Skip to Content
আমার জীবন-যাত্রা : খণ্ড ৫

Price:

200.00 ৳


হিট রিফ্রেশ
হিট রিফ্রেশ
375.00 ৳
375.00 ৳
খুশবন্ত সিং ১
খুশবন্ত সিং ১
250.00 ৳
250.00 ৳

আমার জীবন-যাত্রা : খণ্ড ৫

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/31927/image_1920?unique=e7364e5

200.00 ৳ 200.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

এই খণ্ডটিই আমার জীবন-যাত্রা’র শেষ নখণ্ড সঞ্চিত সমস্ত ব্যুৎপত্তি অর্পণ করে লেখক যেন এইখানেই নিজেকে নির্ভর করে তুলেছেন। আর তাই নানা মহিমায় উজ্জ্বল। জীবন-যাত্রা’র এই অধ্যায়টি। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৬ এই কালপর্বে রাহুল। সাংকৃত্যায়নের সৃজনশীল জীবন, অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিবৃত্তি শেষবারের মতাে প্রতিভাসিত হয়ে ওঠে। শেষ কথাগুলাে বলার জন্যই। একই সঙ্গে উদগ্রীব ও উৎকণ্ঠিত তিনি। যদিও রাহুলের জীবনাচরণে ও সৃষ্টির প্রেক্ষিতে অন্ত বলে কিছু নেই। তার প্রতিটি পদক্ষেপ। একটি নতুন আরম্ভের অভিমুখে যাত্রা। এই খণ্ডে রাহুলের বয়স তেষট্টি বছর পূর্ণ। হয়। তবুও প্রতিটি অনুভূতিতে তিনি যুবকের ন্যায় সজাগ। অন্তর ও বাহিরের দৃষ্টি বাতায়নের। মতাে উন্মুক্ত। এই পৃষ্ঠাগুলিতেও আছে লেখকের পর্যটনময় জীবনের শাব্দিক চিত্রণ। আছে কেদার-বদ্রী, নেপাল, হিমাচল প্রদেশ, ছাপরা ও কলকাতা। নিছক ভ্রমণ নয়, যাত্রাপথের ভৌগােলিক বিবৃতি নয়, কথাসাহিত্যিকের সরল লিখনশৈলীতে উঠে এসেছে বিবিধ স্থানিক বিশ্লেষণ, পুরাতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি। আবার এই খণ্ডেই মহাপণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়নকে আমরা পিতার স্নেহে দীপ্যমান দেখি। সন্তানের জন্ম দিয়েই তিনি স্নেহ ও মমতার প্রাণবীজটি প্রােথিত করেন স্বদেশের মাটিতে। এখানেই সম্পূর্ণ হয়ে ওঠে যাত্রা-বলয়। মানুষের প্রতিটি মুখে, পায়ে পায়ে ধ্বনিত হয় চলিষ্ণুতার এক শাশ্বত আহ্বান।

Rahul Sankrityayan

রাহুল সাংকৃত্যায়ন তাঁর জন্ম ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে সনাতন হিন্দু ভূমিহার ব্রাহ্মণ পরিবারে। জন্মস্থান উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের একটি ছোট্ট গ্রাম। তাঁর আসল নাম ছিল কেদারনাথ পাণ্ডে। ছোটোবেলাতেই তিনি মাকে হারান। তাঁর পিতা গোবর্ধন পান্ডে ছিলেন একজন কৃষক। বাল্য কালে তিনি একটি গ্রাম্য পাঠশালায় ভর্তি হয়েছিলেন। আর এটিই ছিলো তাঁর জীবনে একমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। অষ্টম শ্রেণী অবধি অধ্যয়ন করেছিলেন। এখানে তিনি উর্দু ও সংস্কৃতের উপর প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। তিনি বহু ভাষায় শিক্ষা করেছিলেন যথা : হিন্দি, উর্দু, বাংলা, পালি, সংস্কৃত, আরবি, ফারসি, ইংরেজি, তিব্বতি ও রুশ। পুরস্কার তালিকা পদ্মভূষণ (১৯৬৩) সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৫৮) ব্যক্তিগত জীবন জালিওয়ানওয়ালা বাগের হত্যাকান্ড (১৯১৯) তাঁকে একজন শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী কর্মীতে রূপান্তরিত করে। এ সময় ইংরেজ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে তাকে আটক করা হয় এবং তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। এ সময়টিতে তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ সংস্কৃতে অনুবাদ করেন। পালি ও সিংহল ভাষা শিখে তিনি মূল বৌদ্ধ গ্রন্থগুলো পড়া শুরু করেন। এ সময় তিনি বৌদ্ধ ধর্ম দ্বারা আকৃষ্ট হন এবং নিজ নাম পরিবর্তন করে রাখেন রাহুল (বুদ্ধের পুত্রের নামানুসারে) সাংকৃত্যায়ন (আত্তীকরণ করে যে)।, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি বিহারে চলে যান এবং ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ-এর সাথে কাজ করা শুরু করেন। তিনি গান্ধিজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং এসময় তিনি গান্ধীজী প্রণীত কর্মসূচীতে যোগদান করেন। যদিও তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলো না, তবুও তার অসাধারণ পান্ডিত্যের জন্য রাশিয়ায় থাকাকালীন লেনিনগ্রাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে শিক্ষকতার অনুরোধ করা হয়। তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন। ভারতে এসে তিনি ডঃ কমলা নামক একজন ভারতীয় নেপালি মহিলা কে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান হয়, কন্যা জয়া ও পুত্র জিৎ। পরে শ্রীলংকায় (তৎকালীন সিংহল) বিদ্যালঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এখানে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে দার্জিলিংয়ে, ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ এপ্রিল তারিখে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Title

আমার জীবন-যাত্রা : খণ্ড ৫

Author

Rahul Sankrityayan

Publisher

Dey's Publishing House

Number of Pages

1956

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Autobiography
  • First Published

    JAN 1995

    এই খণ্ডটিই আমার জীবন-যাত্রা’র শেষ নখণ্ড সঞ্চিত সমস্ত ব্যুৎপত্তি অর্পণ করে লেখক যেন এইখানেই নিজেকে নির্ভর করে তুলেছেন। আর তাই নানা মহিমায় উজ্জ্বল। জীবন-যাত্রা’র এই অধ্যায়টি। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৬ এই কালপর্বে রাহুল। সাংকৃত্যায়নের সৃজনশীল জীবন, অভিজ্ঞতা ও বুদ্ধিবৃত্তি শেষবারের মতাে প্রতিভাসিত হয়ে ওঠে। শেষ কথাগুলাে বলার জন্যই। একই সঙ্গে উদগ্রীব ও উৎকণ্ঠিত তিনি। যদিও রাহুলের জীবনাচরণে ও সৃষ্টির প্রেক্ষিতে অন্ত বলে কিছু নেই। তার প্রতিটি পদক্ষেপ। একটি নতুন আরম্ভের অভিমুখে যাত্রা। এই খণ্ডে রাহুলের বয়স তেষট্টি বছর পূর্ণ। হয়। তবুও প্রতিটি অনুভূতিতে তিনি যুবকের ন্যায় সজাগ। অন্তর ও বাহিরের দৃষ্টি বাতায়নের। মতাে উন্মুক্ত। এই পৃষ্ঠাগুলিতেও আছে লেখকের পর্যটনময় জীবনের শাব্দিক চিত্রণ। আছে কেদার-বদ্রী, নেপাল, হিমাচল প্রদেশ, ছাপরা ও কলকাতা। নিছক ভ্রমণ নয়, যাত্রাপথের ভৌগােলিক বিবৃতি নয়, কথাসাহিত্যিকের সরল লিখনশৈলীতে উঠে এসেছে বিবিধ স্থানিক বিশ্লেষণ, পুরাতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি। আবার এই খণ্ডেই মহাপণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়নকে আমরা পিতার স্নেহে দীপ্যমান দেখি। সন্তানের জন্ম দিয়েই তিনি স্নেহ ও মমতার প্রাণবীজটি প্রােথিত করেন স্বদেশের মাটিতে। এখানেই সম্পূর্ণ হয়ে ওঠে যাত্রা-বলয়। মানুষের প্রতিটি মুখে, পায়ে পায়ে ধ্বনিত হয় চলিষ্ণুতার এক শাশ্বত আহ্বান।
    No Specifications