Skip to Content
কিছু বিশ্বাসের বাহ্যিক পুনর্বিবেচনা

Price:

450.00 ৳


Fearless Freedom (Penguin)
Fearless Freedom (Penguin)
600.00 ৳
600.00 ৳
ছায়াছবির ছায়াপথে
ছায়াছবির ছায়াপথে
400.00 ৳
400.00 ৳

কিছু বিশ্বাসের বাহ্যিক পুনর্বিবেচনা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/23116/image_1920?unique=126be2c

450.00 ৳ 450.0 BDT 450.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

রাজনীতি -বিজ্ঞান-অর্থনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য সকল ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং নতুন করে সবকিছু বিবেচনা করতে হবে। সকলের সমান অধিকার দিতে না পারলেও অনন্ত যার যা প্রাপ্য তাকে সেটুকু দিতে হবে। দেশ-কাল-সমাজভেদে মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রতষ্ঠায় হতে হবে সচেষ্ট। মানুষের সামাজিক-নৈতিক-শাস্ত্রিক আর দেশকাল সম্পর্কিত বহুবিধ সমস্যা রয়েছে। আমাদের সকল সমস্যার উর্ধ্বে উঠে সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদেরর বর্তমান বিজ্ঞান প্রভাবিত জগতে যৌক্তিক-বৌদ্ধিক-বিবেকী জীবন গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আমাদের সংস্কার-কুসংস্কার সম্পর্কে সদা সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে এবং অর্জন করতে হবে মন ও মননের মুক্তি।

Ahmed Sharif

আহমেদ শরীফ (১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২১ - ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯) একজন বাংলাদেশী ভাষাবিদ, খ্যাতনামা মনীষী এবং বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতি পরিমণ্ডলের অন্যতম প্রতিভূ। কলেজ অধ্যাপনার (১৯৪৫-৪৯) পেশাগত জীবন শুরু করেন। এক বছরের বেশি সময় রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্রে অণুষ্ঠান সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। সেইসাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি। আহমদ শরীফ ১৯৩৮ সালে পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় হতে প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৪০ সালে ইন্টারমিডিয়েট এবং ১৯৪২ সালে চট্টগ্রাম কলেজ হতে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতক পাস করেন। পরবর্তীকালে ১৯৪৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২য় বিভাগে ৪র্থ স্থান অধিকার করে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে সৈয়দ সুলতান তাঁর গ্রন্থাবলী ও তাঁর যুগ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৪ সালে দুশ পঞ্চাশ টাকার বেতনে গ্রিভেন্সিভ অফিসার হিসেবে দুর্নীতি দমন বিভাগে চাকরি দিয়ে তার পেশাগত জীবন শুরু করেন। কিন্তু নীতিগত কারণে সেই চাকরি বেশিদিন করেননি। আসলে তার রক্তের শিরায় প্রবাহিত ছিল শিক্ষকতার নেশা, ফলে তিনি ১৯৪৫ সালের আগস্ট মাস হতে ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লাকসামের পশ্চিম গাঁও নওয়ার ফয়জুন্নেসা কলেজে অধ্যাপনা করেন। তখন বেতন ছিল মাত্র ১১৫ টাকা। ১৯৪৮ সালে ডিসেম্বর হতে ১৯৪৯ সালের জুন পর্যন্ত ফেনী ডিগ্রি কলেজে অধ্যাপনায় কাটে আরো কিছুদিন। এরপর ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম রিসার্চ অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে যোগ দেন তিনি। চাকরির শর্ত ছিল এই যে, তিনি আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের বিশাল পুঁথির সম্ভার বিনা অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে দিবেন এবং তার বিনিময়ে ঐ পুঁথি দেখভালের জন্য তাকে নিয়োগ করা হবে। এই শর্তের সূত্রেই তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার ছাড়পত্র লাভ করেন।১৯৫২ হতে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে বাংলা বিভাগের অস্থায়ী লেকচারার এবং ১৯৫৭ সালে লেকচারার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৬২ সাল হতে তিনি সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপকও ছিলেন। ১৯৬৩ সাল হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সেকশনের পাশাপাশি অধ্যাপনায় যোগ দেন। ১৯৬৯ সালে তিনি বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ৩১ অক্টোবর চূড়ান্তভাবে অবসর গ্রহণ করেন। জীবনের ৩৬ বছরের সম্পর্ক ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তার। চাকরি জীবনে তিনি একাধিকবার আর্টস ফ্যাকাল্টির ডিন নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ‘নজরুল অধ্যাপক পদে’ যোগ দেন এবং ১৯৮৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিনি ঐ পদে কর্মরত ছিলেন। আহমদ শরীফ বড় হয়ে উঠেছিলেন আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের দুর্লভ অমূল্য পুঁথির ভাণ্ডার ও সাময়িক পত্রপত্রিকার সম্ভারের মধ্যে। তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় তিনি ব্যয় করেছেন মধ্যযুগের সাহিত্য ও সামাজিক ইতিহাস রচনার জন্য। যা ইতিহাসের অন্যতম দলিল। বিশ্লেষণাত্মক তথ্য, তত্ত্ব ও যুক্তিসমৃদ্ধ দীর্ঘ ভূমিকার মাধ্যমে তিনি মধ্যযুগের সমাজে ও সংস্কৃতির ইতিহাস বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে দিয়ে গেছেন যা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে এক অমর গাঁথা হয়ে থাকবে।

Title

কিছু বিশ্বাসের বাহ্যিক পুনর্বিবেচনা

Author

Ahmed Sharif

Publisher

Agamee Prakashani

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Essays
  • রাজনীতি -বিজ্ঞান-অর্থনীতি-শিক্ষা-সাহিত্য সকল ক্ষেত্রে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং নতুন করে সবকিছু বিবেচনা করতে হবে। সকলের সমান অধিকার দিতে না পারলেও অনন্ত যার যা প্রাপ্য তাকে সেটুকু দিতে হবে। দেশ-কাল-সমাজভেদে মানুষের মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা প্রতষ্ঠায় হতে হবে সচেষ্ট। মানুষের সামাজিক-নৈতিক-শাস্ত্রিক আর দেশকাল সম্পর্কিত বহুবিধ সমস্যা রয়েছে। আমাদের সকল সমস্যার উর্ধ্বে উঠে সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদেরর বর্তমান বিজ্ঞান প্রভাবিত জগতে যৌক্তিক-বৌদ্ধিক-বিবেকী জীবন গড়ে তুলতে হবে। এজন্য আমাদের সংস্কার-কুসংস্কার সম্পর্কে সদা সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে এবং অর্জন করতে হবে মন ও মননের মুক্তি।
    No Specifications