ওয়ালিদ প্রত্যয়
মেহেদী হাসান অনিক বিক্রমপুরের ছােট্ট একটা গ্রামে আমার নানাবাড়িতে যখন জন্মগ্রহণ করেছি তখন সেখানে বৈদ্যুতিক সংযােগ ছিল না। স্বাভাবিক নবজাতকের মতাে ক্রন্দন শেষে ভাদ্রের তীব্র দাবদাহের মধ্যেই আমি অবাক হয়ে পৃথিবী দেখেছি। স্বাস্থ্যবান বিড়ালের মতাে শৈশব থেকে চুল-দাড়িসমেত যৌবন পর্যন্ত আমি অবাক হয়েই চলেহি। অবাক হয়েছি সুতা কেটে যাওয়া ঘুড়ি থেকে ঝর্ণার মতাে চঞ্চল তনয়া’কে দেখেও। অলসতা ভীষণ প্রিয় হওয়ার কারণে এখনও দেখা হয়নি সমুদ্রের পাশে পাহাড়, দেখিনি তিন প্রহরের বিল—যেখানে সাপ আর ভ্রমর খেলা করে। আপাতত ক্ষুধার প্রয়ােজনে মাথায় একডজন ইট নিয়ে কর্মরত বারাে বছর বয়েসী ছেলেটাই আমার কাছে পাহাড়, তার ঘর্মাক্ত চিবুকই সমুদ্র। আর সাপ-ভ্রমরের খেলা দেখেছি মধ্যবিত্ত বাবার মাস শেষের বুকপকেটে। এভবেই পাকার কাগজ এবং মানুষের স্রোতের মধ্য দিয়ে জীবন কেটে যাচ্ছে—দেখছি—অবাক