Skip to Content
Manuser Dharma (Mowla)

Price:

80.00 ৳


Notebook : The Starry Night (1889, Vincent van Gagh 30 March 1853-29 July 1890)
Notebook : The Starry Night (1889, Vincent van Gagh 30 March 1853-29 July 1890)
99.00 ৳
99.00 ৳
Srimadvagabatgita
Srimadvagabatgita
1.00 ৳
1.00 ৳

Manuser Dharma (Mowla)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/45776/image_1920?unique=7910a04

80.00 ৳ 80.0 BDT 80.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

মানুষের মনে সময়ে সময়ে জীবন-জগৎ, ইহকাল- পরকাল, আত্মা-পরমাত্মা, জড় প্রকৃতি- মনোজগৎ প্রভৃতি দুর্জ্ঞেয় ও জটিল বিষয়ে প্রশ্ন জাগে। দর্শন ও বিজ্ঞানের আলোকে এসব প্রশ্নেরই আলোচনা করা হয়েছে এই গ্রন্থে। এটি নানা নামে চিহ্নিত এগারোটি রচনার সংকলন হলেও একটি কেন্দ্রীয় বক্তব্যের প্রতিষ্ঠাই লেখকের মূল লক্ষ্য। সেই বক্তব্যটি হচ্ছে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মা-ব্যাপী ‘চৈতন্যের সর্বময়তা’। বস্তুত লেখকের দর্শনভাবনার ভিত্তিই রচিত হয়েছে ‘বিশ্বময় চেতনার’ অস্তিত্বের ওপর। এই চেতনা ও তার প্রাণলীলার প্রকাশ লেখকের মতে কেবল জীবজগতে নয়, জড়জগতেও নিয়ত উপস্থিত। এক গোপন কিন্তু সচেতন প্রেরণার বশবর্তী হয়ে জগৎ-জীবনের সবকিছু অস্তিত্বমান। কেবল দুর্জ্ঞেয় বিষয়ে নয়, এ বইয়ে প্রত্যক্ষীভূত সামাজিক মানুষের ধর্মও নির্ণিত হয়েছে ওই বোধ-বিশ্বাস থেকেই। আর সেই ধর্ম হচ্ছে সার্থকতা সঙ্কীর্ণ ব্যক্তিত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা নয়, তাকে সকল মানুষের মধ্যে পরিব্যাপ্ত করে দেওয়া। লেখকের আশা ও বিশ্বাস যে, সত্য-ধর্মের এই উপলব্ধি যেদিন মানুষের মধ্যে জাগবে সেদিন পৃথিবীতে হয়তো এমন এক বিরাট গণতন্ত্রের উন্মেষ ঘটবে যেখানে একের অধিকার অন্যের দ্বারা দলিত হবে না, যেখানে ‘উৎপীড়িতের ক্রন্দনরোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না।’

Rabindranath Tagore

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন একাধারে ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্পকার, চিত্রশিল্পী, সংগীতস্রষ্টা, অভিনেতা, কন্ঠশিল্পী, কবি, সমাজ-সংস্কারক এবং দার্শনিক। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য প্রথম বাঙালি হিসেবে ১৯১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১ সালের ৭ মে তৎকালীন ব্রিটিশ-শাসিত ভারতে কলকাতার ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিমনা জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ভানুসিংহ ঠাকুর ছিল তাঁর ছদ্মনাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই মানেই এক মোহের মাঝে আটকে যাওয়া, যে মোহ পাঠককে জীবনের নানা রঙের সাথে পরিচিত করিয়ে দেয় নানা ঢঙে, নানা ছন্দে, নানা সুর ও বর্ণে। তাঁর ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাট্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর কিছুদিন পরই আলোর মুখ দেখে। কাবুলিওয়ালা, হৈমন্তী, পোস্টমাস্টারসহ মোট ৯৫টি গল্প স্থান পেয়েছে তাঁর ‘গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থে। অন্যদিকে ‘গীতবিতান’ গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে ১,৯১৫টি গান। উপন্যাস, কবিতা, সঙ্গীত, ছোটগল্প, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনীসহ সাহিত্যের সকল শাখাই যেন ধারণ করে আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমূহ। তিনি একাধারে নাট্যকার ও নাট্যাভিনেতা দুই-ই ছিলেন। কোনো প্রথাগত শিক্ষা ছাড়া তিনি চিত্রাংকনও করতেন। তৎকালীন সমাজ-সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এই গুণী ব্যক্তিত্ব। বিশ্বের বিভিন্ন ভাষাতেই অনূদিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বই সমগ্র। তাঁর যাবতীয় রচনা ‘রবীন্দ্র রচনাবলী’ নামে ত্রিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট জোড়াসাঁকোর বাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও তাঁর সাহিত্যকর্ম আজও স্বমহিমায় ভাস্বর। আজও আমাদের বাঙালি জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে বিশ্বকবির সাহিত্যকর্ম।

Title

Manuser Dharma (Mowla)

Author

Rabindranath Tagore

Publisher

Mowla Brothers

Category

  • Rabindranath
  • First Published

    FEB 2014

    মানুষের মনে সময়ে সময়ে জীবন-জগৎ, ইহকাল- পরকাল, আত্মা-পরমাত্মা, জড় প্রকৃতি- মনোজগৎ প্রভৃতি দুর্জ্ঞেয় ও জটিল বিষয়ে প্রশ্ন জাগে। দর্শন ও বিজ্ঞানের আলোকে এসব প্রশ্নেরই আলোচনা করা হয়েছে এই গ্রন্থে। এটি নানা নামে চিহ্নিত এগারোটি রচনার সংকলন হলেও একটি কেন্দ্রীয় বক্তব্যের প্রতিষ্ঠাই লেখকের মূল লক্ষ্য। সেই বক্তব্যটি হচ্ছে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মা-ব্যাপী ‘চৈতন্যের সর্বময়তা’। বস্তুত লেখকের দর্শনভাবনার ভিত্তিই রচিত হয়েছে ‘বিশ্বময় চেতনার’ অস্তিত্বের ওপর। এই চেতনা ও তার প্রাণলীলার প্রকাশ লেখকের মতে কেবল জীবজগতে নয়, জড়জগতেও নিয়ত উপস্থিত। এক গোপন কিন্তু সচেতন প্রেরণার বশবর্তী হয়ে জগৎ-জীবনের সবকিছু অস্তিত্বমান। কেবল দুর্জ্ঞেয় বিষয়ে নয়, এ বইয়ে প্রত্যক্ষীভূত সামাজিক মানুষের ধর্মও নির্ণিত হয়েছে ওই বোধ-বিশ্বাস থেকেই। আর সেই ধর্ম হচ্ছে সার্থকতা সঙ্কীর্ণ ব্যক্তিত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে রাখা নয়, তাকে সকল মানুষের মধ্যে পরিব্যাপ্ত করে দেওয়া। লেখকের আশা ও বিশ্বাস যে, সত্য-ধর্মের এই উপলব্ধি যেদিন মানুষের মধ্যে জাগবে সেদিন পৃথিবীতে হয়তো এমন এক বিরাট গণতন্ত্রের উন্মেষ ঘটবে যেখানে একের অধিকার অন্যের দ্বারা দলিত হবে না, যেখানে ‘উৎপীড়িতের ক্রন্দনরোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না।’
    No Specifications