Bijoyer Pothe

বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন একাত্তরের ২৫ শে মার্চ মধ্য রাতে বাঙালি নিধনে অতর্কিত আক্রমণ করে তখন বাংলাদেশের পাঁচটি ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়ান অবস্থিত ছিল। তার মধ্যে একটি ৮ম ইস্ট বেঙ্গল ছিল সদ্য গঠিত, চট্টগ্রামে। বাকি চারটির একটি করে ব্যাটালিয়ান ছিল যশাের, সৈয়দপুর, কুমিল্লা ও জয়দেবপুরে। ১ লা মার্চ ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দুটি কোম্পানি কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাঠিয়ে দেয়া হয়। ২৭ শে মার্চ মেজর শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট অবাঙালি অধিনায়ক ও আরাে দুইজন অফিসারকে বন্দি করে বিদ্রোহ ঘােষণা করেন। বিজয়ের পথে লেখক তখন সেকেন্ড লেফটেনেন্ট। এই বিদ্রোহের সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও অসামান্য ঝুঁকিবহ। কেননা বাকি চারটি ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়ানের অবস্থা তখনাে তারা জানে না। একটি প্রচলিত সেনাবাহিনী থেকে একটি মাত্র পদাতিক ব্যাটালিয়ান বিদ্রোহ করে সফল হবেকল্পনাও করা যায় না। এ বিদ্রোহে লে. হারুন অতীব সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। অতপর শুধুই যুদ্ধ আর যুদ্ধ। সব যুদ্ধেই লে. হারুন রেখেছেন অমিত বিক্রমের স্বাক্ষর। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের প্রবাদপুরুষদের মধ্যে লে. হারুন অর রশীদ, বীর প্রতীক নিঃসন্দেহে একজন। রক্তঝরা সেই হিরন্ময় দিনগুলির কথাই বিধৃত হয়েছে তার বিজয়ের পথে বইতে।