Skip to Content
কমলাকান্ত (বাংলাপ্রকাশ)

Price:

200.00 ৳


হিট রিফ্রেশ
হিট রিফ্রেশ
375.00 ৳
375.00 ৳
খুশবন্ত সিং ১
খুশবন্ত সিং ১
250.00 ৳
250.00 ৳

কমলাকান্ত (বাংলাপ্রকাশ)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/32862/image_1920?unique=20d6fc2

200.00 ৳ 200.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

আচার ব্যবহারের দিক থেকে কমলাকান্ত স্বাভাবিক ও সংযত নয়। গ্রন্থের প্রথম থেকেই লক্ষ করি, যে পাগলাকে আত্মভোলা, অগোছালো জীবনযাপনে অভ্যস্থ, সর্বোপরি সংসারবন্ধন মুক্ত। তবে বিদ্বান এবং বুদ্ধিমান ছিলেন। কেমন? খাশনবীশের ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে-‘কমলাকান্তের মতো বিদ্বান যাহারা কেবল কতকগুলো বই পড়িয়াছে, তাহারা আমার মতে গণ্ডমূর্খ।’ কারণ বিদ্বান হওয়া সত্তে¡ও প্রতিপত্তিশীলের মধ্য দিয়ে জীবনে সে দাঁড়াতে পারেনি। সরকারি চাকরিকে সে রসিকতা বলে মানে। সময় ক্ষেত্র শেক্সপিয়রের কবিতা বা আদালত চত্বরকে তীব্র ব্যঙ্গের দ্বারা তাদের অসারত্ব প্রমাণ করতে থাকে। এককথায়, আমাদের এই নিয়মনিষ্ঠ সমাজে কমলাকান্তের বোধ বুদ্ধি বিবেচনা বাতুলতা বা প্রলাপের নামান্তর মাত্র। যে ধারাবাহিক বা গণ্ডিবদ্ধ জীবনের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে আমরা এতদিন বাস করছিলাম কমলাকান্তের তাজা মনে এবং তাঁর ব্যবহারে তা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। মুক্ত বিহঙ্গের মতো পাখা মেলতে কমলাকান্ত সবাইকে পরোক্ষে সে ইঙ্গিত দেন। তাই কমলাকান্তকে বাতুল বা গণ্ডমূর্খ বলেও তাঁরই নির্দেশে আমরা সামাজিক কুসংস্কারের হাত থেকে মুক্ত হতে চাই। কমলাকান্তের বেহিসেবি জীবনযাপনকে সাধারণ মানুষ হয়তো সশ্রদ্ধ চিত্তে মেনে নেবেন না, কিন্তু তার মধ্যে যে মহত্ব বা প্রতিভা ছিল তাকে তো অস্বীকার বা অবহেলা করার উপায় নেই।

Bankimchandra Chattopadhyay

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (২৬ জুন ১৮৩৮ - ৮ এপ্রিল ১৮৯৪) ছিলেন উনিশ শতকের বিশিষ্ট বাঙালি ঔপন্যাসিক। বাংলা গদ্য ও উপন্যাসের বিকাশে তার অসীম অবদানের জন্যে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করেছেন। তাকে সাধারণত প্রথম আধুনিক বাংলা ঔপন্যাসিক হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে গীতার ব্যাখ্যাদাতা হিসাবে, সাহিত্য সমালোচক হিসাবেও তিনি বিশেষ খ্যাতিমান। তিনি জীবিকাসূত্রে ব্রিটিশ রাজের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষার আদি সাহিত্যপত্র বঙ্গদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ছদ্মনাম হিসেবে কমলাকান্ত নামটি বেছে নিয়েছিলেন। তাকে বাংলা উপন‍্যাসের জনক বলা হয়। এছাড়াও তিনি বাংলা সাহিত্যের সাহিত্য সম্রাট হিসেবে পরিচিত। বঙ্কিমচন্দ্র রচিত আনন্দমঠ (১৮৮২) উপন্যাসের কবিতা বন্দে মাতরম ১৯৩৭ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কর্তৃক ভারতের জাতীয় স্তোত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। দুর্গেশনন্দিনী ছিলো প্রথম সার্থক বাংলা উপন্যাস যেটা বাংলা সাহিত্যের দ্বার উন্মোচন করেছিলো। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মোট ১৫টি উপন্যাস লিখেছিলেন এবং এর মধ্যে একটি ইংরেজি ভাষার উপন্যাস ছিলো। বঙ্কিমই বাংলা ভাষাকে প্রথম সত্যিকারের মর্যাদা দিয়েছিলেন। তার রচনা 'বঙ্কিমী শৈলী' বা 'বঙ্কিমী রীতি' নামে পরিচিত। শেষ জীবনে তার স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ছিল না। ১৮৯৪ সালের মার্চ মাসে তার বহুমূত্র রোগ বেশ বেড়ে যায়। এই রোগেই অবশেষে তার মৃত্যু হয়, এপ্রিল ৮, ১৮৯৪ (বাংলা ২৬ চৈত্র ১৩০০ সাল)

Title

কমলাকান্ত (বাংলাপ্রকাশ)

Author

Bankimchandra Chattopadhyay

Publisher

Banglaprakash (a concern of Omicon Group)

Number of Pages

113

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Story
  • First Published

    DEC 2024

    আচার ব্যবহারের দিক থেকে কমলাকান্ত স্বাভাবিক ও সংযত নয়। গ্রন্থের প্রথম থেকেই লক্ষ করি, যে পাগলাকে আত্মভোলা, অগোছালো জীবনযাপনে অভ্যস্থ, সর্বোপরি সংসারবন্ধন মুক্ত। তবে বিদ্বান এবং বুদ্ধিমান ছিলেন। কেমন? খাশনবীশের ভাষায় প্রকাশ পেয়েছে-‘কমলাকান্তের মতো বিদ্বান যাহারা কেবল কতকগুলো বই পড়িয়াছে, তাহারা আমার মতে গণ্ডমূর্খ।’ কারণ বিদ্বান হওয়া সত্তে¡ও প্রতিপত্তিশীলের মধ্য দিয়ে জীবনে সে দাঁড়াতে পারেনি। সরকারি চাকরিকে সে রসিকতা বলে মানে। সময় ক্ষেত্র শেক্সপিয়রের কবিতা বা আদালত চত্বরকে তীব্র ব্যঙ্গের দ্বারা তাদের অসারত্ব প্রমাণ করতে থাকে। এককথায়, আমাদের এই নিয়মনিষ্ঠ সমাজে কমলাকান্তের বোধ বুদ্ধি বিবেচনা বাতুলতা বা প্রলাপের নামান্তর মাত্র। যে ধারাবাহিক বা গণ্ডিবদ্ধ জীবনের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে আমরা এতদিন বাস করছিলাম কমলাকান্তের তাজা মনে এবং তাঁর ব্যবহারে তা ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। মুক্ত বিহঙ্গের মতো পাখা মেলতে কমলাকান্ত সবাইকে পরোক্ষে সে ইঙ্গিত দেন। তাই কমলাকান্তকে বাতুল বা গণ্ডমূর্খ বলেও তাঁরই নির্দেশে আমরা সামাজিক কুসংস্কারের হাত থেকে মুক্ত হতে চাই। কমলাকান্তের বেহিসেবি জীবনযাপনকে সাধারণ মানুষ হয়তো সশ্রদ্ধ চিত্তে মেনে নেবেন না, কিন্তু তার মধ্যে যে মহত্ব বা প্রতিভা ছিল তাকে তো অস্বীকার বা অবহেলা করার উপায় নেই।
    No Specifications