Skip to Content
বহে জলবতী ধারা : খণ্ড ১ (ছেলেবেলা)

Price:

360.00 ৳


চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট
চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট
325.00 ৳
325.00 ৳
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে কুড়িগ্রাম
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে কুড়িগ্রাম
325.00 ৳
325.00 ৳

বহে জলবতী ধারা : খণ্ড ১ (ছেলেবেলা)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/26258/image_1920?unique=4e49fd8

360.00 ৳ 360.0 BDT 360.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

জীবন বহমান, জলবতী ধারার মতোই; কিন্তু মানুষের। জীবনের একটা আশ্চর্য ব্যাপার হলো, সে শুধু বহেই চলে না, নিজের গতিপথের দিকে তাকাতেও পারে, একই সঙ্গে একটা। জীবন যাপন করা আর সেই যাপিত জীবনের স্মৃতিরচনা করা সম্ভব হয় মানুষের পক্ষে। আর সেই জীবনটা যদি হয় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতো কর্মকীর্তিময় মানুষের, তাহলে তা হয়ে ওঠে আরও বর্ণাঢ্য, আরো বিরাট এক অনুভূতিময় আবেগদীপ্ত ব্যাপার। ‘বহে জলবতী ধারা প্রথম খণ্ডে রয়েছে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের শৈশবের স্মৃতিচারণ—করটিয়া, জামালপুর, পাবনা, বাগেরহাটের নিসর্গ আর সভ্যতায় জড়াজড়ি করা রহস্যময় পথিবী—সেই সঙ্গে ঢাকা ও কলকাতার নাগরিক জীবনের উত্তেজনা ও কল্লোল; আর এ সবকিছুর ওপর দিয়ে মুগ্ধতা। ছড়িয়ে রাখা তার ভেতরকার অনিঃশেষ বিস্ময়বোধ। একটা শিশু বেড়ে উঠছে তার সময়কালস্থানের পটভূমিতে, তার চারপাশে আছে নানা চরিত্র, তার কলেজ শিক্ষক আব্বা, মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষকেরা, উনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি রেনেসাঁসের উত্তরসূরি সংস্কৃতিবান হিন্দু সম্প্রদায়, নবজাগ্রত। মুসলমান, স্কুলের বন্ধু, মা-ভাইবোনের প্রাণবন্ত পারিবারিক জীবন, মায়ের মৃত্যুবেদনা, গ্রামের জীবনের দুঃখকষ্ট, রাজনৈতিক উত্তেজনা এমনি অনেক কিছু । একেকবার সে বড় হয়ে হতে চাইছে একেক কিছু, কখনও খেলোয়াড়, কখনও গুণ্ডা, কখনও কবি, কখনও দার্শনিক। কখনও পিতার মতোই আদর্শবাদী শিক্ষক, কখনো ট্রেনের ড্রাইভার, কখনো চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট—কোনটা তার নিয়তি জানা নেই। কিন্তু এসবের থেকেও এই বইয়ের যা বড় সম্পদ। তা হল জীবন-নদীর তীরে দাড়িয়ে এসব কিছুকে তাঁর। নিবিষ্টভাবে দেখে যাওয়া—শুধু চোখের দেখা নয়, বিশদভাবে। দেখা, শিল্পীর চোখ দিয়ে, কবির চোখ দিয়ে, প্রেমিকের চোখ। দিয়ে, দার্শনিকের চোখ দিয়ে দেখা—আর তাকে ব্যাখ্যা। করা, বর্ণনা করা । অসাধারণ তার ভাষাশৈলী, সজীব ও প্রাণবন্ত তার বর্ণনাভঙ্গি, অথচ একই সঙ্গে রসবোধে টইটুম্বুর । একদিকে দার্শনিকের প্রজ্ঞা অন্যদিকে কবিত্বের সৌন্দর্য আর শক্তিতে প্রসাদগুণসম্পন্ন এই বইটিতে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ লিখে। রাখছেন তার সময় আর স্বদেশ আর স্বগ্রহের বিশ্বস্ত বয়ান, লিখে রেখে যাচ্ছেন একমহতী উপন্যাসের মতো দেশকালের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিমানুষের বেড়ে ওঠার ব্যক্তিগত কাহিনী—জীবন সম্পর্কে এক অভিজ্ঞ মানুষের ব্যাখ্যা। সবটা মিলিয়ে এই গ্রন্থ আমাদের সময়ের একটি শ্রেষ্ঠ বই হিসেবে। সমাদৃত হবে কালের পাঠশালায়—এই আশা মোটেও বেশি কিছু নয়।

Abdullah Abu Sayeed

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (জন্ম ২৫ জুলাই ১৯৩৯) বাংলাদেশের একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক। তিনি ষাটের দশকে একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবি হিসেবে পরিচিতি পান। সে সময়ে সমালোচক এবং সাহিত্য-সম্পাদক হিসাবেও তিনি অবদান রেখেছিলেন। তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য কীর্তি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, যা চল্লিশ বছর ধরে বাংলাদেশে ‘আলোকিত মানুষ’ তৈরির কাজে নিয়োজিত রয়েছে। ২০০৪ সালে তিনি রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে অ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তারে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে ২০০৫ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। প্রবন্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০১২ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি টিভি উপস্থাপক হিসাবে বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন আবু সায়ীদ ১৯৬১ সালে মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি কিছুকাল সিলেট মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৬২ সালের পহেলা এপ্রিল তিনি রাজশাহী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে সরকারি চাকুরিজীবন শুরু করেন। সেখানে পাঁচ মাস শিক্ষকতা করার পর তিনি ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে যোগ দেন (বর্তমানে সরকারী বিজ্ঞান কলেজ)। এই কলেজে তিনি দু' বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র তেইশ। এরপর তিনি ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে সেখানে যোগদান করেন। আবু সায়ীদ যখন ঢাকা কলেজে যোগ দেন তখন কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন কথাসাহিত্যিক ও গদ্য লেখক শওকত ওসমান৷ ষাটের দশকে বাংলাদেশে যে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলন হয়, তিনি ছিলেন তাঁর নেতৃত্বে। সাহিত্য পত্রিকা কণ্ঠস্বর সম্পাদনার মাধ্যমে সেকালের নবীন সাহিত্যযাত্রাকে তিনি নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিয়ে সংহত ও বেগবান করে রেখেছিলেন এক দশক ধরে। এ সময় কিছুকাল বাংলাদেশে টেলিভিশনে উপস্থাপনাও করেন

Title

বহে জলবতী ধারা : খণ্ড ১ (ছেলেবেলা)

Author

Abdullah Abu Sayeed

Publisher

Somoy Prokashon

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Autobiography
  • জীবন বহমান, জলবতী ধারার মতোই; কিন্তু মানুষের। জীবনের একটা আশ্চর্য ব্যাপার হলো, সে শুধু বহেই চলে না, নিজের গতিপথের দিকে তাকাতেও পারে, একই সঙ্গে একটা। জীবন যাপন করা আর সেই যাপিত জীবনের স্মৃতিরচনা করা সম্ভব হয় মানুষের পক্ষে। আর সেই জীবনটা যদি হয় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের মতো কর্মকীর্তিময় মানুষের, তাহলে তা হয়ে ওঠে আরও বর্ণাঢ্য, আরো বিরাট এক অনুভূতিময় আবেগদীপ্ত ব্যাপার। ‘বহে জলবতী ধারা প্রথম খণ্ডে রয়েছে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের শৈশবের স্মৃতিচারণ—করটিয়া, জামালপুর, পাবনা, বাগেরহাটের নিসর্গ আর সভ্যতায় জড়াজড়ি করা রহস্যময় পথিবী—সেই সঙ্গে ঢাকা ও কলকাতার নাগরিক জীবনের উত্তেজনা ও কল্লোল; আর এ সবকিছুর ওপর দিয়ে মুগ্ধতা। ছড়িয়ে রাখা তার ভেতরকার অনিঃশেষ বিস্ময়বোধ। একটা শিশু বেড়ে উঠছে তার সময়কালস্থানের পটভূমিতে, তার চারপাশে আছে নানা চরিত্র, তার কলেজ শিক্ষক আব্বা, মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষকেরা, উনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি রেনেসাঁসের উত্তরসূরি সংস্কৃতিবান হিন্দু সম্প্রদায়, নবজাগ্রত। মুসলমান, স্কুলের বন্ধু, মা-ভাইবোনের প্রাণবন্ত পারিবারিক জীবন, মায়ের মৃত্যুবেদনা, গ্রামের জীবনের দুঃখকষ্ট, রাজনৈতিক উত্তেজনা এমনি অনেক কিছু । একেকবার সে বড় হয়ে হতে চাইছে একেক কিছু, কখনও খেলোয়াড়, কখনও গুণ্ডা, কখনও কবি, কখনও দার্শনিক। কখনও পিতার মতোই আদর্শবাদী শিক্ষক, কখনো ট্রেনের ড্রাইভার, কখনো চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট—কোনটা তার নিয়তি জানা নেই। কিন্তু এসবের থেকেও এই বইয়ের যা বড় সম্পদ। তা হল জীবন-নদীর তীরে দাড়িয়ে এসব কিছুকে তাঁর। নিবিষ্টভাবে দেখে যাওয়া—শুধু চোখের দেখা নয়, বিশদভাবে। দেখা, শিল্পীর চোখ দিয়ে, কবির চোখ দিয়ে, প্রেমিকের চোখ। দিয়ে, দার্শনিকের চোখ দিয়ে দেখা—আর তাকে ব্যাখ্যা। করা, বর্ণনা করা । অসাধারণ তার ভাষাশৈলী, সজীব ও প্রাণবন্ত তার বর্ণনাভঙ্গি, অথচ একই সঙ্গে রসবোধে টইটুম্বুর । একদিকে দার্শনিকের প্রজ্ঞা অন্যদিকে কবিত্বের সৌন্দর্য আর শক্তিতে প্রসাদগুণসম্পন্ন এই বইটিতে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ লিখে। রাখছেন তার সময় আর স্বদেশ আর স্বগ্রহের বিশ্বস্ত বয়ান, লিখে রেখে যাচ্ছেন একমহতী উপন্যাসের মতো দেশকালের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিমানুষের বেড়ে ওঠার ব্যক্তিগত কাহিনী—জীবন সম্পর্কে এক অভিজ্ঞ মানুষের ব্যাখ্যা। সবটা মিলিয়ে এই গ্রন্থ আমাদের সময়ের একটি শ্রেষ্ঠ বই হিসেবে। সমাদৃত হবে কালের পাঠশালায়—এই আশা মোটেও বেশি কিছু নয়।
    No Specifications