Skip to Content
দৃষ্টিপাত (নিউ এজ)

Price:

360.00 ৳


দৃষ্টি প্রদীপ (ঐতিহ্য)
দৃষ্টি প্রদীপ (ঐতিহ্য)
280.00 ৳
350.00 ৳ (20% OFF)
দৃষ্টিপাত (বিএসকে)
দৃষ্টিপাত (বিএসকে)
204.00 ৳
255.00 ৳ (20% OFF)

দৃষ্টিপাত (নিউ এজ)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/24709/image_1920?unique=479c0a1

360.00 ৳ 360.0 BDT 400.00 ৳

Not Available For Sale

(10% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

রাতারাতি দিগ্বিজয় করে ফেলার মতাে বই সাহিত্যের ক্ষেত্রে হামেশা দেখা যায় ; কচিৎ-কদাচিৎ এরকম ঘটনা ঘটে। এমনই একটি বই ‘দৃষ্টিপাত। লেখকের মধ্যে স্বাভাবিক কাব্যশক্তি, পরিচ্ছন্নতাবােধ, চিন্তাশীলতা রয়েছে; আর আছে গভীরতর বেদনাবােধের একটি সুর, যা নিশীথ রাত্রির অন্ধকারের মতন আপনার ধ্যানে নিঃশব্দ। যে নেত্র দিয়ে লেখক দৃষ্টিপাত করেছেন, তার সাধনা আছে; যা সাধারনের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় তা দেখবার ক্ষমতা আছে, মানুষের অন্তর্লোকে প্রবেশ করবার অন্তদৃষ্টি আছে। এ নেত্র কখনও ঘৃণা ও রােষের বহ্নিজ্বালায় দীপ্ত, কখনও দয়াস্নিগ্ধ সমবেদনায় অশ্রুসজল। ভাষার এমন সাবলীল গতি, এত স্বচ্ছতা, এত ঔজ্জ্বল্য এবং এমন সৌন্দর্য রবীন্দ্রনাথ ও প্রমথ চৌধুরীর লেখায় ছাড়া আর বেশি দেখা যায় না। ক্রীপস-দৌত্যের ইতিবৃত্ত ইতিহাসে পড়েছেন সকলেই, কিন্তু মানবীয় অভিজ্ঞতার অভিঘাতে সেই শুষ্ক বৃত্তান্তও যে রসঘন কমনীয় হয়ে উঠতে পারে, উঠতে পারে স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ অধ্যায়ের মর্মস্পর্শী ইতিহাস হয়ে, তা ‘দৃষ্টিপাত না পড়লে বােঝার উপায় ছিল না। তাই পৃষ্ঠা ফুরিয়ে গেলেও কাহিনি ফুরােয় না—কানে বাজতে থাকে, ‘প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য, মৃত্যুকে দেয় মহিমা। কিন্তু প্রবঞ্চিতকে দেয় কী? তাকে দেয় দাহ। যে আগুন আলাে দেয় না অথচ দহন করে, সেই দীপ্তিহীন অগ্নির নির্দয় দাহনে পলে-পলে দগ্ধ হলেন কাণ্ডজ্ঞানহীন হতভাগ্য চারুদত্ত আধারকার।

Jajabor

কজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক , সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক। কর্মজীবনে 'যাযাবর' ছদ্মনামে তাঁর লেখা 'দৃষ্টিপাত' গ্রন্থটি পঞ্চাশের দশকে বাঙালি পাঠক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল দৈনিক "যুগান্তর" পত্রিকায় সাংবাদিকতার কাজ নিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। সেখানে "শ্রীপথচারী" ছদ্মনামে রাজনৈতিক কলমে লিখতেন। এর পর ভারত সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী হয়ে দিল্লি যান এবং দীর্ঘদিন কাজ করার পর প্রেস কাউন্সিলের সচিব পদে উন্নীত হয়ে অবসর নেন। কর্মজীবনে তদানীন্তন নেতৃস্থানীয় বহু ব্যক্তির সান্নিধ্যে এসেছেন সাথে সাহিত্যরচনা করেছেন "যাযাবর" ছদ্মনামে। কর্মজীবনে তাঁর উপরে দায়িত্ব আসে ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গান্ধীজির বাণী সংগ্রহ করার। সোদপুরে গান্ধী জির কাছে গেলে তিনি বলেন বাণী দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয় - তাঁর মন ভেঙ্গে গেছে। গান্ধীজির কাজ থেকে এমন কথা শুনে তাঁর মনে হয়েছিল তিনি যেন এক ঐতিহাসিক ট্রাজেডি প্রত্যক্ষ করছেন। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে কর্মজীবনেই "দৃষ্টিপাত" রম্যরচনা লিখে যাযাবর নামে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জনপ্রিয় লেখক হয়ে ওঠেন। ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ সংকলন মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা ছয় এবং প্রত্যেকটি গ্রন্থই সুরচিত ও সুখপাঠ্য। 'দৃষ্টিপাত' (১৯৪৭) 'জনান্তিকে' (১৯৫২) 'ঝিলম নদীর তীরে' (১৯৫৪) 'লঘুকরণ' (১৯৬৪) 'হ্রস্ব ও দীর্ঘ' 'যখন বৃষ্টি নাম' (১৯৮৩) 'দৃষ্টিপাত' সমকালীন বাংলা সাহিত্যে সর্বশ্রেষ্ঠ পুস্তক হিসাবে বিবেচিত হওয়ায়বিনয় মুখোপাধ্যায় সাহিত্যকর্মের জন্য ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহ দাস পুরস্কার এবং ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের 'বিদ্যাসাগর পুরস্কার' লাভ করেন।

Title

দৃষ্টিপাত (নিউ এজ)

Author

Jajabor

Publisher

New Age Publishers, Kalkata

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • রাতারাতি দিগ্বিজয় করে ফেলার মতাে বই সাহিত্যের ক্ষেত্রে হামেশা দেখা যায় ; কচিৎ-কদাচিৎ এরকম ঘটনা ঘটে। এমনই একটি বই ‘দৃষ্টিপাত। লেখকের মধ্যে স্বাভাবিক কাব্যশক্তি, পরিচ্ছন্নতাবােধ, চিন্তাশীলতা রয়েছে; আর আছে গভীরতর বেদনাবােধের একটি সুর, যা নিশীথ রাত্রির অন্ধকারের মতন আপনার ধ্যানে নিঃশব্দ। যে নেত্র দিয়ে লেখক দৃষ্টিপাত করেছেন, তার সাধনা আছে; যা সাধারনের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় তা দেখবার ক্ষমতা আছে, মানুষের অন্তর্লোকে প্রবেশ করবার অন্তদৃষ্টি আছে। এ নেত্র কখনও ঘৃণা ও রােষের বহ্নিজ্বালায় দীপ্ত, কখনও দয়াস্নিগ্ধ সমবেদনায় অশ্রুসজল। ভাষার এমন সাবলীল গতি, এত স্বচ্ছতা, এত ঔজ্জ্বল্য এবং এমন সৌন্দর্য রবীন্দ্রনাথ ও প্রমথ চৌধুরীর লেখায় ছাড়া আর বেশি দেখা যায় না। ক্রীপস-দৌত্যের ইতিবৃত্ত ইতিহাসে পড়েছেন সকলেই, কিন্তু মানবীয় অভিজ্ঞতার অভিঘাতে সেই শুষ্ক বৃত্তান্তও যে রসঘন কমনীয় হয়ে উঠতে পারে, উঠতে পারে স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ অধ্যায়ের মর্মস্পর্শী ইতিহাস হয়ে, তা ‘দৃষ্টিপাত না পড়লে বােঝার উপায় ছিল না। তাই পৃষ্ঠা ফুরিয়ে গেলেও কাহিনি ফুরােয় না—কানে বাজতে থাকে, ‘প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য, মৃত্যুকে দেয় মহিমা। কিন্তু প্রবঞ্চিতকে দেয় কী? তাকে দেয় দাহ। যে আগুন আলাে দেয় না অথচ দহন করে, সেই দীপ্তিহীন অগ্নির নির্দয় দাহনে পলে-পলে দগ্ধ হলেন কাণ্ডজ্ঞানহীন হতভাগ্য চারুদত্ত আধারকার।
    No Specifications