নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ ইসলামী দিকনির্দেশনা : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ

নারী নির্যাতনের ঘটনা নতুন কিছু নয়। যুগে-যুগে, সভ্যতায়সভ্যতায় নারীকে অপমানিত, নিপীড়িত হতে হয়েছে। শারীরিক শক্তিমত্তার কারণে সবসময়ই পুরুষ নিজেকে শ্রেষ্ঠ মনে করে আসছে। আর নারীকে মনে করা হচ্ছে নিম্ন স্তরের। ইতিহাসের সূচনালগ্ন থেকে প্রায় প্রতিটি সমাজে বিভিন্নভাবে নারীর ওপর নির্যাতন চলে আসছে। নারী নির্যাতন প্রতিরােধে সর্বপ্রথম ইসলামই গ্রহণ করেছে। কার্যকরী পদক্ষেপ। নারী-পুরুষের বিভেদ-বৈষম্য দূর করে সমতা বিধান একমাত্র ইসলামই করেছে। নারীদেরকে স্বমহিমায় সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছে ইসলামই। ইসলামের আবির্ভাবের পূর্বে নারীর না ছিল মর্যাদা, না ছিল কোন অধিকার। নারীর জীবনেরও ছিল না কোন মূল্য। কন্যা হিসেবে জন্মগ্রহণই ছিল অপরাধ। ইসলাম নারীকে সেই বিভীষিকাময় অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছে। বেঁচে থাকার অধিকার দিয়েছে। যথাযথ সম্মান দিয়েছে, দিয়েছে সম্রমের নিরাপত্তা, সম্পদের মালিকানা। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে সমাজ জীবন, এমনকি রাষ্ট্রীয় জীবনেও নারীর মর্যাদা ও অধিকার ইসলামই সর্বপ্রথম নিশ্চিত করেছে। লেখকদ্বয় এ গ্রন্থে প্রথমেই নারী নির্যাতনের ধরনসমূহ তুলে। ধরেছেন। বইটিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে নারী নির্যাতনের কারণসমূহ। এরপর নারী নির্যাতন প্রতিরােধে ইসলামীব্যবস্থা। তুলে ধরা হয়েছে। বইটিতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ইসলাম প্রদত্ত নারীর মর্যাদা সম্পর্কেও এ গ্রন্থে আলােকপাত করা হয়েছে। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম কর্তৃক ঘােষিত পদক্ষেপসমূহও বইটিতে স্থান পেয়েছে। আশা করি নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরােধে ইসলামী দিকনির্দেশনা : প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক বইটি ছাত্র-শিক্ষক, গবেষকসহ সকল শ্রেণির পাঠকের নিকট সমাদৃত হবে।