Skip to Content
Filters

author.name

পূর্ণেন্দু দস্তিদার

পূর্ণেন্দু দস্তিদার (২০শে জুন, ১৯০৯ — ৯ মে, ১৯৭১ ) চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন ধলঘাট গ্রামে। তার বাবা চন্দ্রকুমার। দস্তিদার চট্টগ্রাম আদালতে চাকরি করতেন। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রবেশিকা ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করার পর পুর্ণেন্দু দস্তিদার যাদবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন। তার আগে স্কুল-কলেজে পড়া অবস্থায়ই তিনি বিপ্লবী রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি যখন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শেষবর্ষের ছাত্র তখনই চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার অভিযােগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রথমে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে এবং পরে মেদিনীপুরের হিজলি জেলে ও রাজপুতানার দেউলি জেলে বন্দি করে রাখা হয় তাঁকে। বন্দি অবস্থায়ই তিনি ডিস্টিংশনসহ বিএসসি ও পরে ল পাশ করেন। এই বন্দিজীবনেই মার্কসবাদী তত্ত্বের সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে এবং তিনি কমিউনিস্ট মতাদর্শে দীক্ষিত হন। কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে যােগাযােগ ঘটে তার, যা আমৃত্যু স্থায়ী হয়। দেশভাগের পর আইন ব্যবসার পাশাপাশি তিনি প্রগতিশীল রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন। ১৯৪৮ সালে তাকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। এই বন্দি অবস্থায়ই ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের মনােনয়নে তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। পরিষদে তিনি চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের শহীদদের স্মৃতিতে স্মারকস্তম্ভ নির্মাণের প্রস্তাব করলে তা গৃহীত হয়। ১৯৫৭ সালে ন্যাশনাল আওয়ামি পার্টি (ন্যাপ) গঠিত হলে তিনি তার সঙ্গে যুক্ত হন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি ন্যাপ-এর চট্টগ্রাম শহর শাখার সভাপতি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দুর্গম পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় অসুস্থ অবস্থায় ১৯৭১ সালের ৯ মে ভারতের উত্তপূর্বাঞ্চলের বাজেতলাং সীমান্ত ঘাঁটিতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। তিন দফায় পাকিস্তানি শাসনামলের তেইশ বছরের ষােল বছরই পূর্ণেন্দু দস্তিদারকে কারান্তরালে কাটাতে হয়। বন্দি অবস্থায় জ্ঞানচর্চার পাশাপাশি তিনি লেখালেখি করেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে চট্টগ্রাম (১৯৬৭) ছাড়াও তাঁর প্রকাশিত অন্যান্য গ্রন্থ হল কবিয়াল রমেশ শীল (১৯৬৩) ও বীরকন্যা প্রীতিলতা (১৯৭০)! এছাড়াও তিনি শেখভ ও মোপাসার গল্প অনুবাদ করেন।