Skip to Content
Filters

author.name

সেলিম আজাদ চৌধুরী

সেলিম আজাদ চৌধুরী বহুমাত্রিক স্বপ্নবাজ একজন মানুষ সেলিম আজাদ চৌধুরী। শৈশবে পথের পাঁচালীর অপুরমতাে প্রকৃতির আদরে বেড়ে ওঠা এই লেখকের প্রাণশক্তি অফুরান। অন্তহীন বৈচিত্র্যময় জীবন চর্চায় নিজেকে প্রতি দিনই আবিষ্কার করে চলেছেন নানা রূপে। বিগত শতাব্দীর বায়ান্নর মাতৃভাষা আন্দোলনের উত্তাল সময়ের। অব্যবহিত পরে ফেনীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম। অন্তর্মুখীস্বভাবের এই লেখকের আবাল্য আর শৈশব কাল কেটেছে। নিভৃত পল্লীর অবারিত নীলাকাশ আর নীচে বিস্তীর্ণ সবুজের নিস্তব্ধ কোলাহল মুগ্ধতায়। স্কুল জীবনের প্রথম দিনেই শ্রেণীকক্ষে শিক্ষকের বেতের নির্দয় প্রহারে ভীত সন্ত্রস্ত সসকের মত পালিয়ে যান স্কুল থেকে। সেই ঘটনাই প্রকৃতি বিমুগ্ধ বালকের স্বপ্নবাজ হওয়ার লক্ষণ প্রতিভাত হয়। কিশাের বয়সে আকাশের অসীম নীলেমায় অন্তহীন অবগাহণ তাকে আকাশ বিজ্ঞানী হওয়ার স্বপ্নে বিভাের করে তুলেছিল। সেই স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশা তাকে তাড়িত করেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে। কিন্তু ভর্তি হতে না পেরে শেষ অবধি সে স্বপ্নের পথ বেঁকে গিয়ে পড়েন ফার্মাসি। তারুণ্যে উত্তম-সুচিত্রার অভিনীত ছায়াছবি দেখে নায়ক হওয়ার। স্বপ্নও দেখেছিলেন একসময়। রবীঠাকুরের কবিতা তার মনকে এতটাই আলােড়িত করেছিল যে চেয়েছিলেন কবিতাই লিখবেন। আন্তন চেখব আর কৃষাণচন্দরের গল্পের বিপুল আকর্ষন তাকে এক সময় গল্পকার হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। স্ত্রী পারভীন সুলতানার পেশা সাংবাদিকতাও একদা তাকে আকৃষ্ট করেছিল দারুণ ভাবে। জীবনর এত বিচিত্র স্বপ্নসম্ভার স্বপ্নই হয়ে থাকল আর তিনি জীবিকার অন্বেষনে ফার্মেসী পেশাতেই আবদ্ধ হয়ে পড়েন। কিন্তু স্বপ্নবাজ মানুষটি পড়ন্ত বেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ে খন্ডকালিন শিক্ষকতা যৌবন তাড়িত উচ্ছল ছাত্রছাত্রীর সংস্পর্শে এসে জীবনের তীব্র অনুভবে তার নেশা ধরে যায় শিক্ষকতায়। কলেজ জীবন থেকেই লিখছিলেন কবিতা। তরুণ বেলার সেই মলাট বন্দিখাতা থেকে সেসব কবিতা উদ্ধার করতে গিয়েই আবার প্রবল প্রতাপে সক্রিয়। হয়ে ওঠে তার লেখনী। জীবন সায়াহ্নে এসে যেন বয়সকে হার মানাতে প্রবল তারুণ্যে লিখে চলেছেন অবিরাম।