Skip to Content
বাঙ্গালা ব্যাকরণ

Price:

250.00 ৳


নক্সী কাঁথার মাঠ
নক্সী কাঁথার মাঠ
250.00 ৳
250.00 ৳
শাহনামার কবি ফেরদৌসী
শাহনামার কবি ফেরদৌসী
175.00 ৳
175.00 ৳

বাঙ্গালা ব্যাকরণ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/36501/image_1920?unique=5c0980e

250.00 ৳ 250.0 BDT 250.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

জ্ঞানতাপস ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত বাঙ্গালা ব্যাকরণ বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বলে সমাদৃত। ১৯৩৬ সালে প্রথম সংস্করণের পর ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত গ্রন্থটির ত্রয়ােদশ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রন্থকার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১৩ জুলাই ১৯৬৯ তারিখে (২৭ আষাঢ় ১৩৭৬) ইন্তেকাল করেন। ইটির আর কোনাে সংস্করণ প্রকাশিত হয়নি। উল্লেখ্য যে আচার্য সুনীতি কুমারের ভাষা প্রকাশ বাঙালা ব্যাকরণ গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার তিন বৎসরাধিকাল পূর্বে শহীদুল্লাহ্ রচিত বাঙ্গালা ব্যাকরণ বাংলা ভাষার করণের অভাব মিটিয়েছিল। এ গ্রন্থ প্রণয়নে গ্রন্থকারকে উৎসাহিত এবং সাহায্য করেছিলেন ড. সুশীল কুমার দে, আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, কবিবর মােহিত = ল মজুমদার, কালিদাস রায়, কবি শেখর, অধ্যাপক গুরুপ্রসাদ ভট্টাচার্য, চিন্তাহরণ বর্তী এবং চারুচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শহীদুল্লাহ রচিত বাঙ্গালা ব্যাকরণ-এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যাপক আবদুল হাই বলেন, ব্যাকরণ যে-কোনাে ভাষার বিজ্ঞানভিত্তিক বর্ণনা বিধায় তাতে (১) ধ্বনিতত্ত্ব, ২) রূপতত্ত্ব, (৩) বাক্যরীতি এবং (৪) বাগার্থ (শব্দ বিজ্ঞান) এ চারিটি প্রধান ভাগ। খাে যায়। শহীদুল্লাহ্ সাহেবের বাংলা ব্যাকরণটি এ-আদর্শ থেকে লিখিত ব’লে এতে উপক্রমণিকা অংশ বাদ দিয়ে ধ্বনি প্রকরণ, শব্দ প্রকরণ (রূপতত্ত্ব), বাক্য প্রকরণ এবং ইন্দ ও অলঙ্কার প্রকরণ ইত্যাদি বিভাগ দেখতে পাই। প্রতিটি বিভাগেই বাংলা ভাষার বর্ণনার ব্যাপারে তাঁর একটি সূক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টির পরিচয় বিধৃত। প্রথম বাঙালি মুসলমানের লেখা বলে নয়, বাঙালিদের মধ্যে যাঁরা যথার্থ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ লিখতে প্রয়াস সেছেন তাদের ব্যাকরণগুলাের পক্ষে শহীদুল্লাহ্ সাহেবের বাংলা ব্যাকরণটি বাংলা। বর্ণনার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

Dr. Muhammad Shahidullah

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভারতীয় উপমহাদেশের একজন স্মরণীয় বাঙালি ব্যক্তিত্ব, বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক ও দার্শনিক ছিলেন। তিনি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত চব্বিশ পরগণা জেলার পেয়ারা গ্রামে ১০ জুলাই ১৮৮৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।১৯০৪ সালে হাওড়া জেলা স্কুল থেকে এন্ট্রান্স এবং ১৯০৬ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফ.এ (বর্তমান এইচএসসি’র সমমান) পাশ করেন। ১৯১০ সালে সিটি কলেজ, কলকাতা থেকে সংস্কৃতে সম্মান-সহ বি.এ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক দর্শনতত্ত্বে এম.এ (১৯১২) ডিগ্রি অর্জন। এছাড়াও, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সরবন বিশ্ববিদ্যালয়, প্যারিস থেকে পি.এইচডি ডিগ্রি (১৯২৫) লাভ করেন। পড়াশোনা শেষ করার পূর্বেই কিছুকাল তিনি যশোর জেলা স্কুলে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। শহীদুল্লাহ সবসময়ই সাহিত্য কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন। এম.এ পাশ করার পরই তিনি বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির সম্পাদক হন। ১৯৪৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের সভাপতি ছিলেন। তিনি উর্দু অভিধান প্রকল্পেরও সম্পাদক ছিলেন। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ অনেক বই লিখেছেন। ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম এমেরিটাস অধ্যাপক পদ লাভ করেন। একই বছর ফ্রান্স সরকার তাকে সম্মানজনক পদক নাইট অফ দি অর্ডারস অফ আর্টস অ্যান্ড লেটার্স দেয়। ঢাকা সংস্কৃত পরিষদ তাঁকে ‘বিদ্যাবাচস্পতি’ উপাধিতে ভূষিত করে। পাকিস্তান আমলে তাকে ‘প্রাইড অফ পারফরমেন্স পদক’ ও মরণোত্তর হিলাল ই ইমতিয়াজ খেতাব প্রদান করা হয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশন্স তাঁকে সম্মানিত সদস্য (ফেলো) রূপে মনোনয়ন করে কিন্তু পাকিস্তান সরকারের অনুমতি না থাকায় তিনি তা গ্রহণ করেন নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে মরণোত্তর ‘ডি লিট’ উপাধি দেয়। ১৯৮০ সালে মরণোত্তর বাংলাদেশের স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সালের ১৩ জুলাই ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের পাশে সমাহিত করা হয়। ভাষাক্ষেত্রে তাঁর অমর অবদানকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে ঐ বছরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ঢাকা হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় শহীদুল্লাহ হল। এছাড়াও তাঁর নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কলা ভবনের নামকরণ করা হয়।

Title

বাঙ্গালা ব্যাকরণ

Author

Dr. Muhammad Shahidullah

Publisher

Mowla Brothers

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Language
  • Grammar
  • জ্ঞানতাপস ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত বাঙ্গালা ব্যাকরণ বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ বলে সমাদৃত। ১৯৩৬ সালে প্রথম সংস্করণের পর ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত গ্রন্থটির ত্রয়ােদশ সংস্করণ প্রকাশিত হয়। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে গ্রন্থকার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১৩ জুলাই ১৯৬৯ তারিখে (২৭ আষাঢ় ১৩৭৬) ইন্তেকাল করেন। ইটির আর কোনাে সংস্করণ প্রকাশিত হয়নি। উল্লেখ্য যে আচার্য সুনীতি কুমারের ভাষা প্রকাশ বাঙালা ব্যাকরণ গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার তিন বৎসরাধিকাল পূর্বে শহীদুল্লাহ্ রচিত বাঙ্গালা ব্যাকরণ বাংলা ভাষার করণের অভাব মিটিয়েছিল। এ গ্রন্থ প্রণয়নে গ্রন্থকারকে উৎসাহিত এবং সাহায্য করেছিলেন ড. সুশীল কুমার দে, আচার্য সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়, কবিবর মােহিত = ল মজুমদার, কালিদাস রায়, কবি শেখর, অধ্যাপক গুরুপ্রসাদ ভট্টাচার্য, চিন্তাহরণ বর্তী এবং চারুচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শহীদুল্লাহ রচিত বাঙ্গালা ব্যাকরণ-এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অধ্যাপক আবদুল হাই বলেন, ব্যাকরণ যে-কোনাে ভাষার বিজ্ঞানভিত্তিক বর্ণনা বিধায় তাতে (১) ধ্বনিতত্ত্ব, ২) রূপতত্ত্ব, (৩) বাক্যরীতি এবং (৪) বাগার্থ (শব্দ বিজ্ঞান) এ চারিটি প্রধান ভাগ। খাে যায়। শহীদুল্লাহ্ সাহেবের বাংলা ব্যাকরণটি এ-আদর্শ থেকে লিখিত ব’লে এতে উপক্রমণিকা অংশ বাদ দিয়ে ধ্বনি প্রকরণ, শব্দ প্রকরণ (রূপতত্ত্ব), বাক্য প্রকরণ এবং ইন্দ ও অলঙ্কার প্রকরণ ইত্যাদি বিভাগ দেখতে পাই। প্রতিটি বিভাগেই বাংলা ভাষার বর্ণনার ব্যাপারে তাঁর একটি সূক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টির পরিচয় বিধৃত। প্রথম বাঙালি মুসলমানের লেখা বলে নয়, বাঙালিদের মধ্যে যাঁরা যথার্থ বাংলা ভাষার ব্যাকরণ লিখতে প্রয়াস সেছেন তাদের ব্যাকরণগুলাের পক্ষে শহীদুল্লাহ্ সাহেবের বাংলা ব্যাকরণটি বাংলা। বর্ণনার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
    No Specifications