Skip to Content
সুকুমার রায় এর অন্যান্য গল্প

Price:

360.00 ৳


বঙ্গবন্ধুর জীবনকথা (অন্বেষা)
বঙ্গবন্ধুর জীবনকথা (অন্বেষা)
270.00 ৳
270.00 ৳
The Mad Scientists Daughter
The Mad Scientists Daughter
400.00 ৳
400.00 ৳

সুকুমার রায় এর অন্যান্য গল্প

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/29140/image_1920?unique=b69cd6e

360.00 ৳ 360.0 BDT 360.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

এক ছিল বুড়ো আর এক ছিল বুড়ী। তারা ভারি গরীব। আর বুড়ী বেজায় বোকা আর ভয়ানক বেশি কথা বলে-যেখানে সেখানে যার তার সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয়-তার পেটে কোনও কথা থাকে না। বুড়ো একদিন তার জমি চষতে চষতে মাটির নিচে এক কলসী পেলে, সেই কলসী ভরা টাকা আর মোহর! তখন তার ভারি ভাবনা হল-এ টাকা যদি ফেলে রাখি কোনদিন কে চুরি ক’রে নেবে। আর যদি টাকা বাড়ি নিয়ে যাই, বুড়ী টের পেয়ে যাবে-সে সকলের কাছে তার গল্প করবে; ক্রমে কথা রাষ্ট্র হয়ে পড়লে রাজার কোটাল এসে সব কেড়েকুড়ে নিয়ে যাবে। ভেবে ভেবে সে এক ফন্দি আঁটল। সে ঠিক করল যে বুড়ীকে সব কথা বলবে কিন্তু এ রকম উপায় করব যাতে বুড়ীর কথা কেউ না বিশ্বাস করে। তখন সে একটা মাছ কিনে এনে তার ক্ষেতের ধারে একটা গাছের উপর বে’ধে রাখল, আর একটা খরগোস এনে নদীর ধারে একটা গর্তের মধ্যে জাল দিয়ে জড়িয়ে রাখল। তারপর সে তার স্ত্রীকে গিয়ে বলল, “একটা ভারি আশ্চর্য খবর শুনলাম-গাছের ডালে নাকি মাছ উড়ে বসে আর খরগোস নাকি জলে খেলা করে। আমাদের গণক ঠাকুর বলেন- “মৎস্য বসেন গাছে জলে খরগোস নাচে গুপ্ত রতন খুজলে পাবে খুঁড়লে তারি কাছে।” রাগের ওষুধ কেদারবাবু, বড় বদরাগী লোক। যখন রেগে বসেন, কান্ডাকান্ড জ্ঞান থাকে না। একদিন তিনি মুখখানা বিষণ্ণ ক’রে বসে আছেন, এমন সময় আমাদের মাস্টারবাবু, এসে বললেন, ‘কি হে কেদার� �েষ্ট, মুখখানা হাঁড়ি কেন ?” কেদারবাবু, বললেন, ‘আর মশাই, বলবেন না। আমার সেই রূপোবাঁধানো হুকোটা ভেঙে সাত টুকরো হয়ে গেল-মুখ হাঁড়ির মত হবে না তো কি বদনার মত হবে? মাস্টারমশাই বললেন, ‘বল কি হে? এ তো কাচের বাসন নয় কি মাটির পুতুল নয়-অমনি খামখা ভেঙে গেল, এর মানে কি? কেদারবাবু, বললেন, ‘খামখা ভাঙতে যাবে কেন-কথাটা শুনুন না। হল কী, কাল রাত্রে আমার ভাল ঘুম হয় নি। সকালবেলা উঠেছি, মুখ হাত ধুয়ে তামাক খেতে বসব, এমন সময় কলকেটা কাত হয়ে আমার ফরাসের উপর টিকের আগুন প’ড়ে গেল। আমি তাড়াতাড়ি যেই আগুনটা সরাতে গেছি অমনি কিনা আঙুলে ছ্যাঁক্ করে ফোস্কা প’ড়ে গেল! আচ্ছা, আপনিই বলুন-এতে কার না রাগ হয়? আরে, আমার হুঁকো, আমার কলকে, আমার আগুন, আমার ফরাস, আবার আমার উপরেই জুলুম! তাই আমি রাগ ক’রে-বেশি কিছ, নয়-ঐ মুগুরখানা দিয়ে পাঁচ দশ ঘা মারতেই কিনা হতভাগা হুঁকোটা ভেঙে খান্ খান!’ মাস্টারমশাই বললেন, ‘তা যাই বল বাপু, এ রাগ বড় চন্ডাল-রাগের মাথায় এমন কান্ড ক’রে বস, রাগটা একটু, কমাও।’ ‘কমাও তো বললেন-রাগ যে মুখের কথায় বাগ মানবে-এ রাগ আমার তেমন নয়।

Sukumar Roy

সুকুমার রায় উপেন্দ্ৰকিশোর রায়ের জ্যেষ্ঠ পুত্ৰ সুকুমারের জন্ম ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে। ১৯০৬-এ পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন দুই বিষয়েই অনার্স নিয়ে বি.এসসি পাশ করার পর ১৯১১-য় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গুরুপ্ৰসন্ন ঘোষ বৃত্তি লাভ করে মুদ্রণ বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য তিনি বিলেতে যান। লন্ডনে ও ম্যাঞ্চেস্টারে অধ্যয়ন করেন তিনি ও তাঁর গবেষণার জন্য সম্মানিত হন। ১৯১৩-য় উপেন্দ্ৰকিশোরের সম্পাদনায় ছোটদের সচিত্ৰ মাসিক পত্রিকা সন্দেশ’’ প্রকাশিত হয়। সুকুমার দেশে ফেরারী কিছুকাল পরে ১৯১৫-য় উপেন্দ্রকিশোরের মৃত্যু হয়। সুকুমার ইউ রায় অ্যান্ড সন্স কার্যালয়ের পরিচালনার এবং “সন্দেশ’ সম্পাদনার দায়িত্ব গ্ৰহণ করেন “সন্দেশ’-এর পাতাতেই তাঁর অধিকাংশ ছোটদের লেখা-গল্প, কবিতা, প্ৰবন্ধ, ধাঁধা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়েছে শুধু নিজের লেখা নয়, ছবি এঁকেছেন তিনি। “হ য ব র ল’, ‘আবোল তাবোল’ জাতীয় আজগুবি চালের বেঠিক বেতাল ভুলের ভবের গদ্য ও পদ্য রচনা ছাড়াও শিল্প সাহিত্য ভাষা ধর্ম বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিষয়ক গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও সক্রিয় ছিল তাঁর লেখনী। আড়াই বছর কালাজ্বরে ভুগে ১৯২৩-এ মাত্র ৩৬ বছর বয়সে সুকুমার রায় ১০০ গড়পার রোডের বাড়িতে পরলোকগমন করেন মৃত্যুর কিছুদিন আগেও তিনি শুয়ে শুয়ে সন্দেশের জন্য ছবি এঁকেছেন, প্রচ্ছদ রচনা করেছেন, গল্প কবিতা লিখেছেন আবোল তাবোল’-এর ডামি কপিাটাও রোগশয্যায় তৈরি করেছেন কিন্তু বইটি ছেপে বেরোবার ন” দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়।

Title

সুকুমার রায় এর অন্যান্য গল্প

Author

Sukumar Roy

Publisher

Gronthik Prakashon

Number of Pages

126

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Childrens Stories
  • First Published

    FEB 2024

    এক ছিল বুড়ো আর এক ছিল বুড়ী। তারা ভারি গরীব। আর বুড়ী বেজায় বোকা আর ভয়ানক বেশি কথা বলে-যেখানে সেখানে যার তার সঙ্গে গল্প জুড়ে দেয়-তার পেটে কোনও কথা থাকে না। বুড়ো একদিন তার জমি চষতে চষতে মাটির নিচে এক কলসী পেলে, সেই কলসী ভরা টাকা আর মোহর! তখন তার ভারি ভাবনা হল-এ টাকা যদি ফেলে রাখি কোনদিন কে চুরি ক’রে নেবে। আর যদি টাকা বাড়ি নিয়ে যাই, বুড়ী টের পেয়ে যাবে-সে সকলের কাছে তার গল্প করবে; ক্রমে কথা রাষ্ট্র হয়ে পড়লে রাজার কোটাল এসে সব কেড়েকুড়ে নিয়ে যাবে। ভেবে ভেবে সে এক ফন্দি আঁটল। সে ঠিক করল যে বুড়ীকে সব কথা বলবে কিন্তু এ রকম উপায় করব যাতে বুড়ীর কথা কেউ না বিশ্বাস করে। তখন সে একটা মাছ কিনে এনে তার ক্ষেতের ধারে একটা গাছের উপর বে’ধে রাখল, আর একটা খরগোস এনে নদীর ধারে একটা গর্তের মধ্যে জাল দিয়ে জড়িয়ে রাখল। তারপর সে তার স্ত্রীকে গিয়ে বলল, “একটা ভারি আশ্চর্য খবর শুনলাম-গাছের ডালে নাকি মাছ উড়ে বসে আর খরগোস নাকি জলে খেলা করে। আমাদের গণক ঠাকুর বলেন- “মৎস্য বসেন গাছে জলে খরগোস নাচে গুপ্ত রতন খুজলে পাবে খুঁড়লে তারি কাছে।” রাগের ওষুধ কেদারবাবু, বড় বদরাগী লোক। যখন রেগে বসেন, কান্ডাকান্ড জ্ঞান থাকে না। একদিন তিনি মুখখানা বিষণ্ণ ক’রে বসে আছেন, এমন সময় আমাদের মাস্টারবাবু, এসে বললেন, ‘কি হে কেদার� �েষ্ট, মুখখানা হাঁড়ি কেন ?” কেদারবাবু, বললেন, ‘আর মশাই, বলবেন না। আমার সেই রূপোবাঁধানো হুকোটা ভেঙে সাত টুকরো হয়ে গেল-মুখ হাঁড়ির মত হবে না তো কি বদনার মত হবে? মাস্টারমশাই বললেন, ‘বল কি হে? এ তো কাচের বাসন নয় কি মাটির পুতুল নয়-অমনি খামখা ভেঙে গেল, এর মানে কি? কেদারবাবু, বললেন, ‘খামখা ভাঙতে যাবে কেন-কথাটা শুনুন না। হল কী, কাল রাত্রে আমার ভাল ঘুম হয় নি। সকালবেলা উঠেছি, মুখ হাত ধুয়ে তামাক খেতে বসব, এমন সময় কলকেটা কাত হয়ে আমার ফরাসের উপর টিকের আগুন প’ড়ে গেল। আমি তাড়াতাড়ি যেই আগুনটা সরাতে গেছি অমনি কিনা আঙুলে ছ্যাঁক্ করে ফোস্কা প’ড়ে গেল! আচ্ছা, আপনিই বলুন-এতে কার না রাগ হয়? আরে, আমার হুঁকো, আমার কলকে, আমার আগুন, আমার ফরাস, আবার আমার উপরেই জুলুম! তাই আমি রাগ ক’রে-বেশি কিছ, নয়-ঐ মুগুরখানা দিয়ে পাঁচ দশ ঘা মারতেই কিনা হতভাগা হুঁকোটা ভেঙে খান্ খান!’ মাস্টারমশাই বললেন, ‘তা যাই বল বাপু, এ রাগ বড় চন্ডাল-রাগের মাথায় এমন কান্ড ক’রে বস, রাগটা একটু, কমাও।’ ‘কমাও তো বললেন-রাগ যে মুখের কথায় বাগ মানবে-এ রাগ আমার তেমন নয়।
    No Specifications