ঈশ্বরদীর ইতিহাস

‘ঈশ্বরদী’ নামের জনপদটি দূর অতীত থেকে বহু ঘটনা, রটনা, গৌরব, ঐতিহ্য আর ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। গােড়াপত্তন থেকে ধীরে ধীরে ঈশ্বরদীর বেড়ে ওঠা, এর বিকাশ, বিস্তৃতি, উন্নয়ন ও বর্তমান সময় পর্যন্ত লালিত এর নিজস্ব ঐতিহ্য ও গৌরবময় অধ্যায়ের পাশাপাশি এর পশ্চাদপদতা, ব্যর্থতা আর আঁধার কালাে দিকগুলাে তুলে ধরে ঈশ্বরদী এলাকার ইতিহাসের প্রতিফলন ঘটানাের আন্তরিক ইচ্ছা থেকেই এই বইটি লেখা হয়েছে। লেখাটিতে ঈশ্বরদীর ইতিহাস প্রতিফলনের ক্ষেত্রে সময়গত পার্থক্য অনেক ক্ষেত্রে কম, আবার কখনােবা বেশি। কখনও দূর অতীত থেকে নিকট অতীত, আবার কখনও নিকট অতীত থেকে বর্তমান সময়কে এই এলাকার ইতিহাসের প্রেক্ষিত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোনাে সক্রিয়, চলমান, জীবন্ত ও প্রসারমান জনপদ ও তার জনগােষ্ঠীকে ঘিরে অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা, অতীত থেকে ঘটে চলা ঘটনা বা বর্তমান থেকে ভবিষ্যতের দিকে ধাবমান ঘটনার বর্ণনায় সেকাল ও একাল তথা সময়ের পার্থক্য অনেক ক্ষেত্রেই মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে, এমনটাই স্বাভাবিক। তবে কালে কালে গ্রহণ, বর্জন ও সমন্বয়ের বহতা ধারায় ঈশ্বরদী নামের জনপদটি এই অঞ্চলের অধিবাসী ছাড়াও দেশ ও জাতির নিকট বরাবরই অনন্য ও বিশিষ্ট হয়ে ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি। ঈশ্বরদী এলাকার গঠন, গড়ে ওঠা ও বিকাশের সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে আছে প্রমত্তা পদ্মা আর ঈশ্বরদীর বুক চিরে স্থাপিত রেললাইন এবং রেলের অন্যান্য স্থাপনা ও উন্নয়নের ধারা। পদ্মাতীরে অবস্থিত ঈশ্বরদী। তাই যুগে যুগে কালে কালে পদ্মা নদী দিয়ে যেমন বয়ে গেছে অনেক পানি, তেমনি সময়ের আবর্তন-বিবর্তনের গতিপথে ঈশ্বরদীর বিকাশ ঘটেছে নিজস্ব ঐতিহ্য আর দীর্ঘ পথপরিক্রমায় । বইটি ঈশ্বরদীর সামগ্রিক তথ্য-উপাত্তে সমৃদ্ধ।