Mohammad Harun Ur Rashid
মোহাম্মদ হারুন উর রশীদ ২৮শে ডিসেম্বর ১৯৩৯ সালে তিন সুকিয়া, আসামে। পড়াশুনা: স্নাতক সম্মান (ইংরেজি): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬০): স্নাতকোত্তর (ইংরেজ): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৬১); স্নাতক সম্মান (ইংরেজি): কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য (১৯৬৬); স্নাতকোত্তর (ইংরেজি): কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্য (১৯৭০)। অধ্যাপনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি বিভাগে। বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক পদে বৃত ছিলেন ১৯৯১- ১৯৯৫ সালে। প্রকাশিত গ্রন্থ: প্রবন্ধ-গবেষণা: শেক্সপীয়র ও বাংলা কবিতা; সমালোচনা (১৯৮৫); শব্দের শিল্পরূপ ও অন্যান্য প্রবন্ধ (১৯৮৫); হাজার বছরের স্বপ্ন বাংলা একাডেমী (১৯৯৪); সত্যের প্রকাশ (১৯৯৪)। অনুবাদ: ভাষা চিন্তায় ও কর্মে (১৯৬৯); মাছি; তিনটি ফরাসী প্রবন্ধ (১৯৮৪); হাসান বয়াতীর সুখ-দু:খ; A Few Youths in the Moon/ suphqnh: Three Poets: A Choice of Contemporary Verse From Bangladesh (১৯৮৬); এখলাসউদ্দীন আহমদের প্রবন্ধ ও পত্রাবলী; রবীন্দ্রনাথ;A Choice of Verse on Human Rights: বাংলা একাডেমী; সহজ বাংলা অভিধান (যৌথ, ১৯৯৫)। ভ্রমণকাহিনী: হাওয়াই থেকে লিখছি। অন্যান্য: ভ্রূণের মা মানুষের আল্লাহ ও অন্যান্য সংলাপ: ইচ্ছাহীন ঘরে ইচ্ছার বসবাস এবং অন্যান্য সংলাপ; সংলাপ সমগ্র: কোআন হাদিস ও সুফীতত্ত্বের ভূমিকা। বাংলা একাডেমি এর মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রশাসক হিসেবে তার কর্মজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সাগ্রহের সাথে তিনি মহান উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হন, যা ছিল একটি বড় কর্মযজ্ঞ এরপূর্বে তিনি তার যোগ্যতার পরিচয় দেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় হলের প্রভোস্ট হিসেবে যার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হল (১৯৮০-১৯৮২),শাহাজালাল হল (১৯৮৩-১৯৮৫) এবং জাহাঙ্গিরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এইচ হল (১৯৯০-১৯৯১)। সৃজনশীল কাজের জন্যে জাতীয়ভাবে বাংলা একাডেমি একটি বিশাল ক্ষেত্র। তিনি একাডেমির গবেষণায় গুরুত্ব আরোপ করেন, বিশেষ করে অভিধানে, যার জন্য প্রয়োজন হয় সম্পাদনা কর্ম ও বিশেষজ্ঞ জ্ঞান। তিনি বাংলা একাডেমিতে দায়িত্ব প্রাপ্ত অবস্থায় ইংরেজি থেকে বাংলা অভিধান বের করেন যা সবচেয়ে বেশি বিক্রিত গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হয়।বরেণ্য শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরি এর প্রচ্ছদ তৈরি করেছিলেন এবং সব ডিকশনারিতে একই ডিজাইন ব্যবহার করার ফলে তা একধরনের ব্রান্ডিং এ পরিনত হয়। তার সময়ে তিনি তিনটি অভিধান প্রকাশ করেন।তিনি বিশিষ্ট বাক্তি যেমন ডঃ মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, কায়কোবাদ, ফররুখ আহমেদ এবং কাজী নজরুল ইসলাম এর জীবনী প্রকাশ করেন। এই সময়ে বাংলা একাডেমিকে ভারতের আনন্দ সাহিত্য পুরস্কার দেয়া হয় যা একাডেমির কাউন্সিল গ্রহণ করতে সবিনয় অপারগতা প্রকাশ করে। বাংলা একাডেমি এই সময়ে দুটো নতুন হাইডেলবার্গ প্রিন্টিং মেশিন ক্রয় করে এবং এই সময়ে প্রেসে নিয়োজিত কর্মচারীদের সরকারি পেনশনের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তার দায়িত্বকালে তরুনদের জন্য একটি নতুন কার্যক্রম 'তরুন লেখক প্রকল্প' শুরু হয়।