Skip to Content
Filters

author.name

আফরোজান নাহার রাশেদা

আফরোজান নাহার রাশেদা মানব কল্যাণের লক্ষ্যে জ্যোতির্বিজ্ঞানী অধ্যাপক মাে. আবদুল জব্বার, অধ্যাপক আ. মু. জহুরুল হক, ড. আবদুল্লাহ আল মুতী, অধ্যাপক আলী আসগর, পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক এ.এম হারুন-উর-রশীদ, সাংবাদিক সন্তোস গুপ্ত, রবীন্দ্রসঙ্গীত বিশেষজ্ঞ ওয়াহিদুল হকসহ অনেকের সান্নিধ্যে যে বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ গড়ে উঠেছিল- এ. এন. রাশেদা প্রথম থেকেই তার সাথে জীবন সদস্য হিসেবে যুক্ত হয়ে বিজ্ঞানশিক্ষা ও বিজ্ঞানবিষয়ে লেখালেখি করেছেন। স্কুলপর্যায়ে মার্কিনীদের পরিত্যক্ত আইডিয়া এসাে নিজে করি’ তথ্যউপাত্তহীন বিজ্ঞান বিষয়ক বইয়ের কঠোর সমালােচনা করেছেন। ১৯৮৬ সালে বিজ্ঞান লেখক সম্মেলনে যা বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদ ও বাংলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে হয়েছিল এবং ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমি কর্তক ‘বিজ্ঞান লেখক সম্মেলন ১৩৯২’ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে শিক্ষার জাতীয়করণ ও শতভাগ বেতন-ভাতার দাবিতে দেশব্যাপী যে সফল শিক্ষক আন্দোলন হয়েছিল। সেখানেও তিনি ছিলেন সামনের কাতারেই। আবার ১৯৯৫ সালে বিএনপি শাসনামলে ঐ স্কুল পর্যায়ে যখন পদার্থ, রসায়ন, গণিত, বায়ােলজি নিয়ে পড়ার পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল- ইসলামী শিক্ষা ও কৃষি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেতখন এ. এন. রাশেদা উদ্যোগী হয়ে শিক্ষাবার্তা ও গণ সাহায্য সংস্থার সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে দেশের প্রায় সকল শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন শিক্ষাবিদদের নিয়ে সেমিনার আয়ােজন করে এবং সচিবালয়ে যেয়ে তাদের দাবির পক্ষে যুক্তি উত্থাপন করেছিলেন। ডেলিগেশনে ছিলেন ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী, অধ্যাপক ড. এ. আর, খানসহ অনেকে। ১৯৯৬ সালে বাের্ড পরীক্ষায় খাতার প্রথম পাতা- বৃত্ত ভরাটপদ্ধতি প্রবর্তনকালে দেখা গেল ভয়ংকর রেজাল্ট বিভ্রাট। যেমন বাংলায় প্রথম পত্রে ৬০ পেয়ে দ্বিতীয় পত্রে শূন্য বা ১০ পাওয়া- যা ছিল একেবারেই অবিশ্বাস্য। তখন তিনি সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের প্রিন্সিপাল সৈয়দা শামসে আরা। হােসেন, সমমনা শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে গঠন করলেন শিক্ষক-অভিভাবক ফোরাম। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে বহু শিক্ষার্থীর ফলাফলের বিভ্রাট তুলে ধরে বাের্ড চেয়ারম্যানের সহায়তায় অনেক রেজাল্ট শুধরিয়েছিলেন। যে।