আশামণি
আশামণি মূলত সাম্যের কবি। শিল্প সংস্কৃতির উর্বর ভূমি নড়াইলের বহতা চিত্রার কোল জুড়ে ২১ ফেব্রুয়ারি জন্ম নেন কবি। আশামণি । আবদুস সালাম ও সৈয়দা মনােয়ারা বেগম দম্পতির প্রথম সন্তান তিনি। ছেলেবেলা থেকেই একটু ব্যতিক্রমী । নির্জনতাপ্রিয়-অন্তমুখী । বই পড়া এবং ভ্রমণ তাঁর নেশা। বাবা ছিলেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। বাবার উৎসাহে কবিতা লেখালেখির মধ্য দিয়েই তাঁর সাহিত্যাঙ্গনে প্রবেশ । যে কোনাে বৈষম্যের বিরুদ্ধে তাঁর কলম নির্ভীকভাবেই সােচ্চার। ভারত বাংলাদেশের অসংখ্য পত্র পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়ে আসছে। নিরলস লিখে চলেছেন ছড়া-কবিতা-প্রবন্ধ-গল্প এবং উপন্যাস। ফলস্বরূপ দেশে বিদেশে কুড়িয়েছেন অনেক সম্মাননা। বহুমুখি-বহুমাত্রিক প্রতিভার কবি আশামণি স্বভাবেও বহির্মুখী। একজন সঙ্গীত ও আবৃত্তির শিক্ষক হিসেবেও তাঁর সুখ্যাতি রয়েছে। নিন্দা প্রশংসা বা সমালােচনায় কবি চিত্রার মতােই অবিকার । আশামণি একসময় সাংবাদিকতাও করেছেন। সে সময়ে তাঁর প্রকাশিত কলামগুলাে পাঠক মহলে প্রশংসিত হয় । পরপর ছয়খানা কবিতার বই, তিনটি উপন্যাস, একটি ছােটগল্প গ্রন্থ ও কটি প্রবন্ধের বই ইতােমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। সম্পাদনা করেছেন ‘হৃদয়ে শেখ রাসেল’, ‘শতদল','বঙ্গবন্ধু-এই প্রজন্মের ভাবনা এবং বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ’ নামক গ্রন্থ। কেবল কবি ও লেখক হিসেবে নয়, সংগঠক হিসেবেও রয়েছে তাঁর সমান দক্ষতা-জনপ্রিয়তা। বঙ্গবন্ধু তরুণ লেখক পরিষদের (কেন্দ্রিয় কমিটি) মহাসচিব এবং নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি। তিনি বঙ্গবন্ধু তরুণ লেখক পরিষদের মুখপাত্র বজ্রকণ্ঠ’-এর। নির্বাহী সম্পাদক এবং রাসেলের কণ্ঠ পত্রিকার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন 'বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শিশু নিকেতন। কবি আশামণি মানবতায় বিশ্বাসী। দেশের গণ্ডী পেরিয়ে তাঁর চেতনাজগত বিশ্ব মানবতার ফল্গুধারায় প্রবাহমান। তাঁর কবিতা প্রকাশিত হচ্ছে নিউইয়র্ক-এর প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নিউইয়র্ক বইমেলায় প্রদর্শিত হয়েছে আশামণির উপন্যাস, কবিতা ও প্রবন্ধ গ্রন্থ।