Skip to Content
মার্চের পর মার্চ

Price:

500.00 ৳


জয়ন্তী মৌচাক
জয়ন্তী মৌচাক
500.00 ৳
500.00 ৳
Selected Poems (Joy Goswami)
Selected Poems (Joy Goswami)
700.00 ৳
700.00 ৳

মার্চের পর মার্চ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/15242/image_1920?unique=8178005

500.00 ৳ 500.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

ভাবতে ভাবতে এক সময় তিনি ঘুমের রাজ্যে চলে গেলেন। ভোরের আজান শুনে তার ঘুম ভাঙল। কিছুক্ষণ এপাশ-ওপাশ করে উঠে পড়লেন। নামাজ পড়ে জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে তাকালেন। এখনো রাতের রেশ শেষ হয়নি। তার মনে পড়ল আজ পঁচিশে মার্চ। এই দিনগত রাত বাঙালিদের জন্য একটি ভয়ংকর রাত ছিল ১৯৭১ সালে। সেই দিনের কথা বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারবে না। এই দিন গভীর রাতে বাংলার ঘুমন্ত জনগণের ওপর বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলÑ তা শুধু বাঙালি জনগণ না সারাবিশ্ববাসীকে হতবাক করে দিয়েছিল। ইতিহাসের এমন নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের একজন অসহায় নীরব সাক্ষী হিসেবে তিনি আজও বেঁচে আছেন। তিনি স্মরণ করলেনÑ ওই রাতে মেশিনগানের ঠাঠাঠাঠা আওয়াজ আর ভারী বোমার দুড়–ম দুড়–ম শব্দে বিছানাসুদ্ধ কেঁপে উঠেছিল। বাসার সবাই আতঙ্কিত হয়ে জেগে উঠে এক কামরায় জড়ো হই। চি-চি-ই-ই করে একটা শব্দের সঙ্গে আগুনের ফুলকি উড়ে আসছিল। সারাঘর তখন আলোকিত হয়ে ওঠে। ভয়ে সবাই গুটিশুটি মেরে মেঝেতে শুয়ে পড়ি। বেশ কয়েকঘণ্টা এভাবে কেটে যায়। এক সময় সাহস করে ছাদে গিয়ে দেখিÑ আমাদের বাসার পশ্চিম আর উত্তর দিকে আগুন জ্বলছে। গোলাগুলির শব্দ তখন বেশ স্পষ্ট। আকাশে আগুনের ফুলকি ছুটছে। দূর থেকে বহুকণ্ঠের কান্না-চিৎকার ভেসে আসছে। আমার কাছে মনে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। এক সময় মনে হলো, সারা ঢাকা শহরেই গোলাগুলি আর বোমাবর্ষণ চলছে। আমি ছাদে বেশিক্ষণ টিকতে পারলাম না। চাচাজানও আমাকে নেমে আসার জন্য সিঁড়িঘরে দাঁড়িয়ে ডাকছিলেন।

আতাউর রহমান কানন

আতাউর রহমান কানন আতাউর রহমান কানন ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে এনএম এল জ ই ঈরলগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, লালন জলজ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জানা ত্রশ এর লেখা কবিতা, ইভা, নাটক, আক, প্রবন্ধ উস ইতত এই ইতােমধ্যে প্রকাশিত। ই-ই এ পর্যন্ত তাঁর একশত গ্রন্থসংখ্যা ২২টি। এ লেখা ১২ট গান নিয়ে এই বৃষ্টি ভেজা দিন। =মক মত বেরিয়েছে। এতে দেশের খ্যাতিমান ১২ জীল শাড়ী কন্ঠ দিয়েছেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিন সহবত সাহিত্য পুরস্কার’, ‘পুঠিয়া সাহিত্য দত্ত, অকণিমা সাহিত্য পুরস্কার’, ‘রাজশাহী তহত সফদ পদক, কবি বাবু ফরিদী সাহিত্য জনক, নর্ণয় শিল্পীগােষ্ঠী স্বর্ণপদক, কবি সুফি মে তাহার হােসেন স্বর্ণপদক', সুকুমার রায় সাহিত্য জনক, লিজা ললিতকলা একাডেমি পদক' ইত্যাদি সে Sইল। এইভা অমর একুশে আন্তর্জাতিক মত বিস-২০০০ উপলক্ষ্যে কবিতার জন্য তিনি বাংলাদেশ জাতীয় লেখক ফোরাম কর্তৃক পুরস্কৃত হয়েই তিনি বাংলা একাডেমি, পুঠিয়া সাহিত্য সরিষদ, রাজশাহী সাহিত্য পরিষদ, কবিতা ক্লাব এবং উৱঙ্গ সংস্কৃতি পরিষদের সদস্য। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টিভির একজন তালিকাভুক্ত তিকর। জনাব কানন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, ইউক্রেন, দুবাই, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইলি, রাশিয়া, ব্রুনাই, পােল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, কম্বােডিয়া প্রভৃতি দেশভ্রমণ করেছেন।

Title

মার্চের পর মার্চ

Author

আতাউর রহমান কানন

Publisher

Anindya Prokash

Number of Pages

255

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Politics
  • History
  • Bangabandhu
  • First Published

    FEB 2021

    ভাবতে ভাবতে এক সময় তিনি ঘুমের রাজ্যে চলে গেলেন। ভোরের আজান শুনে তার ঘুম ভাঙল। কিছুক্ষণ এপাশ-ওপাশ করে উঠে পড়লেন। নামাজ পড়ে জানালার পর্দা সরিয়ে বাইরে তাকালেন। এখনো রাতের রেশ শেষ হয়নি। তার মনে পড়ল আজ পঁচিশে মার্চ। এই দিনগত রাত বাঙালিদের জন্য একটি ভয়ংকর রাত ছিল ১৯৭১ সালে। সেই দিনের কথা বাংলাদেশের মানুষ কোনোদিন ভুলতে পারবে না। এই দিন গভীর রাতে বাংলার ঘুমন্ত জনগণের ওপর বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিলÑ তা শুধু বাঙালি জনগণ না সারাবিশ্ববাসীকে হতবাক করে দিয়েছিল। ইতিহাসের এমন নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের একজন অসহায় নীরব সাক্ষী হিসেবে তিনি আজও বেঁচে আছেন। তিনি স্মরণ করলেনÑ ওই রাতে মেশিনগানের ঠাঠাঠাঠা আওয়াজ আর ভারী বোমার দুড়–ম দুড়–ম শব্দে বিছানাসুদ্ধ কেঁপে উঠেছিল। বাসার সবাই আতঙ্কিত হয়ে জেগে উঠে এক কামরায় জড়ো হই। চি-চি-ই-ই করে একটা শব্দের সঙ্গে আগুনের ফুলকি উড়ে আসছিল। সারাঘর তখন আলোকিত হয়ে ওঠে। ভয়ে সবাই গুটিশুটি মেরে মেঝেতে শুয়ে পড়ি। বেশ কয়েকঘণ্টা এভাবে কেটে যায়। এক সময় সাহস করে ছাদে গিয়ে দেখিÑ আমাদের বাসার পশ্চিম আর উত্তর দিকে আগুন জ্বলছে। গোলাগুলির শব্দ তখন বেশ স্পষ্ট। আকাশে আগুনের ফুলকি ছুটছে। দূর থেকে বহুকণ্ঠের কান্না-চিৎকার ভেসে আসছে। আমার কাছে মনে হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। এক সময় মনে হলো, সারা ঢাকা শহরেই গোলাগুলি আর বোমাবর্ষণ চলছে। আমি ছাদে বেশিক্ষণ টিকতে পারলাম না। চাচাজানও আমাকে নেমে আসার জন্য সিঁড়িঘরে দাঁড়িয়ে ডাকছিলেন।
    No Specifications