ইরম ত্রিপিটক : মুজিব ইরম প্রণীত ট্রিলজিসংগ্রহ

“বাংলাদেশের অতিসাম্প্রতিক কাব্যচর্চার ক্ষেত্রে ক্রমশ উজ্জ্বল হয়ে ওঠা নাম মুজিব ইরম।...বাংলা কবিতা যখন এপার-ওপার দু-পার বাংলার তুমুল পরীক্ষানিরীক্ষার মধ্য দিয়ে আধুনিক-পপাস্টমডার্ন তত্ত্বের নতুন বীক্ষায় জারিত ও চুড়ান্তভাবে ব্যক্তির অহংবিশ্বের প্রতিস্বর হয়ে উঠছে, বিষয় নিঃস্পৃহতায় কবিতার জঠরে রক্তাল্পতা প্রকট হয়ে উঠছে, তখন মুজিব ইরম মেতে উঠলেন লােকায়ত জীবনবােধ ও লােকপুরাণ সম্ভুত ভিন্নতর নির্মাণশৈলির কাব্যপ্রাণ প্রতিষ্ঠার দুঃসাধ্য খেলায়, আর সে খেলায় অচিরেই তিনি প্রমাণ করলেন তাঁর মেধাবী আক্রমণ যা বাংলা কবিতার ঔপনিবেশিক ভাষা ও বীক্ষাগত কাঠামােকে ভেঙে দিল, নিয়ে গেল ইনার টেট-এ, বহু স্বরিকতায়। বাংলাদেশের দীর্ঘ বিগত দশকগুলির ইতিহাস গভীরভারে পর্যালােচনা করলে স্পষ্ট বুঝতে পারা যায় কবি মুজিব ইরম কবিতারচনার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী কবিদের কাব্যরচনার ঐতিহ্যকে একেবারেই সচেতন ভাবেই এড়িয়ে গেছেন, কিন্তু কোনও ভাবেই এড়িয়ে যাননি তাঁর দেশজ ঐতিহ্যকে—আর সেখানেই আবিষ্কার করেছেন তাঁর স্বতন্ত্র বাচননিহিত মৌল স্বর, কাব্যের প্রাণভােমরা। বাংলাদেশের বােধকরি অঙ্গুলিমেয় কয়েকজন। মেধাবী কর্মিষ্ঠ তরুণদের মধ্যে যাঁরা মূলতই লিটল ম্যাগাজিনের লেখক, প্রথা ও প্রতিষ্ঠান বিরােধী মুজিব ইরম তাঁদের মধ্যে অবশ্যই প্রধান।...সত্যিই উপন্যাসের মতাে কবিতায় তিনি ট্রিলজি লিখতে চাইছেন, যা এই মহূর্তের দু’পার বাংলার নব্বইয়ের দশকের কবিতায় দুর্লভ, অভাবনীয়।...সন্দেহ নেই, দু’পার বাংলার কাব্যচর্চার অতিসাম্প্রতিক ইতিহাসে মুজিব ইরম এক অনন্য বিস্ময়।”