Skip to Content
কমলালয়া কলকাতা

Price:

220.00 ৳


কমলনামা
কমলনামা
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
কমিউনিকেশন স্কিল
কমিউনিকেশন স্কিল
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)

কমলালয়া কলকাতা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/22936/image_1920?unique=7c9d374

220.00 ৳ 220.0 BDT 275.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

কমলালয়া কলকাতা মীজানুর রহমানের কিশােরবেলায় দেখা কলকাতা মহানগরীর নিবিড় অন্তরঙ্গ ছবি। কিন্তু তিনি যখন বইটি লেখা শুরু করেন, তখন তাঁর বয়স ৫৫ বছর। ফলে দৃষ্টিটা পেছনফেরা, সব। স্মৃতিকথা এভাবেই লেখা হয়। তবে মীজানুর রহমান তার ছেলেবেলার স্মৃতির রাজ্যে এমন অবলীলায় অবগাহন করতে পেরেছেন যে, তার। লেখায় সেই সময়টি প্রায় অবিকৃতরূপে বিশদ খুঁটিনাটিসহ ফুটে উঠেছে। তাঁর প্রাঞ্জল বর্ণনায় মৃত অতীত প্রাণ ফিরে পেয়েছে; ২০ শতকের তিরিশ-চল্লিশের দশকের কলকাতা মহানগরীর শঙ্খরব শােনা যাচ্ছে; তার রাস্তাঘাট, অলিগলি, দোকানপাট, পাড়া-মহল্লা ও মানুষ জীবন্ত হয়ে উঠেছে। মীজানুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রকৃতিবিদ ও লেখক দ্বিজেন শর্মা কমলালয়া কলকাতা সম্পর্কে লিখেছিলেন, “একজন সংবেদী মানুষের পক্ষে তার কৈশােরের স্মৃতিভুবন হারানাের মতাে বড় ক্ষতি আর কিছু নেই। দেশভাগ বাঙালির একটা বড় অংশেরই স্মৃতিভুবন ধ্বংস করে দিয়েছে, বলা বাহুল্য দুই বঙ্গেরই। মীজানের লেখায় ব্যবহৃত শব্দাবলি, অভিব্যক্তির ধরন, এমনকি দৃষ্টিকোণেও কলকাতার নাগরিক প্রভাব অত্যন্ত স্পষ্ট, আর এগুলাে তাে। আসলে গভীরতর এক বাস্তবতার সামান্য। বহিঃপ্রকাশ মাত্র, যেন হিমশৈলের আগা, নিচের সিংহভাগের হদিস খােদ মানুষটিও জানে না। সষ্টিশীলতার জগৎ একাধারে জটিল ও ততােধিক নাজুক। তাই মীজানুর রহমানের কমলালয়া কলকাতা আসলেই শুধু স্মৃতিচারণ নয়, আপন ভুবনচ্যুতির রােদনও।

মিজানুর রহমান

মীজানুর রহমান জন্ম ১৩৩৭ বঙ্গাব্দের ৬ ফাল্গুন (১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৯ ফেব্রুয়ারি) বুধবার, বেলা চারটায়, এই উপমহাদেশের শিক্ষাদীক্ষায় ও বরেণ্য গুণীজনসমৃদ্ধ অভ্যগ্র জনপদ বিক্রমপুরের চতুষ্পাঠী তথা টোল-অধ্যুষিত ইছামতী-তীরস্থ নিভৃত বামুনপল্লী টোল-বাসাইলের এক উদার ধর্মশীল সুফি ভাবাপন্ন জ্ঞানপিপাসু পীরালী পীর পরিবারে। এঁদের যৌথ পদবি খন্দকার ও মুনশি, অর্থাৎ মূলত কর্মকর্তা ও শিক্ষকতাই এঁদের পথচলার কড়ি। সরকারি পদ থেকে অবসরপ্রাপ্ত একদা বড়লাট লর্ড কার্জনের (১৮৫৯-১৯২৫) স্বল্পকালীন খাশ মুনশি ওঁর দাদু খন্দকার ফজলুল করিমের (১৮৬১-১৯৪১) তাবে রয়েছে অবসরোত্তর ২১ বছরের শিক্ষকতার রেকর্ড। কিন্তু মীজানুর রহমানের কোনো রেকর্ড নেই এক ওই ১৪ বছর বয়সে সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়া ছাড়া। মীজানুর রহমান জীবদ্দশায় নিজের লেখা তিনটি বই প্রকাশ করেছেন। কমলালয়া কলকাতা ও কৃষ্ণ ষোলোই সম্পর্কে তাঁর পাঠকদের ধারণা আছে। অন্য বইটির নাম রক্তপিছল কাশ্মীর, এটিই তাঁর প্রথম প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ, ঢাকার দিদার পাবলিশিং হাউজ থেকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬৬ সালে। তিনি বিভিন্ন সময়ে ঢাকার বিভিন্ন পত্রিকায় অনেক বিষয়ে অনেক নিবন্ধ-প্রবন্ধ লিখেছেন। ঢাকা বিষয়ক লেখাগুলো একত্র করে ঢাকা পুরাণ নামে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে তাঁর মৃত্যুর পরে। বইটির ভূমিকা লিখেছেন তাঁর আর্ট স্কুলের অন্যতম সহপাঠী ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। সেই ভূমিকাটি এই গ্রন্থে সংযুক্ত আছে। তাঁর রচনাসমগ্রের এই প্রথম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হলো তিনটি বই: কমলালয়া কলকাতা, কৃষ্ণ ষোলই ও ঢাকা পুরাণ।

Title

কমলালয়া কলকাতা

Author

মিজানুর রহমান

Publisher

Mowla Brothers

Number of Pages

175

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Biography
  • First Published

    FEB 2020

    কমলালয়া কলকাতা মীজানুর রহমানের কিশােরবেলায় দেখা কলকাতা মহানগরীর নিবিড় অন্তরঙ্গ ছবি। কিন্তু তিনি যখন বইটি লেখা শুরু করেন, তখন তাঁর বয়স ৫৫ বছর। ফলে দৃষ্টিটা পেছনফেরা, সব। স্মৃতিকথা এভাবেই লেখা হয়। তবে মীজানুর রহমান তার ছেলেবেলার স্মৃতির রাজ্যে এমন অবলীলায় অবগাহন করতে পেরেছেন যে, তার। লেখায় সেই সময়টি প্রায় অবিকৃতরূপে বিশদ খুঁটিনাটিসহ ফুটে উঠেছে। তাঁর প্রাঞ্জল বর্ণনায় মৃত অতীত প্রাণ ফিরে পেয়েছে; ২০ শতকের তিরিশ-চল্লিশের দশকের কলকাতা মহানগরীর শঙ্খরব শােনা যাচ্ছে; তার রাস্তাঘাট, অলিগলি, দোকানপাট, পাড়া-মহল্লা ও মানুষ জীবন্ত হয়ে উঠেছে। মীজানুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রকৃতিবিদ ও লেখক দ্বিজেন শর্মা কমলালয়া কলকাতা সম্পর্কে লিখেছিলেন, “একজন সংবেদী মানুষের পক্ষে তার কৈশােরের স্মৃতিভুবন হারানাের মতাে বড় ক্ষতি আর কিছু নেই। দেশভাগ বাঙালির একটা বড় অংশেরই স্মৃতিভুবন ধ্বংস করে দিয়েছে, বলা বাহুল্য দুই বঙ্গেরই। মীজানের লেখায় ব্যবহৃত শব্দাবলি, অভিব্যক্তির ধরন, এমনকি দৃষ্টিকোণেও কলকাতার নাগরিক প্রভাব অত্যন্ত স্পষ্ট, আর এগুলাে তাে। আসলে গভীরতর এক বাস্তবতার সামান্য। বহিঃপ্রকাশ মাত্র, যেন হিমশৈলের আগা, নিচের সিংহভাগের হদিস খােদ মানুষটিও জানে না। সষ্টিশীলতার জগৎ একাধারে জটিল ও ততােধিক নাজুক। তাই মীজানুর রহমানের কমলালয়া কলকাতা আসলেই শুধু স্মৃতিচারণ নয়, আপন ভুবনচ্যুতির রােদনও।
    No Specifications