Skip to Content
অন্তর্লীনা

Price:

600.00 ৳


Nani A. Palkhivala : A Life
Nani A. Palkhivala : A Life
1,200.00 ৳
1,200.00 ৳
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
ব্ঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা : হাইকোর্টের ঐতিহাসিক রায়
700.00 ৳
700.00 ৳

অন্তর্লীনা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/11502/image_1920?unique=0fec06c

600.00 ৳ 600.0 BDT 600.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

হাতে আজ আর কোন কাজ ছিল না য়ুনিভার্সিটি বন্ধ, এক যাওয়া যায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। কিন্তু কেন জানি ইচ্ছে করছে না আজ কোথাও যেতে মেসের আর কটি ছাত্র গ্রীষ্মের ছুটি হতে যে যার বাড়ি চলে গেছে। একলা পড়ে গেছে কৃশানু। বঙ্কিম চাটুজ্জে স্ট্রীট যেখানে এসে থমকে থেমে গেছে ট্রাম-রাস্তার কোলাহল দেখে, সেখানেই ওদের দু-কামরার মেসবাড়ি একতলায় একমাত্র দোকান-কাগজের আড়ত, ফটোবাধাইওলা, আর একটা রেস্তোরা ঐ আপ্যায়ন-কেবিনের পাশের পলেস্তারা-খােলা পানের পিক-রঞ্জিত সরু একটা প্যাসেজ হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে ভিতরের ছােট উঠানে পৌছে। এক চিলতে একটু উঠান, কোণে একটা টোবাচ্চা, অত্যন্ত পিচ্ছিল তার চারপাশ পাশে কল-আধফালা একটা বাঁশের চোঙা লাগানাে ডান দিক দিয়ে উঠে গেছে। নড়বড়ে কাঠের সিঁড়ি-ভাঙা-শিক ফোগলা দাতের মত তার চেহারা সিঁড়িটা শেষ। হয়েছে দোতলায়। পাশাপাশি দুখানি ঘর দ্বিতলে মােট চারজন মেম্বার সবাই মফঃস্বলের ছেলে ল-কলেজের সুব্রত দাস ছিল মেসের ম্যানেজার। কৃশানুর রুমমেট। সুদর্শন বলিষ্ঠ চেহারা, মেসের চারটি প্রাণীর দায়িত্ব গ্রহণ করবার মত অন্তত চওড়া ওর। কাঁধটা – একেবারে বৃষস্কন্ধ না হলেও পাশের ঘরে থাকে সমর আর সখেন্দু একজনের বি-কম, অপরজন ওরই সঙ্গে পড়ে।

নারায়ণ সান্যাল

নারায়ণ সান্যাল (২৬ এপ্রিল ১৯২৪ - ৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৫) আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত লেখক। এছাড়াও তিনি একজন পুর প্রকৌশলী। নিত্য নতুন বিষয়বস্তু নির্বাচন ছিল তার রচনাশৈলীর এক বৈশিষ্ট্য, লেখকের আদি নিবাস নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর। কৃষ্ণনগরে জন্ম হলেও তিনি কলকাতায় শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। ম্যাট্রিক পাশ করেন আসানসোল ই আই আর বিদ্যালয় থেকে। স্কুলের খাতায় নাম ছিল নারায়নদাস সান্যাল। ১৯৪৮ সালে শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে বি.ই. সম্পন্ন করেন। তিনি ইন্সটিট্যুট অব ইঞ্জিনিয়ার্স (ইন্ডিয়া)-এর ফেলো ছিলেন। ১৯৮২ সালে সরকারী চাকুরী থেকে অবসর নিয়েছিলেন। সাহিত্যজগতে নারায়ন সান্যাল তার বকুলতলা পি এল ক্যাম্প ও দন্ডক শবরি গ্রন্থের জন্য বিশেষভাবে পরিচত। পি.ডব্লু.ডি তে চাকরি করাকালীন দণ্ডকারণ্য অঞ্চলে তার পোস্টিং হয়, জীবনের অভিজ্ঞতায় এই দুটি উপন্যাস লেখেন যা বিদগ্ধ পাঠক মহলে সমাদৃত হয়। এছাড়া বিজ্ঞান, শিল্প স্থাপত্য ভাস্কর্য ও সামাজিক, ঐতিহাসিক উপন্যাস প্রচুর লিখেছেন। শিশু কিশোরদের জন্যেও তার রচনা সুখপাঠ্য। তার অন্যান্য রচনাগুলির মধ্যে বিশ্বাসঘাতক, ষাট একষট্টি, হে হংসবলাকা, নক্ষত্রলোকের দেবতাত্মা, আবার যদি ইচ্ছা করো, রূপমঞ্জরী (হটু বিদ্যালঙ্কার এর জীবনী অবলম্বনে) অরণ্য দন্ডক, অশ্লীলতার দায়ে, না মানুষের পাঁচালী উল্লেখযোগ্য। রহস্য গোয়েন্দা কাহিনীও লিখেছেন, তার কাঁটা সিরিজ নামে খ্যাত বইগুলির মূল চরিত্র ব্যারিস্টার পি কে বাসু স্ট্যানলি গার্ডেনারের প্যারি ম্যাসন এর আদলে তৈরি। তার রচিত কাহিনী নাগচম্পা (যদি জানতেম), সত্যকাম, পাষণ্ড পন্ডিত চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে।

Title

অন্তর্লীনা

Author

নারায়ণ সান্যাল

Publisher

Dey's Publishing House

Number of Pages

212

Language

Bengali / বাংলা

First Published

JAN 2023

হাতে আজ আর কোন কাজ ছিল না য়ুনিভার্সিটি বন্ধ, এক যাওয়া যায় ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। কিন্তু কেন জানি ইচ্ছে করছে না আজ কোথাও যেতে মেসের আর কটি ছাত্র গ্রীষ্মের ছুটি হতে যে যার বাড়ি চলে গেছে। একলা পড়ে গেছে কৃশানু। বঙ্কিম চাটুজ্জে স্ট্রীট যেখানে এসে থমকে থেমে গেছে ট্রাম-রাস্তার কোলাহল দেখে, সেখানেই ওদের দু-কামরার মেসবাড়ি একতলায় একমাত্র দোকান-কাগজের আড়ত, ফটোবাধাইওলা, আর একটা রেস্তোরা ঐ আপ্যায়ন-কেবিনের পাশের পলেস্তারা-খােলা পানের পিক-রঞ্জিত সরু একটা প্যাসেজ হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে ভিতরের ছােট উঠানে পৌছে। এক চিলতে একটু উঠান, কোণে একটা টোবাচ্চা, অত্যন্ত পিচ্ছিল তার চারপাশ পাশে কল-আধফালা একটা বাঁশের চোঙা লাগানাে ডান দিক দিয়ে উঠে গেছে। নড়বড়ে কাঠের সিঁড়ি-ভাঙা-শিক ফোগলা দাতের মত তার চেহারা সিঁড়িটা শেষ। হয়েছে দোতলায়। পাশাপাশি দুখানি ঘর দ্বিতলে মােট চারজন মেম্বার সবাই মফঃস্বলের ছেলে ল-কলেজের সুব্রত দাস ছিল মেসের ম্যানেজার। কৃশানুর রুমমেট। সুদর্শন বলিষ্ঠ চেহারা, মেসের চারটি প্রাণীর দায়িত্ব গ্রহণ করবার মত অন্তত চওড়া ওর। কাঁধটা – একেবারে বৃষস্কন্ধ না হলেও পাশের ঘরে থাকে সমর আর সখেন্দু একজনের বি-কম, অপরজন ওরই সঙ্গে পড়ে।
No Specifications