মারজুক রাসেল
মারজুক রাসেল (জন্ম ১৫ আগস্ট ১৯৭৩) একজন বাংলাদেশী কবি, গীতিকার, মডেল এবং অভিনেতা। তার কর্মজীবনের শুরু কবিতা ও গানের গীত রচনার মধ্য দিয়ে। তিনি টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, টেলিভিশনে তার অভিনীত প্রথম কাজ ছিল মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত আয়না মহল। সেই থেকে তিনি বহু টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন এবং অসংখ্য টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন। তিনি ২০০৪ সালে ব্যাচেলর চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ের সূচনা করেন এবং প্রশংসা পান। মারজুক একাধিক সঙ্গীত ভিডিওতে কাজ করেছেন, যেমন ঘুড়ি তুমি কার আকাশে উড়ো (২০১২), স্মৃতি কথা (২০১৭). মারজুক ১৯৯৫ সালে গান লেখা শুরু করেন। সে সময় তিনি গান লিখে বিভিন্ন সুরকারকে দিতেন, কিন্তু কোন সুরকার তার গান নেননি। দুই বছর পর তিনি এক বন্ধুর বাসায় জেমসের গাওয়া "মান্নান মিয়ার তিতাস মলম" গান শুনে জেমসের সাথে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন। লেখালেখির সূত্র ধরে তার সঞ্জীব চৌধুরীর সাথে পরিচয় ছিল, তার মাধ্যমেই সাউন্ড গার্ডেন স্টুডিওতে জেমসের সাথে সাক্ষাৎ করেন। জেমস তখন লেইস ফিতা অ্যালবামের কাজ করছেন। মারজুক সেই অ্যালবামের জন্য "হাউজি", "দে দৌড়", এবং "রাখে আল্লাহ মারে কে" গান লিখেন। এরপর সাড়ে চার বছর জেমসের সাথে কাজ করেন। জেমসের "ঠিক আছে বন্ধু" অ্যালবামের জন্য "মীরাবাঈ", "এপিটাফ", "পত্র দিও"সহ ৭-৮টি গান লিখেন। "মীরাবাঈ" তার লেখা প্রথম জনপ্রিয় গান। এরপর তিনি বৃহস্পতি মিক্সড অ্যালবামের জন্য লিখেন "তেরো নদী সাত সমুদ্দুর", "শুরু হলো ভালোবাসা"। তিনি পুনরায় জেমসের জন্য পাগলা হাওয়া অ্যালবামের "আমি ভাসবে যে জলে" গান লিখেন। তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যের শিরোনাম শান্টিং ছাড়া সংযোগ নিষিদ্ধ। তারপরে তিনি যথাক্রমে তিনটি কবিতা লিখেছিলেন - চান্দের বুড়ির বয়স যখন ষোল (২০০৩), বাঈজী বাড়ি রোড, ছোট্ট কোথায় টেনিস বল। তিনি প্রথম মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত আয়না মহল ভিডিও ফিকশনের মধ্য দিয়ে অভিনয় জীবন শুরু করেন।এরপর তিনি চড়ুইভাতি টিভি নাটকে অভিনয় করেন। ফারুকীর সহকারী হিসেবে তিনি স্বরবর্ণ থিয়েটারে কাজ করেন। ২০০৪ সালে ব্যাচেলর দিয়ে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে এবং তার কাজ বেশ প্রশংসিত হয়