পান্থজনের কথা : নূহ-উল-আলম লেনিন সম্মাননাগ্রন্থ

নূহ-উল-আলম লেনিনের কর্ম ও জীবন থেকে আমার উপলব্ধি, তিনি উচ্চমানের রাজনৈতিক সংগঠক, তবে ব্যতিক্রমী সৃষ্টিশীল রাজনৈতিক ব্যক্তি । -ডা. সারওয়ার আলী লেনিনের রাজনীতির বড় বৈশিষ্ট্য হলো-একদিকে তার শেখ হাসিনার মতো বন্ধু পাওয়া বা তার সঙ্গে কাজ করতে পারার সুযোগ, অন্যদিকে লেনিন উচ্চকিত কণ্ঠ নয়, উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়- নিষ্ঠার জায়গায় আপসহীন। এটাই হলো লেনিন। —বেগম মতিয়া চৌধুরী বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনে যে তারুণ্য ষাটের দশকে যুক্ত হয়েছিল, সাম্যবাদী আন্দোলনকে নতুন বিস্তৃতি দিয়েছিল লেনিন ছিলেন তার এক অগ্রসৈনিক। -রাশেদ খান মেনন নূহ-উল-আলম লেনিন রাজনীতিবিদ হতে চেয়েছিলেন, হয়েছেনও কিন্তু জনমানসে রাজনীতিবিদ নয় একজন সাংস্কৃতিক জীবন উজ্জীবনকারী হিসেবে বেঁচে থাকবেন । -মুনতাসীর মামুন ‘বাঙালি সমাজ ও সাহিত্যে সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ' নিবন্ধটি প্রথমে প্রকাশিত হয় ২০১৫ সনের ফেব্রুয়ারিতে এই অভিসন্দর্ভটি পড়ে আমি লেনিনের বৌদ্ধিক শক্তি সম্পর্কে বিশেষভাবে অবহিত হই। এমন উচ্চমানের কোনো অভিসন্দর্ভ এ দেশ থেকে খুব কমই প্রকাশিত হয়েছে। -যতীন সরকার একালে তিনি শাসকদলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকেছেন। কিন্তু লক্ষণীয় যে, তাঁর আচার-আচরণ ও উচ্চারণে পদগৌরবের কোনো ছাপ পড়েনি। কমিউনিস্ট আন্দোলনে যুক্ত থাকার সময়কার পরিচ্ছদেরও ঘটেনি কোনো পরিবর্তন। নিম্নবর্গের প্রতি অঙ্গীকারের কারণেই, ক্ষমতাসীন দলের উচ্চপদে থেকেও, অর্থ-বিত্ত ও প্রতিপত্তির মোহ তাঁকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। —সৈয়দ আজিজুল হক