Skip to Content
শান্তা পরিবার

Price:

200.00 ৳


নুরুলদিনের সারাজীবন
নুরুলদিনের সারাজীবন
175.00 ৳
175.00 ৳
English Grammar 1 (Shishu Sahitya)
English Grammar 1 (Shishu Sahitya)
160.00 ৳
160.00 ৳

শান্তা পরিবার

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/38795/image_1920?unique=03c029b

200.00 ৳ 200.0 BDT 200.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

শান্তার বয়স যখন মাত্র এক বছর তখন তার বাবা মারা গিয়েছিলেন। শান্তার বাবা ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরির একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, একবার বয়লার ফেটে ফ্যাক্টরিতে ভয়ংকর একটা একসিডেন্টে একসাথে চারজন মারা গেল— সেই চারজনের একজন ছিলেন শান্তার বাবা। একটি বাচ্চা যখন এত ছােট তখন তার বাবা মারা যাওয়া মােটামুটিভাবে একটা ভয়ংকর ব্যাপার, শান্তা অবশ্য তার কিছুই বুঝতে পারল না। শান্তার বাবা বড় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তাই ফ্যাক্টরি থেকে, ইস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে শান্তার মা অনেক টাকা-পয়সা পেয়েছিলেন। সবাই তাই শান্তার মা'কে খুব দেখে শুনে রাখল । শান্তার বয়স যখন তিন তখন শান্তার মায়ের খুব একটা খারাপ অসুখ ধরা পড়ল, ব্লাড ক্যান্সার না যেন কী। সেই অসুখে ভুন্থে ভুগে মা যখন মারা গেলেন তখন শান্তার বয়স চার। মায়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে সব টাকা-পয়সা খরচ হয়ে গিয়েছিল তাই মা যখন মারা গেলেন তখন শান্তার জন্যে সবাই শুধু মুখে আহা উহু করেই সরে পড়ল, যখন শান্তাকে মানুষ করার। সময় হল তখন কারাে দেখা নেই। যখন সবাইকে ধরে বেঁধে আনা হল তখন বড় চাচা আঁৎকে উঠে বললেন, “আমি কী করে এই মেয়েকে দেখাশােনা করব, আমার এমনিতেই এত বড় ফ্যামিলি।” ছােট চাচা চোখ কপালে তুলে বললেন, "সর্বনাশ! আমার এত ছােট ফ্যামিলি এখানে তাে এডজাস্টই করতে পারবে না!” শান্তার খালারা ভয়ের চোটে শান্তার বাসাতেই আসা ছেড়ে দিলেন । মামাদের সুবিধে হল সবচেয়ে বেশি, সবাই দেশের বাইরে তাই কীভাবে ছােট বাচ্চাদের মানুষ করতে হয় তার ওপর লম্বা লম্বা চিঠি লিখেই খালাস। শেষ পর্যন্ত কোন উপায় দেখে শান্তার সবচেয়ে সাদাসিধে ছােট ফুপুর বাসায় তার জায়গা করে দেওয়া হলাে। কি ঘটলো শান্তার জীবনে এরপর

Muhammed Zafar Iqbal

মুহম্মদ জাফর ইকবাল (জন্ম: ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫২) হলেন একজন বাংলাদেশী কথাসাহিত্য ও বিজ্ঞান কল্পকাহিনী লেখক, কলাম লেখক, পদার্থবিদ, শিক্ষাবিদ ও আন্দোলনকর্মী। তার লেখা কিছু উপন্যাস চলচ্চিত্রে রূপায়িত হয়েছে। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের একজন অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। ২০১৯ সালের অক্টোবরে তিনি অবসরে চলে যান। তিনি ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ক্যলিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনলজি ও বেল কমিউনিকেশনস রিসার্চে ১৮ বছর কাজ করার পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে যুক্ত হন।

Title

শান্তা পরিবার

Author

Muhammed Zafar Iqbal

Publisher

Ananya

Number of Pages

126

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Children Fiction
  • First Published

    AUG 2022

    শান্তার বয়স যখন মাত্র এক বছর তখন তার বাবা মারা গিয়েছিলেন। শান্তার বাবা ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরির একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন, একবার বয়লার ফেটে ফ্যাক্টরিতে ভয়ংকর একটা একসিডেন্টে একসাথে চারজন মারা গেল— সেই চারজনের একজন ছিলেন শান্তার বাবা। একটি বাচ্চা যখন এত ছােট তখন তার বাবা মারা যাওয়া মােটামুটিভাবে একটা ভয়ংকর ব্যাপার, শান্তা অবশ্য তার কিছুই বুঝতে পারল না। শান্তার বাবা বড় ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তাই ফ্যাক্টরি থেকে, ইস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে শান্তার মা অনেক টাকা-পয়সা পেয়েছিলেন। সবাই তাই শান্তার মা'কে খুব দেখে শুনে রাখল । শান্তার বয়স যখন তিন তখন শান্তার মায়ের খুব একটা খারাপ অসুখ ধরা পড়ল, ব্লাড ক্যান্সার না যেন কী। সেই অসুখে ভুন্থে ভুগে মা যখন মারা গেলেন তখন শান্তার বয়স চার। মায়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে সব টাকা-পয়সা খরচ হয়ে গিয়েছিল তাই মা যখন মারা গেলেন তখন শান্তার জন্যে সবাই শুধু মুখে আহা উহু করেই সরে পড়ল, যখন শান্তাকে মানুষ করার। সময় হল তখন কারাে দেখা নেই। যখন সবাইকে ধরে বেঁধে আনা হল তখন বড় চাচা আঁৎকে উঠে বললেন, “আমি কী করে এই মেয়েকে দেখাশােনা করব, আমার এমনিতেই এত বড় ফ্যামিলি।” ছােট চাচা চোখ কপালে তুলে বললেন, "সর্বনাশ! আমার এত ছােট ফ্যামিলি এখানে তাে এডজাস্টই করতে পারবে না!” শান্তার খালারা ভয়ের চোটে শান্তার বাসাতেই আসা ছেড়ে দিলেন । মামাদের সুবিধে হল সবচেয়ে বেশি, সবাই দেশের বাইরে তাই কীভাবে ছােট বাচ্চাদের মানুষ করতে হয় তার ওপর লম্বা লম্বা চিঠি লিখেই খালাস। শেষ পর্যন্ত কোন উপায় দেখে শান্তার সবচেয়ে সাদাসিধে ছােট ফুপুর বাসায় তার জায়গা করে দেওয়া হলাে। কি ঘটলো শান্তার জীবনে এরপর
    No Specifications