Skip to Content
গ্রামে গ্রামান্তরে

Price:

324.00 ৳


গ্রামসি ও তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা
গ্রামসি ও তাঁর রাষ্ট্রচিন্তা
280.00 ৳
350.00 ৳ (20% OFF)
গ্রামের একাত্তর
গ্রামের একাত্তর
352.00 ৳
440.00 ৳ (20% OFF)

গ্রামে গ্রামান্তরে

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/23638/image_1920?unique=479c0a1

324.00 ৳ 324.0 BDT 360.00 ৳

Not Available For Sale

(10% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বাউরিপাড়ার বটতলাতেও এ নিয়ে রাতের অন্ধকারের মিটিং হয়েছে ছােটখাটো ধরনের।গ্রামে ঢুকবার মুখেই বিশাল বটগাছটা রুক্ষ প্রান্তরের মাঝে ছায়া আশ্রয় মেলে দাঁড়িয়ে আছে কোন আদিকাল থেকে। ওর ডালে ডালে বাসা বেঁধেছে বহু পাখি, বহু ঝড়ঝাপটা সয়ে ওই আদি বট দাঁড়িয়ে আছে গ্রামের প্রহরীর মতাে। ওর নিচে কয়েকটা পাথরে তেল-সিৗঁর। মাখানাে। গ্রামের কোনাে অধিষ্ঠাত্রী দেবীর। আশ্রয়। এ মাটিতে সব নবজাতককে ওই বনস্পতির নিচে এনে মাটি ছুঁইয়ে এ মাটিতে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, মেয়েদের উলুধ্বনি ওঠে, শঙ্খ বাজে। দুর্গাপুজোর সময় গ্রামদেবীর পুজো হয় এখানে, এককালে মুখুজ্যে কর্তাদের কোন পূর্বপুরুষ এই গাছটাকে প্রতিষ্ঠা করে গােড়া। বাঁধিয়ে দিয়েছিল, এখন কালে কালে বটগাছটার গুড়ির পরিধি বেড়েছে, আর চারিদিকে ছড়ানাে বিরাট ডাল থেকে নেমেছে অনেক ঝুরি। এই গাছের ওদিকে বাউরিপাড়া, এপাশে। লােহারপাড়া। সারা গ্রামের এরাই খেটে খাওয়া মানুষ। এই বিস্তীর্ণ ঠাইটায় মুখুজ্যেরাই ওদের বাস করতে দিয়েছে, বংশপরম্পরায় ওরাও। ঘর করছে, বাস করছে। বাডির লাগােয়া জমিতে ডােবা খুঁড়ে জলের আশ্রয় করে কেউ কেউ। শাকসবজির চাষ করে, রেকর্ডে কার নাম আছে, কার এ জমি, এ নিয়ে কোনাে প্রশ্ন কোনােদিনই ওঠেনি। ওরাই দখল করেছে। ওদেরও বংশবৃদ্ধি হচ্ছে, তারাও জমি। বাড়ির নতুন এলাকা দখল করেছে, বসবাস করছে। ওখানেই মিটিং হচ্ছে।

শক্তিপদ রাজগুরু

শক্তিপদ রাজগুরু (১ ফেব্রুয়ারি, ১৯২২ - ১২ জুন ২০১৪) একজন ভারতীয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক। তাকে বাংলা জনপ্রিয় ধারার লেখক গণ্য করা হয়। মেঘে ঢাকা তারা তার জনপ্রিয়তম গ্রন্থ। দীর্ঘজীবী এই সাহিত্যিক তিন শতাধিক গ্রন্থের লেখক। তার লেখালেখির সূচনা ১৯৪০ দশকের গোড়ার দিকে। ১৯৪২-এ দেশ পত্রিকায় প্রথম গল্প “আবর্তন” লিখে তিনি সকলের নজর কাড়েন। ১৯৪৫-এ প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস দিনগুলি মোর। আদ্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হয়ে ছিন্নমূল পূর্ববঙ্গীয়দের সুখ-দুঃখ-বেদনা-যন্ত্রণা উপলব্ধি করার জন্য ঘুরেছেন 'তবু বিহঙ্গ' উপন্যাসের প্রেক্ষাপট তৈরির জন্য। গল্প-উপন্যাস ও বিবিধ রচনার সমগ্র সম্ভার প্রায় তিনশতাধিক । উল্টোরথ পত্রিকায় ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হয় তার একটি বড়গল্প, যার নাম “চেনামুখ" । এ গল্পের আখ্যান ছিল উদ্বাত্তদের অসহনীয় জীবন সংগ্রাম। বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক ঘটক এ গল্পের কাহিনী অবলম্বনে তৈরী করে একটি চলচ্চিত্র যার নাম “মেঘে ঢাকা তারা”। এ চলচ্চিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং শক্তিপদ রাজগুরুকে জনসাধারণ্যে পরিচিত করে তোলে। ঋত্বিক ঘটকের প্রশিক্ষণে এ চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছিলেন শক্তিপদ নিজেই। তার নয়া বসত” গল্পের কাহিনী অবলম্বনে থেকে শক্তি সামন্ত নির্মাণ তৈরি করেন “অমানুষ” ছবিটি যা ১৯৭৫ সালে মুক্তি লাভ করে এবং জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ১৯৮১-তে শক্তি সামান্ত তার আরেকটি গল্প নিয়ে দ্বিতীয় একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন যার নাম ছিল “অমানুষ”। বিখ্যাত হয়ে আছে উত্তম কুমারের অভিনয়ে। হিন্দিতে হয়েছে 'বরসাত কি এক রাত'। একই সঙ্গে ছবিটির বাংলা সংস্করণ বের হয় এবং তা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। অন্যায় অবিচার শক্তিপদ রাজগুরুর উপন্যাস নিয়ে তৈরি আরেকটি চলচ্চিত্র। ছোটদের জন্য তিনি অনেক উপন্যাস লিখেছেন। এ সবের কেন্দ্রীয় নায়ক “পটলা” বেশ খ্যাতি লাভ করেছিল

Title

গ্রামে গ্রামান্তরে

Author

শক্তিপদ রাজগুরু

Publisher

Dey's Publishing House

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • বাউরিপাড়ার বটতলাতেও এ নিয়ে রাতের অন্ধকারের মিটিং হয়েছে ছােটখাটো ধরনের।গ্রামে ঢুকবার মুখেই বিশাল বটগাছটা রুক্ষ প্রান্তরের মাঝে ছায়া আশ্রয় মেলে দাঁড়িয়ে আছে কোন আদিকাল থেকে। ওর ডালে ডালে বাসা বেঁধেছে বহু পাখি, বহু ঝড়ঝাপটা সয়ে ওই আদি বট দাঁড়িয়ে আছে গ্রামের প্রহরীর মতাে। ওর নিচে কয়েকটা পাথরে তেল-সিৗঁর। মাখানাে। গ্রামের কোনাে অধিষ্ঠাত্রী দেবীর। আশ্রয়। এ মাটিতে সব নবজাতককে ওই বনস্পতির নিচে এনে মাটি ছুঁইয়ে এ মাটিতে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, মেয়েদের উলুধ্বনি ওঠে, শঙ্খ বাজে। দুর্গাপুজোর সময় গ্রামদেবীর পুজো হয় এখানে, এককালে মুখুজ্যে কর্তাদের কোন পূর্বপুরুষ এই গাছটাকে প্রতিষ্ঠা করে গােড়া। বাঁধিয়ে দিয়েছিল, এখন কালে কালে বটগাছটার গুড়ির পরিধি বেড়েছে, আর চারিদিকে ছড়ানাে বিরাট ডাল থেকে নেমেছে অনেক ঝুরি। এই গাছের ওদিকে বাউরিপাড়া, এপাশে। লােহারপাড়া। সারা গ্রামের এরাই খেটে খাওয়া মানুষ। এই বিস্তীর্ণ ঠাইটায় মুখুজ্যেরাই ওদের বাস করতে দিয়েছে, বংশপরম্পরায় ওরাও। ঘর করছে, বাস করছে। বাডির লাগােয়া জমিতে ডােবা খুঁড়ে জলের আশ্রয় করে কেউ কেউ। শাকসবজির চাষ করে, রেকর্ডে কার নাম আছে, কার এ জমি, এ নিয়ে কোনাে প্রশ্ন কোনােদিনই ওঠেনি। ওরাই দখল করেছে। ওদেরও বংশবৃদ্ধি হচ্ছে, তারাও জমি। বাড়ির নতুন এলাকা দখল করেছে, বসবাস করছে। ওখানেই মিটিং হচ্ছে।
    No Specifications