Skip to Content
জ্যোৎস্নালোকের সংবাদ : শাহাদুজ্জামানের আত্মকথন

Price:

700.00 ৳


Nani A. Palkhivala : A Life
Nani A. Palkhivala : A Life
1,200.00 ৳
1,200.00 ৳
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
700.00 ৳
700.00 ৳

জ্যোৎস্নালোকের সংবাদ : শাহাদুজ্জামানের আত্মকথন

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/13214/image_1920?unique=a7f63ea

700.00 ৳ 700.0 BDT 700.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বলাবাহুল্য, সমকালীন বাংলা সাহিত্যে শাহাদুজ্জামান অন্যতম প্রয়োজনীয় লেখক । অনুবাদ, সাক্ষাৎকার, গবেষণাধর্মী লেখালেখি ছাপিয়ে তিনি পুরোদস্তুর একজন কথাসাহিত্যিক। অর্থাৎ গল্পে তিনি চরিত্র নির্মাণ করেন । দৃশ্য আঁকেন । সম্পর্ক-সংলাপের ব্যবচ্ছেদ ঘটান। কিন্তু তাঁর জীবনের দৃশ্যগুলোর ঠিক কী রঙ? তাঁকে জড়িয়ে থাকা চরিত্ররা সত্যিই কি সচরাচর মানুষগুলোর মতন? তাঁর জীবনবাহিত অন্ত্যজ সম্পর্ক. তাঁর আত্মজৈবনিক সংলাপ-দৃশ্যগুলোর সারাৎসার কী? সেই জিজ্ঞাসা সমূহ উত্তর ও দিক অনুসন্ধানি হল এবারে । শাহাদুজ্জামানের শৈশব কেটেছে যেন অদ্ভুত পৃথিবীবিচ্ছিন্ন এক অঞ্চলে। সেখানে পাহাড়ের পাদদেশে একটা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। আর পাহাড়ের চূড়ায় টিলার ওপর এক রহস্যময় পাগলাবাবার আস্তানা। কৈশোরে একপ্রকার অবান্তর অথচ অমোঘ বাস্তব এক শ্বেতশুভ্র টানেলের ভিতর দিয়ে গিয়ে তিনি পতিত হন অন্য পৃথক এক পৃথিবীতে। ঠিক এইখান থেকেই প্রথম আত্মজিজ্ঞাসার সূত্রপাত । এই জীবন আসলে কার? জীবন তো আরও বৃহৎ কিছু। জীবন তো আরও বিমূর্ত। সর্বব্যাপ্ত প্রাণচাঞ্চল্যমুখর। ‘জ্যোৎস্নালোকের সংবাদ' গ্রন্থটি প্রকৃতপক্ষে লেখক শাহাদুজ্জামানের নতুন এক জানলা ৷ এই জানলার বিহবল গরাদে ত্রস্ত আঙুলের প্রাণস্পর্শ রেখে তিনি এক কুয়াশাপ্লাবিত নির্জন হৃদের দিকে ধাবিত হয়েছেন। ফেলেছেন অবাক দৃষ্টি । জীবনের সমস্ত স্মৃতিপদ্মদল জড়ো করেছেন একে একে। এখানে তাঁর যা কিছু গল্প আত্মপরিচয়াশ্রিত, যেসব চরিত্ররা চোখের দেখায় সুপুষ্ট, যা যা দৃশ্য-সংলাপ জীবনঘনিষ্ঠ, তারই আলোকে গল্পচরিত্র-ঘটনাপ্রবাহ ধরে ধরে সজ্জিত হয়েছে সমস্ত জীবনের পথভ্রমণ। সঙ্গে-সঙ্গে আরেকটি সম্পূরক গ্রন্থ আত্মজৈবনিক অভিঘাতপূর্ণ গল্পগুলো নিয়ে। নাম 'খানিকটা আত্মজৈবনিক বাকিটা গল্প। অর্থাৎ একের ছায়ায় দুই কিম্বা দুইয়ে মিলে এক। এই আঙ্গিকের যুগলগ্রন্থের নিবেদন বাংলা প্রকাশনাজগতে বিরল। পদে-পদে আয়ুক্ষয় করে নিংড়ে তুলে আনা শাহাদুজ্জামানের এই আত্মকথন বিপন্ন সময়ের প্রামাণ্যদলিল। আত্মপরিচয়খচিত মহাকালের স্মারক । সত্যিকারের লেখক ব্যতিত কেই বা হাতে করে নিয়ে আসে এমন জ্যোৎস্নালোকের সংবাদ?

সাজ্জাদ হুসাইন

সাজ্জাদ হুসাইন বিচিত্র পরিভ্রমণের মধ্য দিয়ে নিজেকে আবিষ্কারের আনন্দ নিয়ে লিখেন সাজ্জাদ হুসাইন। বিরল মানুষ এবং প্রকৃতি তার লেখার প্রাণশক্তি। লেখার জন্য কখনও ঢুকে পড়েন দার্জিলিংয়ের মেঘ-কুয়াশার মধ্যে, অঞ্জন দত্তকে সঙ্গে নিয়ে। সেখানে গিয়ে অদ্ভুত নস্টালজিয়ার মধ্যে ডুবে গিয়ে রচনা করেন অঞ্জন দত্তর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘অঞ্জনযাত্রা’। এরপর আবার থিয়েটারের অঞ্জনকে নিয়ে চলে যান কলকাতার হাতিবাগানের ধসে পড়া থিয়েটারপাড়ায়। সেখানে প্রখর রোদ্দুরে অঞ্জন দত্তকে সাথে করে চলে যান নটী বিনোদিনীর বাড়ির সামনে। রাস্তার মাঝখান বরাবর দাড়িয়ে থাকা গিরীশ ঘোষের বাড়ির কম্পাউন্ডে। ম্যাজিক্যাল থিয়েটার ‘সারকারিনা’য়। সেই সূত্রে ‘ছাপাখানার ভূত’-এর উদ্যোগে ঢাকার মঞ্চে প্রথম মঞ্চস্থ হয় অঞ্জন দত্তর প্রথম নাটক ‘সেলসম্যানের সংসার’। সাজ্জাদ লিখেন অঞ্জন দত্তর নাট্যজীবন নিয়ে দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘নাট্যঞ্জন’। খুড়ে খুড়ে খুজে বের করেন অন্য এক অঞ্জনকে। এরপর সাজ্জাদ বেরিয়ে পড়েন মৃত্যুর অপার রহস্যময়তা জানার সন্ধানে। ঈশ্বরবিশ্বাস, পরকাল, পুনর্জন্ম, আত্মা-শরীর, মহাকাল ছাপিয়ে বের করতে চান কর্মের বিশালতাকে। সেই ভাবনা থেকে ৩ খণ্ডে রচিত হয় নন্দিতজনদের নিয়ে বিশেষ সংকলনগ্রন্থ ‘এখানে মৃত্যু নেই’। এই গ্রন্থের কাজ চলতে চলতে অনন্তের যাত্রায় ছুট দেন সেইসব নন্দিতজনদের কেউ কেউ। চলে যান নবনীতা দেবসেন, মুর্তজা বশীর, নিমাই ঘোষ, নিমাই ভট্টাচার্য, আমজাদ হোসেন… তারা অন্তর্লোকে চলে যান। কিন্তু তারা রয়ে যান কর্মে। আর দিয়ে যান ঈশ্বরবিশ্বাস, মৃত্যুচেতনা, মানবজীবন, পরকাল, পুনর্জন্ম, মহাকাল নিয়ে নিজস্ব ভাবনার কথা। সেগুলো মায়া দিয়ে রচনা করেন সাজ্জাদ। সাজ্জাদ হুসাইন আবিষ্কার করেন কবীর সুমনের গানের বাইরের এক্সাইটিং এক সত্তাকে। তার আত্মদর্শন নিয়ে লিখেছেন ‘কবীরা’। লিখেছেন চারুলতাখ্যাত শিল্পী মাধবী মুখোপাধ্যায়ের থিয়েটার, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, পূর্ণেন্দু পত্রীসহ নানান বিরল শিল্পীদের সাথে পরিভ্রমণের আদ্যোপান্ত নিয়ে আত্মকথনমূলক গ্রন্থ ‘মাধবীর জন্যে’।তার লেখা বাংলাদেশের কিংবদন্তিতুল্য দুই শিল্পী ববিতা ও এটিএম শামসুজ্জামানকে নিয়ে আত্মকথনমূলক গ্রন্থও প্রকাশিত হয়ে গেছে এরইমধ্যে। বই দুটির নাম যথাক্রমে ‘বিস্ময়ে ববিতা’ ও ‘আমি আমি’।দুই বাংলার কালোত্তীর্ণ গানের দল ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র সকল সদস্যদের সাথে আড্ডা, গল্প, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে করে ৩ বছরের পরিভ্রমণ শেষে রচনা করেন একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ ‘মহীনের ঘোড়াগুলির গান’। এইসব পথ পেরিয়ে সাজ্জাদ হুসাইন এখন বেরিয়ে পড়তে চান অন্য পথে। যেখানে আরও আরও অদ্ভুত মানুষেরা রয়েছে। রয়েছে প্রকৃতি। রয়েছে বিস্ময়। যা ফেলে আসা পথকে নতুন পথের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে।চিন্তা-চেতনার উস্কানিতে অক্লান্ত হেটে চলের এই আর্বান পথিক…

Title

জ্যোৎস্নালোকের সংবাদ : শাহাদুজ্জামানের আত্মকথন

Author

সাজ্জাদ হুসাইন

Publisher

Chhapakhanar Bhoot

Number of Pages

159

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Autobiography
  • First Published

    JAN 2023

    বলাবাহুল্য, সমকালীন বাংলা সাহিত্যে শাহাদুজ্জামান অন্যতম প্রয়োজনীয় লেখক । অনুবাদ, সাক্ষাৎকার, গবেষণাধর্মী লেখালেখি ছাপিয়ে তিনি পুরোদস্তুর একজন কথাসাহিত্যিক। অর্থাৎ গল্পে তিনি চরিত্র নির্মাণ করেন । দৃশ্য আঁকেন । সম্পর্ক-সংলাপের ব্যবচ্ছেদ ঘটান। কিন্তু তাঁর জীবনের দৃশ্যগুলোর ঠিক কী রঙ? তাঁকে জড়িয়ে থাকা চরিত্ররা সত্যিই কি সচরাচর মানুষগুলোর মতন? তাঁর জীবনবাহিত অন্ত্যজ সম্পর্ক. তাঁর আত্মজৈবনিক সংলাপ-দৃশ্যগুলোর সারাৎসার কী? সেই জিজ্ঞাসা সমূহ উত্তর ও দিক অনুসন্ধানি হল এবারে । শাহাদুজ্জামানের শৈশব কেটেছে যেন অদ্ভুত পৃথিবীবিচ্ছিন্ন এক অঞ্চলে। সেখানে পাহাড়ের পাদদেশে একটা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। আর পাহাড়ের চূড়ায় টিলার ওপর এক রহস্যময় পাগলাবাবার আস্তানা। কৈশোরে একপ্রকার অবান্তর অথচ অমোঘ বাস্তব এক শ্বেতশুভ্র টানেলের ভিতর দিয়ে গিয়ে তিনি পতিত হন অন্য পৃথক এক পৃথিবীতে। ঠিক এইখান থেকেই প্রথম আত্মজিজ্ঞাসার সূত্রপাত । এই জীবন আসলে কার? জীবন তো আরও বৃহৎ কিছু। জীবন তো আরও বিমূর্ত। সর্বব্যাপ্ত প্রাণচাঞ্চল্যমুখর। ‘জ্যোৎস্নালোকের সংবাদ' গ্রন্থটি প্রকৃতপক্ষে লেখক শাহাদুজ্জামানের নতুন এক জানলা ৷ এই জানলার বিহবল গরাদে ত্রস্ত আঙুলের প্রাণস্পর্শ রেখে তিনি এক কুয়াশাপ্লাবিত নির্জন হৃদের দিকে ধাবিত হয়েছেন। ফেলেছেন অবাক দৃষ্টি । জীবনের সমস্ত স্মৃতিপদ্মদল জড়ো করেছেন একে একে। এখানে তাঁর যা কিছু গল্প আত্মপরিচয়াশ্রিত, যেসব চরিত্ররা চোখের দেখায় সুপুষ্ট, যা যা দৃশ্য-সংলাপ জীবনঘনিষ্ঠ, তারই আলোকে গল্পচরিত্র-ঘটনাপ্রবাহ ধরে ধরে সজ্জিত হয়েছে সমস্ত জীবনের পথভ্রমণ। সঙ্গে-সঙ্গে আরেকটি সম্পূরক গ্রন্থ আত্মজৈবনিক অভিঘাতপূর্ণ গল্পগুলো নিয়ে। নাম 'খানিকটা আত্মজৈবনিক বাকিটা গল্প। অর্থাৎ একের ছায়ায় দুই কিম্বা দুইয়ে মিলে এক। এই আঙ্গিকের যুগলগ্রন্থের নিবেদন বাংলা প্রকাশনাজগতে বিরল। পদে-পদে আয়ুক্ষয় করে নিংড়ে তুলে আনা শাহাদুজ্জামানের এই আত্মকথন বিপন্ন সময়ের প্রামাণ্যদলিল। আত্মপরিচয়খচিত মহাকালের স্মারক । সত্যিকারের লেখক ব্যতিত কেই বা হাতে করে নিয়ে আসে এমন জ্যোৎস্নালোকের সংবাদ?
    No Specifications