্র। সমকালে কিংবা উত্তরকালে চোখের বালির রসপ্রতিপত্তিকে কেন্দ্র করে নিন্দা ও প্রশংসা দুইই বর্ষিত হয়েছে। বিশেষত বিনােদিনীর পরিণাম নিয়ে অনেক সমালােচকই অসুখী। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এর সমাপ্তি দুর্বল, শুধু দুর্বল। নয়, অগ্রাহ্য। শেষটা কিছুই নয়; একটা নিষ্প্রাণ, জোড়াতালি-দেয়া রফা মাত্র; এমন কথাও বলেছেন একজন। সমালােচক। এ-বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ যে নিশ্চেতন ছিলেন তা নয় তিনি বলেছেন-“চোখের বালি বেরবার অনতিকাল পর। থেকেই তার সমাপ্তিটা নিয়ে আমি মনে-মনে অনুতাপ করে এসেছি, নিন্দার দ্বারা তার প্রায়শ্চিত্ত হওয়া উচিত। মাসিক পত্র অনেক সময় লেখকদের অসতর্ক করে দেয়, লেখায়। সস্তা দামের মনােরঞ্জনী প্রলেপ ব্যবহার করবার দিকে ঝোঁক আসে। এই দুষ্কর্ম করেছি, কিন্তু তাতে ফল পাইনি, পাঠকরা যথেষ্ট চোখ রাঙিয়েছিল। কিন্তু সমালােচক-রবীন্দ্রনাথ যাই। বলুন না কেন, শিল্পী-রবীন্দ্রনাথের হাতে অঙ্কিত চরিত্রপাত্র এবং তাদের পরিণতি কালধর্মের সঙ্গে সঙ্গতিবহ, উপনিবেশিত সমাজব্যবস্থায় গড়ে-ওঠা অবিকশিত মধ্যবিত্তের মানসদ্বন্দ্ব এ-উপন্যাসের ঘটনাপরম্পরা ও পরিণামী চিত্রে উদ্ভাসিত। বিবর্তমান রবীন্দ্র-প্রতিভার একটি উল্লেখযােগ্য স্মারক চোখের বালি।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, চিত্রশিল্পী, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী, কবি, সমাজ-সংস্কারক এবং দার্শনিক। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে তৎকালীন ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে কলকাতার ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিমনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ভানুসিংহ ঠাকুর ছিল তাঁর ছদ্মনাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই মানেই এক মোহের মাঝে আটকে যাওয়া, যে মোহ পাঠককে জীবনের নানা রঙের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয় নানা ঢঙে, নানা ছন্দে, নানা সুর ও বর্ণে। তাঁর ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাট্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর কিছুদিন পরই আলোর মুখ দেখে। কাবুলিওয়ালা, হৈমন্তী, পোস্টমাস্টারসহ মোট ৯৫টি গল্প স্থান পেয়েছে তাঁর ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থে। অন্যদিকে ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে ১,৯১৫টি গান। উপন্যাস, কবিতা, সঙ্গীত, ছোটগল্প, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনীসহ সাহিত্যের সকল শাখাই যেন ধারণ করে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমূহ। তিনি একাধারে নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা দুই-ই ছিলেন। কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া তিনি চিত্রাংকনও করতেন। তৎকালীন সমাজ-সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাতেই অনূদিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমগ্র। তাঁর যাবতীয় রচনা ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ নামে ত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও স্বমহিমায় ভাস্বর। আজও আমাদের বাঙালি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে বিশ্বকবির সাহিত্যকর্ম।

Title

চোখের বালি (ভাষাপ্রকাশ)

Author

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

Publisher

Bhashaprokash

Number of Pages

230

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Stories
  • Rabindranath
  • First Published

    DEC 2015

    উনবিংশ শতাব্দীর বাংলাদেশে য়ুরােপীয় রেনেসাঁসের প্রভাবে যে বিপুল প্রাণাবেগ সঞ্চারিত হয় তার সর্বশ্রেষ্ঠ শৈল্পিক অভিব্যক্তি চোখের বালি। গ্রন্থাকারে এর প্রথম সংস্করণ বের হয় ১৩০৯ বঙ্গাব্দে। ইতঃপূর্বে, উনবিংশ শতাব্দীতে তাঁর। তিনটি উপন্যাস প্রকাশিত হয় : করুণা, বউ-ঠাকুরানীর হাট এবং রাজর্ষি। তিনটি উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্রের রচনারীতির প্রভাব পরিলক্ষিত হলেও কখনাে-কখনাে অকস্মাৎ বিদ্যুতের মতাে বিচ্ছুরিত হয়েছে রবীন্দ্রঝলক। বউ-ঠাকুরানীর হাটে এই স্বাতন্ত্র সুপ্রত্যক্ষ। প্রকৃতপক্ষে উপন্যাসসাহিত্যে রবীন্দ্র-প্রতিভার বিস্ময়কর আত্মপ্রকাশ ঘটে চোখের বালিতে। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথই এটিকে সেদিনকার বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে ‘আকস্মিক’ বলে চিহ্নিত করেছেন। এ-গ্রন্থে তিনি বঙ্কিম-অনুসৃত ঘটনাপরম্পরার বিবরণ দেননি বরং বিশ্লেষণ করে চরিত্রের আঁতের কথা বের করে দেখিয়েছেন। পরিবর্তমান সময়প্রবাহের বহুভঙ্গিম কলস্রোত এ-গ্রন্থের। প্রতিটি বাঁকে স্পষ্ট। এর আখ্যানভাগ, চরিত্রপাত্র এবং তাদের ভাষা ও মনােধর্ম একেবারেই আলাদা। এটি ঘটনাপ্রধান নয়, মনস্তত্ত্বমূলক উপন্যাস। ব্যক্তির। মনােলােকের গহন-গভীরে আলাে ফেলে রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন মানুষের বহিধর্মের সঙ্গে তার অন্তর্ধর্মের সঙ্গতি দুর্লক্ষ। উপরিতলে মানুষকে আমরা যে রূপে দেখি, অন্তস্তলে তার স্বরূপ সম্পূর্ণ ভিন্ন। মানুষ তথা সমকালীন। নরনারী সম্পর্কে ব্যতিক্রমধর্মী এই বিশ্লেষণই চোখের বালিকে দিয়েছে বিস্ময়কর স্বাতন্ত্র। সমকালে কিংবা উত্তরকালে চোখের বালির রসপ্রতিপত্তিকে কেন্দ্র করে নিন্দা ও প্রশংসা দুইই বর্ষিত হয়েছে। বিশেষত বিনােদিনীর পরিণাম নিয়ে অনেক সমালােচকই অসুখী। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এর সমাপ্তি দুর্বল, শুধু দুর্বল। নয়, অগ্রাহ্য। শেষটা কিছুই নয়; একটা নিষ্প্রাণ, জোড়াতালি-দেয়া রফা মাত্র; এমন কথাও বলেছেন একজন। সমালােচক। এ-বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ যে নিশ্চেতন ছিলেন তা নয় তিনি বলেছেন-“চোখের বালি বেরবার অনতিকাল পর। থেকেই তার সমাপ্তিটা নিয়ে আমি মনে-মনে অনুতাপ করে এসেছি, নিন্দার দ্বারা তার প্রায়শ্চিত্ত হওয়া উচিত। মাসিক পত্র অনেক সময় লেখকদের অসতর্ক করে দেয়, লেখায়। সস্তা দামের মনােরঞ্জনী প্রলেপ ব্যবহার করবার দিকে ঝোঁক আসে। এই দুষ্কর্ম করেছি, কিন্তু তাতে ফল পাইনি, পাঠকরা যথেষ্ট চোখ রাঙিয়েছিল। কিন্তু সমালােচক-রবীন্দ্রনাথ যাই। বলুন না কেন, শিল্পী-রবীন্দ্রনাথের হাতে অঙ্কিত চরিত্রপাত্র এবং তাদের পরিণতি কালধর্মের সঙ্গে সঙ্গতিবহ, উপনিবেশিত সমাজব্যবস্থায় গড়ে-ওঠা অবিকশিত মধ্যবিত্তের মানসদ্বন্দ্ব এ-উপন্যাসের ঘটনাপরম্পরা ও পরিণামী চিত্রে উদ্ভাসিত। বিবর্তমান রবীন্দ্র-প্রতিভার একটি উল্লেখযােগ্য স্মারক চোখের বালি।
    No Specifications