Skip to Content
Nirbachito Science Fiction (Jhingeful)

Price:

500.00 ৳


Notebook : The Starry Night (1889, Vincent van Gagh 30 March 1853-29 July 1890)
Notebook : The Starry Night (1889, Vincent van Gagh 30 March 1853-29 July 1890)
99.00 ৳
99.00 ৳
Srimadvagabatgita
Srimadvagabatgita
1.00 ৳
1.00 ৳

Nirbachito Science Fiction (Jhingeful)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/46210/image_1920?unique=ef5deb1

500.00 ৳ 500.0 BDT 500.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

যদি প্রশ্ন করা হয় সায়েন্স ফিকশন বা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী কী? তাঁর উত্তর কিন্তু এক কোথায় দেয়া যায় না। সায়েন্স ফিকশনের সঠিক সংজ্ঞাটি লেখক, সমালোচক, পণ্ডিত এবং পাঠকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত। যদিও বলা হয় অনুমানমূলক কল্পকাহিনীর একটি ধারা, যা সাধারণত উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মহাকাশ অনুসন্ধান, সময় ভ্রমণ, সমান্তরাল মহাবিশ্ব এবং বহির্জাগতিক জীবনের মতো কল্পনাপ্রসূত এবং ভবিষ্যত ধারণা নিয়ে কাজ করে। এটি ফ্যান্টাসি, হরর এবং সুপারহিরো কল্পকাহিনীর সাথে সম্পর্কিত এবং এতে অনেকগুলি উপধারা রয়েছে। বিশ্বখ্যাত সায়েন্স ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভের মতে, "সায়েন্স ফিকশনকে সাহিত্যের সেই শাখা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে মানুষের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাজ করে। রবার্ট এ. হেইনলেইন লিখেছেন যে ““প্রায় সব কল্পবিজ্ঞানের একটি সহজ সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা হতে পারে: সম্ভাব্য ভবিষ্যতের ঘটনা সম্পর্কে বাস্তববাদী অনুমান, বাস্তব জগৎ, অতীত এবং বর্তমানের পর্যাপ্ত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে এবং প্রকৃতি এবং তাৎপর্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বোঝার উপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির লেখাই সায়েন্স ফিকশন। বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে সায়েন্স ফিকশন এক সময় শুধুমাত্র শিশু সাহিত্য হিসাবয়ে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে সায়েন্স ফিকশন একটি অতি জনপ্রিয় সাহিত্য ধারাই শুধু না, সায়েন্স ফিকশন লিখে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন বৃটিশ লেখক ডড়িস লেসিং। আমি ব্যক্তিগতভাবে সায়েন্স ফিকশন কে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিয়াস সাহিত্যধারা মনে করি। সাহিত্যে মৌলিকত্ব বলে কিছু আছে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতেই পারে। তবু একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও চিকিৎসা শাস্ত্রের মানুষ হয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানান রকমের অবিস্কার, ভবিষ্যৎ চিন্তা ইত্যাদি মৌলিক গল্প হয়ে উঠেছে আমার লেখার মূল বিষয়। প্রথম সায়েন্স ফিকশন “আয়ুষ্কাল ও ত্রিমিলার প্রেম” লিখেছিলাম মানুষের বৃদ্ধ হওয়ার মেডিক্যাল দিক নিয়ে। সেখানে “টেলিমেয়ার’ ধারণাটি ব্যবহার করি যার আবিষ্কারক হিসাবে ঠিক পরের বছর নোবেল পুরস্কার পান ডক্টর এলিযাবেথ ব্ল্যাকবার্ন এবং সে বছর আমেরিকান এসোশিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ থেকে “এমএসআই ফ্যাকাল্টি স্কলার এওয়ার্ড” ডক্টর এলিযাবেথ ব্ল্যাকবার্নের হাতে থেকে নিয়েছিলাম এক সম্মেলনে, যেখানে তিনি পৃথিবীর কয়েক হাজার বিজ্ঞানীর সামনে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ সাহিত্য পাঠের সঙ্গে বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে উঠুক। সেবচনের মাধ্যমে লিখেছিলাম “বিজ্ঞানমনস্কতা একটি দর্শন, একটি প্রসেস। ডাক্তারি, ইঞ্জিনীয়ারিং বা অন্য বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ে, এমন কি একটি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেও তা তৈরি হয় না। বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া এক ধরনের সাধনা, পুরনোকে ঝেড়ে ফেলে কঠিন, কঠোর সত্যকে গ্রহণ করার সাধনা। বিজ্ঞানমনস্কতা ছাড়া মানব সমাজের মুক্তি নেই।“ আমার এই প্রবচনটি গুরুত্বপূর্ণ এজন্যে যে মানব মুক্তি বলতে শুধু অর্থনৈতিক মুক্তিই না, চিন্তার স্বাধীনতা, মানুষের কল্যাণ, সমাজের উত্তিরণ সমস্ত কিছু বুঝায়। সায়েন্স ফিকশনের সম্ভাবনাময় কাহিনি ও সাহিত্য রসের মধ্য দিয়ে সেই বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি হলেই এই লেখাগুলো সার্থক হবে।

Sejan Mahmud

সেজান মাহমুদ একজন বাংলাদেশি-বংশোদ্ভূত আমেরিকান সাহিত্যিক, গীতিকবি, ছড়াকার এবং কলামিস্ট। পেশাগতভাবে তিনি একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা কলেজ অব মেডিসিনে অধ্যাপক এবং সহকারী ডিন হিসাবে কর্মরত আছেন। চিকিৎসক হিসেবে সেজান তার পেশাগত জীবন শুরু করেন বারডেম-এ স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগে। এরপর আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনের ফেলোশিপ নিয়ে হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলে যান ও এম.পি.এইচ. এবং পিএইচ.ডি. ডিগ্রি লাভের পর তিনি ওহাইও মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও বোউলিং গ্রীন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনা শুরু করেন। বর্তমানে তিনি আমেরিকার ফ্লোরিডা অংগরাজ্যে মেডিসিনের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। ছড়াগ্রন্থ হাবিজাবি লেখার মাধ্যমে ১৯৮৮ সালে তিনি সাহিত্য জগতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং প্রথম গ্রন্থের জন্যেই বাংলাদেশ শিশু একাডেমী কর্তৃক প্রদত্ত 'অগ্রণী ব্যাংক শিশু সাহিত্য পুরস্কার' লাভ করেন। তার লেখা 'পায়ের নিচে এভারেস্ট' বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ড ষষ্ঠশ্রেনীর পাঠ্য বইতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ১৯৯৬ সালে। মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডোদের গৌরবজনক ভূমিকার কাহিনী নিয়ে লেখা ‘অপারেশন জ্যাকপট’ ১৯৯১ সালে প্রকাশিত হলে সুধীমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। নিরিক্ষাধর্মী জাদুবাস্তবতা আর সাইকোএনালিটিক উপন্যাস 'অগ্নিবালক' প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে যা সাহিত্য সমালোচকদের দ্বারা প্রসংশিত হয়।

Title

Nirbachito Science Fiction (Jhingeful)

Author

Sejan Mahmud

Publisher

Jhingephul

Number of Pages

307

Category

  • Science Fiction
  • First Published

    FEB 2024

    যদি প্রশ্ন করা হয় সায়েন্স ফিকশন বা বিজ্ঞান কল্পকাহিনী কী? তাঁর উত্তর কিন্তু এক কোথায় দেয়া যায় না। সায়েন্স ফিকশনের সঠিক সংজ্ঞাটি লেখক, সমালোচক, পণ্ডিত এবং পাঠকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত। যদিও বলা হয় অনুমানমূলক কল্পকাহিনীর একটি ধারা, যা সাধারণত উন্নত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মহাকাশ অনুসন্ধান, সময় ভ্রমণ, সমান্তরাল মহাবিশ্ব এবং বহির্জাগতিক জীবনের মতো কল্পনাপ্রসূত এবং ভবিষ্যত ধারণা নিয়ে কাজ করে। এটি ফ্যান্টাসি, হরর এবং সুপারহিরো কল্পকাহিনীর সাথে সম্পর্কিত এবং এতে অনেকগুলি উপধারা রয়েছে। বিশ্বখ্যাত সায়েন্স ফিকশন লেখক আইজ্যাক আসিমভের মতে, "সায়েন্স ফিকশনকে সাহিত্যের সেই শাখা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পরিবর্তনের সাথে মানুষের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কাজ করে। রবার্ট এ. হেইনলেইন লিখেছেন যে ““প্রায় সব কল্পবিজ্ঞানের একটি সহজ সংক্ষিপ্ত সংজ্ঞা হতে পারে: সম্ভাব্য ভবিষ্যতের ঘটনা সম্পর্কে বাস্তববাদী অনুমান, বাস্তব জগৎ, অতীত এবং বর্তমানের পর্যাপ্ত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে এবং প্রকৃতি এবং তাৎপর্যের পুঙ্খানুপুঙ্খ বোঝার উপর ভিত্তি করে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির লেখাই সায়েন্স ফিকশন। বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে সায়েন্স ফিকশন এক সময় শুধুমাত্র শিশু সাহিত্য হিসাবয়ে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে সায়েন্স ফিকশন একটি অতি জনপ্রিয় সাহিত্য ধারাই শুধু না, সায়েন্স ফিকশন লিখে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন বৃটিশ লেখক ডড়িস লেসিং। আমি ব্যক্তিগতভাবে সায়েন্স ফিকশন কে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিরিয়াস সাহিত্যধারা মনে করি। সাহিত্যে মৌলিকত্ব বলে কিছু আছে কী না তা নিয়ে প্রশ্ন করা যেতেই পারে। তবু একজন চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও চিকিৎসা শাস্ত্রের মানুষ হয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নানান রকমের অবিস্কার, ভবিষ্যৎ চিন্তা ইত্যাদি মৌলিক গল্প হয়ে উঠেছে আমার লেখার মূল বিষয়। প্রথম সায়েন্স ফিকশন “আয়ুষ্কাল ও ত্রিমিলার প্রেম” লিখেছিলাম মানুষের বৃদ্ধ হওয়ার মেডিক্যাল দিক নিয়ে। সেখানে “টেলিমেয়ার’ ধারণাটি ব্যবহার করি যার আবিষ্কারক হিসাবে ঠিক পরের বছর নোবেল পুরস্কার পান ডক্টর এলিযাবেথ ব্ল্যাকবার্ন এবং সে বছর আমেরিকান এসোশিয়েশন ফর ক্যান্সার রিসার্চ থেকে “এমএসআই ফ্যাকাল্টি স্কলার এওয়ার্ড” ডক্টর এলিযাবেথ ব্ল্যাকবার্নের হাতে থেকে নিয়েছিলাম এক সম্মেলনে, যেখানে তিনি পৃথিবীর কয়েক হাজার বিজ্ঞানীর সামনে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের মানুষ সাহিত্য পাঠের সঙ্গে বিজ্ঞান মনস্ক হয়ে উঠুক। সেবচনের মাধ্যমে লিখেছিলাম “বিজ্ঞানমনস্কতা একটি দর্শন, একটি প্রসেস। ডাক্তারি, ইঞ্জিনীয়ারিং বা অন্য বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ে, এমন কি একটি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেও তা তৈরি হয় না। বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া এক ধরনের সাধনা, পুরনোকে ঝেড়ে ফেলে কঠিন, কঠোর সত্যকে গ্রহণ করার সাধনা। বিজ্ঞানমনস্কতা ছাড়া মানব সমাজের মুক্তি নেই।“ আমার এই প্রবচনটি গুরুত্বপূর্ণ এজন্যে যে মানব মুক্তি বলতে শুধু অর্থনৈতিক মুক্তিই না, চিন্তার স্বাধীনতা, মানুষের কল্যাণ, সমাজের উত্তিরণ সমস্ত কিছু বুঝায়। সায়েন্স ফিকশনের সম্ভাবনাময় কাহিনি ও সাহিত্য রসের মধ্য দিয়ে সেই বিজ্ঞানমনস্কতা তৈরি হলেই এই লেখাগুলো সার্থক হবে।
    No Specifications