Skip to Content
নবজাগরণের মহত্তম পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

Price:

550.00 ৳


জয়ন্তী মৌচাক
জয়ন্তী মৌচাক
500.00 ৳
500.00 ৳
Selected Poems (Joy Goswami)
Selected Poems (Joy Goswami)
700.00 ৳
700.00 ৳

নবজাগরণের মহত্তম পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/13681/image_1920?unique=8fb8efa

550.00 ৳ 550.0 BDT 550.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উনিশ শতকের বঙ্গী/য় রেনেসাঁসের গতিধারায় এক নতুন বাঁক। হঠাৎ গতিবেগ হল খরশান। ধর্মসংস্কারের উদ্যম ও উদ্যোগ প্রায় সম্পূর্ণভাবেই পরিত্যক্ত। মানুষ, মানুষের জন্য নতুন সমাজ ও সংস্কৃতি, বিশ্বজ্ঞান ও বিজ্ঞানের আলােকে নতুন জীবনদৃষ্টি গড়ে তােলার সাধনাই দৃঢ়তর হল। প্রাচীন শাস্ত্র, তন্ত্র-মন্ত্র নয়, ধর্মও নয়, বিচার্য বিষয় হয়ে উঠল। নারীপুরুষ নির্বিশেষে সনাতনী নিয়ম-নিগড়ে শ্বাসরুদ্ধ মানুষের উদ্ধার ও উত্তরণের পথ। এই পথ নির্মাণের লক্ষ্যে বিদ্যাসাগরের যে সাধনা তাকে বলতে পারি ‘a colossal stride forward'। তিনি ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে পশ্চিমের সভ্যতাকে মেলাতে চাইলেন যুক্তিশাস্ত্র, শুদ্ধজ্ঞান ও বিজ্ঞানের ভিত্তিতে। তিনি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য। জন স্টুয়ার্ট মিলের ‘লজিক। বিজ্ঞান ও দর্শনের সূত্রসমূহ শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন, শুধু এ দেশীয় প্রাচীন দর্শন ও ধর্মশাস্ত্র পাঠে ছাত্রদের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশলাভের পথ নির্মিত হতে পারবে না। আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের পথেই মানুষের সত্যার্থে মুক্তি এ কথা তিনি বিশ্বাস করতেন। তাঁর জীবনে এবং জীবনব্যাপী কর্মকাণ্ডে এই বিশ্বাসে তিনি অনড়, অটল ছিলেন। কাশীর সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ব্যালেনটাইন ছাত্রদের বেদান্ত, সাংখ্য প্রভৃতি ষড়দর্শনকেই ছাত্রদের প্রধান পাঠ্যবিষয় রূপে গ্রহণ করার পক্ষে তাঁর দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি ছাত্রদের বার্কলের দর্শন চর্চাতেও অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছিলেন। বিদ্যাসাগর (এবং অক্ষয়কুমার দত্ত) ব্যালেনটাইনের অভিমতের তীব্র বিরােধিতা করে বলেছিলেন, একটি পূর্ণাবয়ব সুন্দর সতেজ সমাজ গড়ে তুলতে প্রয়ােজন হাজার হাজার সুস্থ সবল মানুষের মন। এই মনের জন্য প্রয়ােজন যে শিক্ষা তা ষড়দর্শনে নেই, বার্কলের দর্শনেও নেই। মানুষ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষালাভের জন্য দৃষ্টি ফেরাতেই হবে পশ্চিমের জ্ঞানবিজ্ঞান ও বিশ্ব-ইতিহাসের দিকে। বিজ্ঞানের ইতিহাস এবং ইতিহাসের বিজ্ঞান এ দুই বিষয়ের দিকেই ছাত্রদের মনােযােগ টানতে হবে। কলকাতা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষরূপে তিনি এই নবতম শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে চাইলেন।

Title

নবজাগরণের মহত্তম পথিকৃৎ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

Author

স্বরাজ সেনগুপ্ত

Publisher

Jigassa Publishing House

Number of Pages

252

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Memoir
  • First Published

    AUG 2019

    ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর উনিশ শতকের বঙ্গী/য় রেনেসাঁসের গতিধারায় এক নতুন বাঁক। হঠাৎ গতিবেগ হল খরশান। ধর্মসংস্কারের উদ্যম ও উদ্যোগ প্রায় সম্পূর্ণভাবেই পরিত্যক্ত। মানুষ, মানুষের জন্য নতুন সমাজ ও সংস্কৃতি, বিশ্বজ্ঞান ও বিজ্ঞানের আলােকে নতুন জীবনদৃষ্টি গড়ে তােলার সাধনাই দৃঢ়তর হল। প্রাচীন শাস্ত্র, তন্ত্র-মন্ত্র নয়, ধর্মও নয়, বিচার্য বিষয় হয়ে উঠল। নারীপুরুষ নির্বিশেষে সনাতনী নিয়ম-নিগড়ে শ্বাসরুদ্ধ মানুষের উদ্ধার ও উত্তরণের পথ। এই পথ নির্মাণের লক্ষ্যে বিদ্যাসাগরের যে সাধনা তাকে বলতে পারি ‘a colossal stride forward'। তিনি ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে পশ্চিমের সভ্যতাকে মেলাতে চাইলেন যুক্তিশাস্ত্র, শুদ্ধজ্ঞান ও বিজ্ঞানের ভিত্তিতে। তিনি ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য। জন স্টুয়ার্ট মিলের ‘লজিক। বিজ্ঞান ও দর্শনের সূত্রসমূহ শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের উপরে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন, শুধু এ দেশীয় প্রাচীন দর্শন ও ধর্মশাস্ত্র পাঠে ছাত্রদের বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশলাভের পথ নির্মিত হতে পারবে না। আত্মনির্মাণ ও আত্মবিকাশের পথেই মানুষের সত্যার্থে মুক্তি এ কথা তিনি বিশ্বাস করতেন। তাঁর জীবনে এবং জীবনব্যাপী কর্মকাণ্ডে এই বিশ্বাসে তিনি অনড়, অটল ছিলেন। কাশীর সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ব্যালেনটাইন ছাত্রদের বেদান্ত, সাংখ্য প্রভৃতি ষড়দর্শনকেই ছাত্রদের প্রধান পাঠ্যবিষয় রূপে গ্রহণ করার পক্ষে তাঁর দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। তিনি ছাত্রদের বার্কলের দর্শন চর্চাতেও অনুপ্রাণিত করতে চেয়েছিলেন। বিদ্যাসাগর (এবং অক্ষয়কুমার দত্ত) ব্যালেনটাইনের অভিমতের তীব্র বিরােধিতা করে বলেছিলেন, একটি পূর্ণাবয়ব সুন্দর সতেজ সমাজ গড়ে তুলতে প্রয়ােজন হাজার হাজার সুস্থ সবল মানুষের মন। এই মনের জন্য প্রয়ােজন যে শিক্ষা তা ষড়দর্শনে নেই, বার্কলের দর্শনেও নেই। মানুষ গড়ার লক্ষ্যে শিক্ষালাভের জন্য দৃষ্টি ফেরাতেই হবে পশ্চিমের জ্ঞানবিজ্ঞান ও বিশ্ব-ইতিহাসের দিকে। বিজ্ঞানের ইতিহাস এবং ইতিহাসের বিজ্ঞান এ দুই বিষয়ের দিকেই ছাত্রদের মনােযােগ টানতে হবে। কলকাতা সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষরূপে তিনি এই নবতম শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করতে চাইলেন।
    No Specifications