Skip to Content
নিঃসঙ্গ নক্ষত্র (অন্যপ্রকাশ)

Price:

544.00 ৳


নিঃসঙ্গ কারাগারে শেখ হাসিনার ৩৩১ দিন
নিঃসঙ্গ কারাগারে শেখ হাসিনার ৩৩১ দিন
480.00 ৳
600.00 ৳ (20% OFF)
নিঃসঙ্গ নক্ষত্র (ভাষাচিত্র)
নিঃসঙ্গ নক্ষত্র (ভাষাচিত্র)
376.00 ৳
470.00 ৳ (20% OFF)

নিঃসঙ্গ নক্ষত্র (অন্যপ্রকাশ)

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/13842/image_1920?unique=04faf5c

544.00 ৳ 544.0 BDT 680.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

সন্ধ্যার ম্লান হয়ে আসা আলােয় অণু বলল, এই যে আমার জন্য এমন করে কাঁদছ, এই যে আমাকে এমন করে চাইছ, আমি চাই এই কান্নাটা সারা জীবন থাকুক, এই চাওয়াটাও পেয়ে গেলে চাওয়াটা আর থাকে না। কে জানে, হয়তাে পাওয়াটাও। আমার কী মনে হয়, জানাে ? কী ? ‘পুরােপুরি পেয়ে যাওয়া মানে পুরােপুরি হারিয়ে ফেলা। মাহফুজ কথা বলল না। চুপচাপ অণুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল অণু বলল, এই যে তােমাকে এত পেতে ইচ্ছে করে, এর। চেয়ে তীব্র কিছু আর নেই এ জগতে। কিন্তু জানাে, পেয়ে যাওয়ার পর পেতে চাওয়ার এই তীব্র ইচ্ছাটা আর থাকে। না। তােমারও থাকবে না। আজকের এই মুহূর্তটাকে তখন মনে হবে জীবনের সবচেয়ে যুক্তিহীন, সবচেয়ে ভুল একটি মুহূর্ত। এই তীব্র চাওয়ার অনুভূতিগুলাে তখন ধীরে ধীরে মরে যেতে থাকবে। মরে যেতে যেতে একসময় পুরােপুরি নিঃশেষ হয়ে যাবে। তখন সবকিছু কেবল অভ্যাস হয়ে থাকে, অনুভূতি না।' অণু একটু থামল তারপর আবার বলল, আমি চাই না। তুমি আমার অভ্যাস হয়ে যাও, আমি চাই তুমি আমার অনুভূতি হয়েই থাকো।' তখন সূর্যের শেষ আভাটুকুও মিলিয়ে যাচ্ছিল দিগন্তে সেই আভাটুকুর দিকে তাকিয়ে অণুর যেন মনে হলাে সে তার বুকের বাঁ দিকের ভারটা বহন করতে পারছে না।

Sadat Hossain

সাদাত হোসাইন স্নাতকোত্তর, নৃবিজ্ঞান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সাদাত হোসাইন নিজেকে বলেন গল্পের মানুষ। তাঁর কাছে চারপাশের জীবন ও জগত, মন ও মানুষ সকলই গল্প। তিনি মনে করেন, সিনেমা থেকে পেইন্টিং, আলোকচিত্র থেকে ভাস্কর্য, গান থেকে কবিতা- উপন্যাস-নাটক, সৃজনশীল এই প্রতিটি মাধ্যমই মূলত গল্প বলে। গল্প বলার সেই আগ্রহ থেকেই একের পর এক লিখেছেন- আরশিনগর, অন্দরমহল, মানবজনম, নিঃসঙ্গ নক্ষত্র, নির্বাসন, ছদ্মবেশ, মেঘেদের দিন ও অর্ধবৃত্তের মতো তুমুল জনপ্রিয় উপন্যাস। ‘কাজল চোখের মেয়ে’, তোমাকে দেখার অসুখ'সহ দারুণ সব পাঠকপ্রিয় কবিতার বই। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বোধ, দ্য শুজ, প্রযত্নের পাশাপাশি' নির্মাণ করেছেন 'গহীনের গান' এর মতো ব্যতিক্রমধর্মী পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও। জিতেছেন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রকার পুরস্কার, এসবিএসপি-আরপি ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার, পশ্চমিবঙ্গের চোখ সাহত্যি পুরস্কার, শুভজন সাহিত্য সম্মাননা ও এক্সিম ব্যাংক- অন্যদিন হুমায়ূন আহমদে সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯। তাঁর জন্ম ১৯৮৪ সালের ২১ মে, মাদারীপুর জেলার, কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামে।

Title

নিঃসঙ্গ নক্ষত্র (অন্যপ্রকাশ)

Author

Sadat Hossain

Publisher

Anyaprokash

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • সন্ধ্যার ম্লান হয়ে আসা আলােয় অণু বলল, এই যে আমার জন্য এমন করে কাঁদছ, এই যে আমাকে এমন করে চাইছ, আমি চাই এই কান্নাটা সারা জীবন থাকুক, এই চাওয়াটাও পেয়ে গেলে চাওয়াটা আর থাকে না। কে জানে, হয়তাে পাওয়াটাও। আমার কী মনে হয়, জানাে ? কী ? ‘পুরােপুরি পেয়ে যাওয়া মানে পুরােপুরি হারিয়ে ফেলা। মাহফুজ কথা বলল না। চুপচাপ অণুর মুখের দিকে তাকিয়ে রইল অণু বলল, এই যে তােমাকে এত পেতে ইচ্ছে করে, এর। চেয়ে তীব্র কিছু আর নেই এ জগতে। কিন্তু জানাে, পেয়ে যাওয়ার পর পেতে চাওয়ার এই তীব্র ইচ্ছাটা আর থাকে। না। তােমারও থাকবে না। আজকের এই মুহূর্তটাকে তখন মনে হবে জীবনের সবচেয়ে যুক্তিহীন, সবচেয়ে ভুল একটি মুহূর্ত। এই তীব্র চাওয়ার অনুভূতিগুলাে তখন ধীরে ধীরে মরে যেতে থাকবে। মরে যেতে যেতে একসময় পুরােপুরি নিঃশেষ হয়ে যাবে। তখন সবকিছু কেবল অভ্যাস হয়ে থাকে, অনুভূতি না।' অণু একটু থামল তারপর আবার বলল, আমি চাই না। তুমি আমার অভ্যাস হয়ে যাও, আমি চাই তুমি আমার অনুভূতি হয়েই থাকো।' তখন সূর্যের শেষ আভাটুকুও মিলিয়ে যাচ্ছিল দিগন্তে সেই আভাটুকুর দিকে তাকিয়ে অণুর যেন মনে হলাে সে তার বুকের বাঁ দিকের ভারটা বহন করতে পারছে না।
    No Specifications