স্বাধীনতার ঘোষনা ও বঙ্গবন্ধু (তাম্রলিপি)

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার * মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশি-বিদেশি শক্তির সহযােগিতায় বিশেষ একটি মহল যদিন ধরে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা বন্ধুর পরিবর্তে মেজর জিয়াকে স্বাধীনতার ঘােষক হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বভিন্ন ধরনের মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জাতিকে বিভ্রান্ত করে চলছে। এই বিভ্রান্তি হেকে মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ঘােষণা ও বঙ্গবন্ধু’ নামক গ্রন্থটি সম্পাদনার উদ্যোগ নিই। এই গ্রন্থে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার লােকজন বিশেষ করে রতিবিদ, ইতিহাসবিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার ঘােষণা র্কত লেখা পরিবেশন করে পাঠকদের উদ্দেশে উপস্থাপন করা হলাে। ইমর দৃঢ় বিশ্বাস নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও মুক্ত মন-মানসিকতা নিয়ে এই গ্রন্থখানি বার পাঠ করবেন তারা বুঝতে পারবেন যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘােষক কন্তু শেখ মুজিবুর রহমান, মেজর জিয়া নন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নি যাই করেছেন-তিনি তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব মেনেই =3-ইন। যার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সবাই বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার বেক হিসেবে মেনে নেন এবং অন্যকোনাে নেতা বা মুক্তিযােদ্ধা নিজেকে অধীনতার ঘােষক হিসেবে মেনে নেননি এবং অন্য কোনাে নেতা বা মুক্তিযােদ্ধা -ইকে স্বাধীনতার ঘােষক হিসেবে দাবি করেননি। মেজর জিয়াও জীবিতকালে জেনেদিন কোনাে বক্তব্যে নিজেকে স্বাধীনতার ঘােষক হিসাবে দাবি করেননি। অরনকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্যে নিজের স্বাধীনতা বেনার কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু নিজেই শুধু তার স্বাধীনতা ঘােষণার কথা বলেনি, হল তার ও বাংলার মানুষের শত্রু জেনারেল ইয়াহিয়া, ভুট্টো ও সিদ্দিক শালিক কৰ হু পাকিস্তানি নেতারাও বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘােষক হিসেবে তাদের কবে উল্লেখ করেন।