Skip to Content
Filters

author.name

শ্রী প্রলয় মজুমদার

কলকাতায় জন্ম। বাবার হাত ধরে পারিবারিক সূত্রে শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে শিশুকাল থেকে বেড়ে ওঠা। বাবার সূত্রেই চিত্র আর মঞ্চ জগতে তার অনুপ্রবেশ। কলকাতায় নিজস্ব নাট্যগোষ্ঠী স্থাপনার সাথে নাট্য রচনা, পরিচালনা আর অভিনয়। জীবনের প্রয়োজনেই সংগীত রচনা। প্রবন্ধ রচনা। বাবা গোবর মজুমদার বরিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব ও অন্যতম বাগ্মীপ্রবর সৎসঙ্গ আন্দোলনে। মা রেবা মজুমদার কলকাতা টেলিফোনসের বিশিষ্ট উচ্চপদস্থ কর্মী ছিলেন। বাবা ছিলেন হোসিয়ারি শিল্পের একজন প্রতিষ্ঠিত শিল্পপতি। ঠাকুরের আদেশে দু-জনেই সমস্ত কিছু ত্যাগ করে সৎসঙ্গের সর্বক্ষণের সন্ন্যাসীকর্মী হয়েছিলেন। সেই পারিবারিক এক প্রশিক্ষণ থেকেই ঠাকুরের চরণতলে জীবনের প্রায়োগিক প্রয়োজনকে বিচলনে আর বিজ্ঞানের পদ্ধতি প্রকরণে আহরণে অর্জন, তথাকথিত বিদ্যা শিক্ষার প্রচলিত শ্রীঅঙ্গনে বিচরণ না করেই। সৎসঙ্গ আন্দোলনে আজীবন একজন সর্বক্ষণের কর্মী হয়েই যার আজ প্রসার ও ব্যাপ্তি ভারতীয় উপমহাদেশে একজন অন্যতম বাগ্মীপ্রবর রূপে—শ্রী প্রলয় মজুমদার। তার অনেক নাট্য রচনার মধ্যে অন্যতম 'মুসাফিরের পালা'। সৎসঙ্গ আন্দোলনে ঠাকুরের ভাবাদর্শে প্রকাশিত গ্রন্থমালা—'অগ্নিহৌত্র আন্দোলন', 'ভাবা যেতে পারে', 'স্মৃতিধার্য্য', 'যজনীয় জীবন', 'ক্রান্তদর্শী', 'প্রেমল ঠাকুর', আর সংগীতমালা— 'শব্দে সুরে স্বরলিপি'। এছাড়াও অসংখ্য প্রবন্ধ ছড়িয়ে আছে নানা পত্র-পত্রিকায় আর স্মরণিকায়। ৭৫ অতিক্রান্ত বয়সে তিনি আজও চলমান এক জীবন।