Skip to Content
অবরোধ বাসিনী (ভাষাপ্রকাশ)

Price:

120.00 ৳


শ্রেষ্ঠ গল্প (জেমস্ জয়েস) (বি.এস.কে)
শ্রেষ্ঠ গল্প (জেমস্ জয়েস) (বি.এস.কে)
220.00 ৳
220.00 ৳
আনন্দমেলা : ৫ জুন ২০২২
আনন্দমেলা : ৫ জুন ২০২২
50.00 ৳
50.00 ৳

অবরোধ বাসিনী (ভাষাপ্রকাশ)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/41256/image_1920?unique=531b500

120.00 ৳ 120.0 BDT 120.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

অবরোধ-বাসিনী (১৯৩১) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের শেষপর্যায়ের রচনা, যেখানে তাঁর সংগ্রামী জীবনেতিহাসের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা রসসিক্ত করে পরিবেশন করেছেন তিনি। তাঁর স্বল্পায়ু জীবনপর্বে অর্জিত বিচিত্র কিছু অভিজ্ঞতা স্মৃতিময় অনুষঙ্গে এ-গ্রন্থে ভাষারূপ দিয়েছেন তিনি। এ-গ্রন্থের ৪৭টি ঘটনার কোনোটি ঐতিহাসিক, কোনোটি লোকশ্রুত আবার কোনোটি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বয়ান। বাংলাদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, দিল্লি প্রভৃতি পট-পরিপ্রেক্ষিত থেকে গৃহীত এসব উপাখ্যানে ভাষারূপ পেয়েছে রোকেয়ার সমকালীন জীবন ও সমাজ; এবং সেই সমাজ-অন্তর্গত নারীদের উপদ্রুত জীবনযাপনচিত্র, যা কল্পকাহিনির চেয়েও বিস্ময়কর। এসব উপাখ্যান কখনো আমাদের হাসায়, কখনো বেদনাবিদ্ধ করে, রক্তমোক্ষণের যন্ত্রণায় কাতর করে, এবং যুগ-যুগ ধরে নির্যাতিত অবরোধবন্দিনী নারীদের প্রতি সমবেদনায় জাগ্রত করে, কর্তব্যবোধ ও মনুষ্যত্ববোধে প্রাণিত করে। এখানে মুসলিম নারীরা যেমন আছেন, ঠিক তেমনি আছেন হিন্দু নারীরা। আশরাফ-আতরাফ, অভিজাত-অনভিজাত, কুলীন-অকুলীন, ধনী-নির্ধন, স্পৃশ্য-অস্পৃশ্য নির্বিশেষে ভারতীয় অবরোধবন্দিনী নারীদের অকৃত্রিম কথকতায় সমৃদ্ধ এ-গ্রন্থ। অশিক্ষা ও কুশিক্ষায় ভারাক্রান্ত পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বিপন্ন নারীদের আত্মসাক্ষাৎকার এ-গ্রন্থের প্রতিটি ছত্রে উৎকীর্ণ। আধিপত্যকামী পুরুষদের শোষণে ও পেষণে হতদশাগ্রস্ত ভারতীয় নারীর অন্ধকার অবয়বই যে কেবল এ-গ্রন্থে প্রত্যক্ষ করা যায় তা নয়; নারীরাও যে নারীদের অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধক সে-ধারণাও অর্জিত হয় এর মাধ্যমে। বলা যায়, ভারতীয় নারীর দুর্দশাগ্রস্ত জীবনেতিহাসের অন্তরালে পুরুষের একদেশদর্শী চিন্তাচেতনাই যে কেবল নয়, বরং এজন্য যে নারীদের পশ্চাত্বর্তী ধ্যান-ধারণা, অবৈজ্ঞানিক চিন্তাচেতনা, অদূরদর্শিতা, ধর্মান্ধতা, আলস্যপ্রীতি, সমাজপরিসরে বিদ্যমান অযৌক্তিক পুরুষপূজা এবং শতবর্ষব্যাপী প্রচলিত সনাতন বোধ-বিশ্বাসই দায়ী তা রোকেয়া নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিবেশন করেছেন এ-গ্রন্থে।

Begum Rokeya

(সাহিত্যসেবী মহলে তিনি বেগম রোকেয়া নামেই সমধিক পরিচিত; ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ - ৯ ডিসেম্বর ১৯৩২) হলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক। তাঁকে বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে গণ্য করা হয়। তার প্রকৃত নাম "রোকেয়া খাতুন" এবং বৈবাহিকসূত্রে নাম "বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন"। রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন ৯ ডিসেম্বর ১৮৮০ সালে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার অর্ন্তগত পায়রাবন্দ গ্রামে। তাঁর পিতা জহীরুদ্দিন মোহাম্মদ আবু আলী হায়দার সাবের সম্ভ্রান্ত ভূস্বামী ছিলেন। তাঁর মাতা রাহাতুন্নেসা সাবেরা চৌধুরানী। রোকেয়ার দুই বোন করিমুননেসা ও হুমায়রা, আর তিন ভাই যাদের একজন শৈশবে মারা যায়। তিনি একজন অসাধারণ নারী।১৮৯৮ সালে ১৮ বছর বয়সে রোকেয়ার বিয়ে হয় ভাগলপুরের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সাথে। বিয়ের পর তিনি "বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন" নামে পরিচিত হন। তাঁর স্বামী মুক্তমনের মানুষ ছিলেন, রোকেয়াকে তিনি লেখালেখি করতে উৎসাহ দেন এবং একটি স্কুল তৈরির জন্য অর্থ আলাদা করে রাখেন। রোকেয়া সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। ১৯০২ সালে পিপাসা নামে একটি বাংলা গল্প লিখে সাহিত্যজগতে তার অবদান রাখা শুরু হয়। স্কুল পরিচালনা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রোকেয়া নিজেকে সাংগঠনিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখেন। ১৯১৬ সালে তিনি মুসলিম বাঙালি নারীদের সংগঠন আঞ্জুমানে খাওয়াতিনে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন সভায় তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন। ১৯২৬ সালে কলকাতায় অনুষ্ঠিত বাংলার নারী শিক্ষা বিষয়ক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া মৃত্যুবরণ করেন। সেসময় তিনি ‘নারীর অধিকার’ নামে একটি প্রবন্ধ লিখছিলেন। তাঁর কবর উত্তর কলকাতার সোদপুরে অবস্থিত যা পরবর্তীকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক অমলেন্দু দে আবিষ্কার করেন । বাংলাদেশের ৭ম বিভাগ হিসেবে রংপুর বিভাগের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে 'রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়' ৮ অক্টোবর ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অতঃপর ২০০৯ সালে 'নারী জাগরণের অগ্রদূত' হিসেবে তাঁর নামকে স্মরণীয় করে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন । উল্লেখ্য , নারীর নামে বাংলাদেশে প্রথম কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এটি।ছাড়াও, মহিয়সী বাঙালি নারী হিসেবে বেগম রোকেয়ার অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আবাসনের জন্য "রোকেয়া হল" নামকরণ করা হয়। রোকেয়ার তাঁর নারীবাদী চিন্তার প্রকাশ ঘটিয়েছেন মতিচূর প্রবন্ধসংগ্রহের প্রথম (১৯০৪) ও দ্বিতীয় খণ্ডে (১৯২২)। সুলতানার স্বপ্ন (১৯০৫), পদ্মরাগ (১৯২৪), অবরোধবাসিনী (১৯৩১) ইত্যাদি তাঁর সৃজনশীল রচনা। তাঁর সুলতানার স্বপ্নকে বিশ্বের নারীবাদী সাহিত্যে একটি মাইলফলক ধরা হয়।

Title

অবরোধ বাসিনী (ভাষাপ্রকাশ)

Author

Begum Rokeya

Publisher

Bhashaprokash

Number of Pages

64

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Women Issues
  • First Published

    FEB 2019

    অবরোধ-বাসিনী (১৯৩১) রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের শেষপর্যায়ের রচনা, যেখানে তাঁর সংগ্রামী জীবনেতিহাসের উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা রসসিক্ত করে পরিবেশন করেছেন তিনি। তাঁর স্বল্পায়ু জীবনপর্বে অর্জিত বিচিত্র কিছু অভিজ্ঞতা স্মৃতিময় অনুষঙ্গে এ-গ্রন্থে ভাষারূপ দিয়েছেন তিনি। এ-গ্রন্থের ৪৭টি ঘটনার কোনোটি ঐতিহাসিক, কোনোটি লোকশ্রুত আবার কোনোটি প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বয়ান। বাংলাদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, দিল্লি প্রভৃতি পট-পরিপ্রেক্ষিত থেকে গৃহীত এসব উপাখ্যানে ভাষারূপ পেয়েছে রোকেয়ার সমকালীন জীবন ও সমাজ; এবং সেই সমাজ-অন্তর্গত নারীদের উপদ্রুত জীবনযাপনচিত্র, যা কল্পকাহিনির চেয়েও বিস্ময়কর। এসব উপাখ্যান কখনো আমাদের হাসায়, কখনো বেদনাবিদ্ধ করে, রক্তমোক্ষণের যন্ত্রণায় কাতর করে, এবং যুগ-যুগ ধরে নির্যাতিত অবরোধবন্দিনী নারীদের প্রতি সমবেদনায় জাগ্রত করে, কর্তব্যবোধ ও মনুষ্যত্ববোধে প্রাণিত করে। এখানে মুসলিম নারীরা যেমন আছেন, ঠিক তেমনি আছেন হিন্দু নারীরা। আশরাফ-আতরাফ, অভিজাত-অনভিজাত, কুলীন-অকুলীন, ধনী-নির্ধন, স্পৃশ্য-অস্পৃশ্য নির্বিশেষে ভারতীয় অবরোধবন্দিনী নারীদের অকৃত্রিম কথকতায় সমৃদ্ধ এ-গ্রন্থ। অশিক্ষা ও কুশিক্ষায় ভারাক্রান্ত পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বিপন্ন নারীদের আত্মসাক্ষাৎকার এ-গ্রন্থের প্রতিটি ছত্রে উৎকীর্ণ। আধিপত্যকামী পুরুষদের শোষণে ও পেষণে হতদশাগ্রস্ত ভারতীয় নারীর অন্ধকার অবয়বই যে কেবল এ-গ্রন্থে প্রত্যক্ষ করা যায় তা নয়; নারীরাও যে নারীদের অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধক সে-ধারণাও অর্জিত হয় এর মাধ্যমে। বলা যায়, ভারতীয় নারীর দুর্দশাগ্রস্ত জীবনেতিহাসের অন্তরালে পুরুষের একদেশদর্শী চিন্তাচেতনাই যে কেবল নয়, বরং এজন্য যে নারীদের পশ্চাত্বর্তী ধ্যান-ধারণা, অবৈজ্ঞানিক চিন্তাচেতনা, অদূরদর্শিতা, ধর্মান্ধতা, আলস্যপ্রীতি, সমাজপরিসরে বিদ্যমান অযৌক্তিক পুরুষপূজা এবং শতবর্ষব্যাপী প্রচলিত সনাতন বোধ-বিশ্বাসই দায়ী তা রোকেয়া নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে পরিবেশন করেছেন এ-গ্রন্থে।
    No Specifications