Arefin Badal
আরেফিন বাদল মূলত একজন ব্যতিক্রমী ধারার কথাসাহিত্যিক। নিজের দেখা ও অভিজ্ঞতালব্ধ সমকালীন রাজনীতি, বাঙালী জাতির উত্থান-পতন এবং সমাজের নানা অসঙ্গতি বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরাই তাঁর গল্প-উপন্যাস-নাটকের বিষয়বস্তু। ঐতিহাসিক প্রেমপত্র' নামের এই বইটি মূলত অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বিচিত্রা-য় সত্ত্বর দশকের মাঝামাঝিতে প্রকাশতি নিয়মিত একটি কলাম ছিল। সেগুলাের এক মলাটে প্রকাশই এ গ্রন্থ। তার উল্লেখযােগ্য গল্পগ্রন্থ : ‘প্রসবােন্মুখ যন্ত্রণাবিদ্ধ (১৯৭৮), ‘আগামীকাল ভালােবাসার’ (১৯৮০), ‘Short Stories' (১৯৮১), ‘অন্তুর বর সাজা' (১৯৯০), ‘নিত্যদিন কালগােনা' (২০০৪), মুক্তিযুদ্ধের গল্প (১৯১০), ‘গল্প সমগ্র (২০১৮), ‘বিশ শব্দের গল্প’ (২০২০) ইত্যাদি। উপন্যাস : “নিসর্গের সন্তানেরা' (১৯৮১), ‘ঐ আসে আমিরালী’ (১৯৯৯), “ইমুবাবু' (১৯৯৮), “সারা’র ব্রীজ (১৯৯৯), ‘হাকিম উদ্দিন তরফদার' (২০০১), 'অতঃপর একটি স্যুটকেস’ (২০১৭), উপন্যাস সমগ্র (২০১৮), এবং মাতৃত্ব' (২০১৯)। টিভি নাটক : কাছের মানুষ কাঁদে' (১৯৮৯), ‘ঐ আসে আমিরালী” (১৯৮৯), ইমুবাবু' (১৯৯৭), ‘আপন অস্তিত্বে, ‘নেতা ঘেমে যাচ্ছেন ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য। কথা সাহিত্যের বাইরে তার গবেষণা গ্রন্থ : ‘ঐতিহাসিক প্রেমপত্র' (১৯৭৬) (৩য় সংস্করণ], ও রবীন্দ্রনাথের জীবনে নারী' (১৯৯৯) [২য় সংস্করণ] সহ অন্যসব গ্রন্থগুলাে তার পেশার প্রয়ােজনে কিংবা ফরমায়েশি লেখা। পেশাগত জীবনে তিনি সাংবাদিক, সম্পাদক, সরকারি আমলা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর বাইরে বাংলাদেশে বেসরকারিভাবে নির্মিত প্রথম টিভি (প্যাকেজ) নাটক- প্রাচীর পেরিয়ে' (১৯৯৪)-এর প্রযােজক-নির্মাতা তিনি। অত্যন্ত সাফল্যজনকভাবে তিনি তার প্রতিষ্ঠিত ও সম্পাদিত পত্রিকাসমূহে (পাক্ষিক তারকালােক, সাপ্তাহিক ‘আগামী', মাসিক কিশাের তারকালােক’-এ বাংলা ভাষায় প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ডিটিপিতে বাংলা লিপির ব্যবহার ১৯৮৭ খ্রি. থেকে শুরু করেন। দেশ-বিদিশে বিভিন্ন সেমিনার ও কনফারেন্সে যােগদান করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে ভাসানী পদক’-সহ বেশকিছু উল্লেখযােগ্য দেশি-বিদেশি পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন; তিনি বাংলা একাডেমি’র একজন জীবন। সদস্য। আরেফিন বাদলের জন্ম ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের ২৫ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর বারােটায়, টাঙ্গাইল জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ০ -প্রকাশক