Skip to Content
Filters

author.name

তপন বন্দ্যোপাধ্যায়

তপন বন্দ্যোপাধ্যায় হতে চেয়েছিলেন কবি, তার ভবিতব্য তাঁকে নিয়ে গেল গল্প-উপন্যাস লেখায়। এও ভাবেননি গােয়েন্দা উপন্যাস লিখবেন কখনও। একজন লেখকের লেখার গতিপথ বদলে বদলে যায় নানা কার্যকারণের মাধ্যমে। গত সাড়ে চার দশকের সাহিত্যজীবনে প্রকাশিত হয়েছে এগারােটি কবিতার বই। অনুবাদ কবিতার বইয়ের সংখ্যা। পাঁচটি, সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ ছটি। গ্রন্থিত হয়েছে চারশােরও বেশি ছােটগল্প, বড়দের ও ছােটদের মিলিয়ে আশিটির মতাে উপন্যাস। প্রকাশিত হয়েছে স্মৃতিচারণা, ভ্রমণ ও প্রবন্ধের বইও। সুন্দরবনের একশাে বছরের ইতিহাস অবলম্বনে লেখা তিনখণ্ডে প্রকাশিত নদী মাটি অরণ্য’ উপন্যাসের জন্য লেখক পেয়েছেন রাজ্য সরকারের বঙ্কিম পুরস্কার। ‘মহুলবনীর সেরে’ চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার’ হিসেবে পেয়েছেন বি এফ জে এ পুরস্কার। অন্যান্য বিখ্যাত বইয়ের মধ্যে আত্মজৈবনিক উপন্যাস ‘শঙ্খচিলের ডানা’, যােড়শ শতাব্দীর ধ্রুপদ সংগীতের। পুনরুত্থানের ইতিহাস নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘মালবকৌশিক, বেদ-উপনিষদের সময়কাল নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘তত্ত্বমসি', বিংশ শতাব্দীর শেষ পাদের রাজনৈতিক লড়াই নিয়ে ‘দ্বৈরথ।। অন্যান্য পুরস্কার : গল্প-উপন্যাসে—সাহিত্যসেতু পুরস্কার, ১৯৯৩-এ অমৃতলােক পুরস্কার ১৯৯৭-এ, প্রতিমা মিত্র স্মৃতি পুরস্কার ২০০৫এ, কৃত্তিবাস সাহিত্য পুরস্কার। ২০০৫ সালে, শৈলজানন্দ স্মৃতি পুরস্কার ২০০৫এ, রূপসী বাংলা পুরস্কার, ত্রিবৃত্ত পুরস্কার ২০০৯ সালে, শিলচরের দ্বিরালাপ স্মারক ২০১০ সালে, তারাশঙ্কর পুরস্কার ২০১১ সালে, মহাদিগন্ত পুরস্কার ২০১২-তে।। কবিতায়-২০০১এ সাংস্কৃতিক খবর সম্মান, ১৯৯৩, ভারত চন্দ্র রায়গুণাকর পুরস্কার ২০০৫ সালে।। কিশােরসাহিত্যের জন্য পেয়েছেন ২০১১-তে দীনেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার।কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮-তে পেয়েছেন বাংলাদেশের টাঙ্গাইল থেকে ভাষাসৈনিক সােফিয়া খান পুরস্কার। সাহিত্য আকাদেমির আমন্ত্রণে। ভারতীয় লেখক হিসেবে চিনের আন্তর্জাতিক বইমেলায়। দিয়েছেন দুটি বক্তৃতা। চারবার গিয়েছেন বাংলাদেশের নানা প্রতিষ্ঠানের কবিসম্মেলন ও আলােচনাসভায়।