Skip to Content
রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া : নারী প্রগতির একশো বছর

Price:

340.00 ৳


রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)
রাসূলুল্লাহ (সা)-এর স্বাস্থ্যবিধান ও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান (সকল খন্ড একত্রে)
রাসূলুল্লাহ (সা)-এর স্বাস্থ্যবিধান ও আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান (সকল খন্ড একত্রে)
240.00 ৳
300.00 ৳ (20% OFF)

রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া : নারী প্রগতির একশো বছর

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/28168/image_1920?unique=5b478ad

340.00 ৳ 340.0 BDT 425.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

একুশ শতকের বাংলাদেশে নারী আর পর্দার আড়ালে লুকিয়ে নেই। তাকে দেখা যায় জনজীবনের সর্বত্রই। তার সামাজিক মর্যাদা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ কওে ঘরের বাইরে। সেখানে সে ছোটোবড়ো নানা পদে অধিষ্ঠিত-ঝাড়ুদারনি থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত। স্কুলের শিক্ষিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা; কেরানি থেকে বিচারপতি পর্যন্ত। লেখাপড়ায় সে এগিয়ে গেছে ছেলেদের প্রায় পিছনে ফেলে। হিমালয় থেকে আরম্ভ করে অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছে বাঙালি নারী। কিন্তু দেড় শো বছর আগেও মেয়েদের জন্যে লেখাপড়া, ঘরের চার দেয়ালের বাইরে যাওয়া, গাড়িতে চড়া, জুতো পায়ে দেওয়া, দিনের বেলা স্বামীর সঙ্গে দেখা করে অথবা কথা বলা ছিলো একেবারে নিষিদ্ধ। পুরুষ-শাসিত বাঙালি সমাজে নারীরা তখন ছিলো একটা জন্তুর মতো। তার ভূমিকা ছিলো একের ভিতরে পাঁচ-একই সঙ্গে সে ছিলো রাঁধুনি, পরিচারিকা, আয়া, সন্তানের মা এবং শয্যাসঙ্গিনী। তারপর দেড় শো বছরে আমূল পরিবর্তন এসেছে সেই অবস্থার। কিন্তু কী করে? কাদের চেষ্টায়? কোন নারীরা প্রথমে পথ দেখিয়েছিলেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার? মাত্র দেড় শো বছরে এতো বড়ো সামাজিক পরিবর্তন কী কওে সম্ভব হলো? এই গ্রন্থে সেই কথাই লেখা হয়েছে, কয়েকজন নারীর দৃষ্টান্ত দিয়ে। রাসুন্দরী দেবী অবিশ্বাস্যভাবে নিজে নিজে লেখাপড়া শিখে বাঙালিদের মধ্যে সবার আগে আত্মজীবনী রচনা করেছিলেন। কৈলাসবাসিনী দেবী সবার আড়ালে স্বামীর কাছে লেখাপড়া শিখে তিনখানা বই লিখেছিলেন। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী বাঙালি নারীদের শাড়ি পরা শিখিয়েছিলেন। নিজে গিয়েছিলেন বড়োলাটের সঙ্গে ডিনার করতে। কৃষ্ণভাবিনী দাস বিলেতে গিয়ে একটি চমৎকার ভ্রমণকাহিনী লিখেছিলেন। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীদের জন্যে পুরুষের সমান অধিকার এবং মর্যাদার দাবি তুলেছিলেন। মোট কথা, ইতিহাস রচনা করেছিলেন তাঁরা। সেই ইতিহাসই এ বইয়ের বিষয়বস্তু।

Ghulam Murshid

গোলাম মুরশিদ বাংলাদেশের গবেষণামূলক বই লেখকদের ক্ষেত্রে অন্যতম নাম ‘গোলাম মুরশিদ’। ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে তাঁর জানাশোনার পরিসর অত্যন্ত বিস্তৃত এবং এক্ষেত্রে তাঁর অভিজ্ঞতাও উল্লেখযোগ্য। বছরের পর বছর ধরে তিনি ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে গবেষণা গ্রন্থ রচনা করে গেছেন, তাঁর ‘হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি’ বইটিতে বাঙালি সংস্কৃতি বলতে আমরা যা বুঝে থাকি এবং যা আমাদের জানার গণ্ডির বাইরে, তার সবটাকেই এক মলাটে বাঁধাই করতে পেরেছেন তিনি। ১৯৪০ সালে বরিশালে জন্ম নেন এই গবেষক ও লেখক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কর্মজীবনে বেশ বৈচিত্র্য দেখা যায়; গবেষণার ছাড়াও বেতার সাংবাদিকতা ও শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর। ১৯৮৪ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করছেন। গবেষণার মাধ্যমে অতীতকে আবিষ্কারের নেশা তাঁর প্রবল। গোলাম মুরশিদ এর বই সমগ্র পড়লে বাংলা সাহিত্যের কিছু লেখকের সমৃদ্ধ জীবনকাহিনীও জানতে পারা যায়। কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লেখা তাঁর ‘বিদ্রোহী রণক্লান্ত’ কিংবা মাইকেল মাইকেল মধুসূদন দত্তকে নিয়ে লেখা ‘আশার ছলনে ভুলি’ বইগুলো এর অন্যতম উদাহরণ। নারীপ্রগতি নিয়েও তাঁর একটি বই রয়েছে- ‘রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া’। সময়ের পরিক্রমায় বিভিন্ন বিষয়কে একটি বিশ্লেষণাত্মক ও গবেষণামূলক ইতিহাসখণ্ডে রূপ দিতে সিদ্ধহস্ত লেখক গোলাম মুরশিদ। গোলাম মুরশিদ এর বই সমূহ শুধু যে ভাষা ও সাহিত্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তা নয়। মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস নিয়েও তাঁর ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে এবং সে আগ্রহের ফসল হিসেবে বাংলাভাষী পাঠকসমাজ পেয়েছে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর একটি নির্দলীয় ইতিহাস’। এ বইয়ে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সময় পরিক্রমার একটি বস্তুনিষ্ঠ ছবি তুলে ধরবার চেষ্টা করেছেন লেখক।

Title

রাসসুন্দরী থেকে রোকেয়া : নারী প্রগতির একশো বছর

Author

Ghulam Murshid

Publisher

Abosar Prokashona Sangstha

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Women Issues
  • একুশ শতকের বাংলাদেশে নারী আর পর্দার আড়ালে লুকিয়ে নেই। তাকে দেখা যায় জনজীবনের সর্বত্রই। তার সামাজিক মর্যাদা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ কওে ঘরের বাইরে। সেখানে সে ছোটোবড়ো নানা পদে অধিষ্ঠিত-ঝাড়ুদারনি থেকে মন্ত্রী পর্যন্ত। স্কুলের শিক্ষিকা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা; কেরানি থেকে বিচারপতি পর্যন্ত। লেখাপড়ায় সে এগিয়ে গেছে ছেলেদের প্রায় পিছনে ফেলে। হিমালয় থেকে আরম্ভ করে অ্যান্টার্কটিকার সর্বোচ্চ শিখরে উঠেছে বাঙালি নারী। কিন্তু দেড় শো বছর আগেও মেয়েদের জন্যে লেখাপড়া, ঘরের চার দেয়ালের বাইরে যাওয়া, গাড়িতে চড়া, জুতো পায়ে দেওয়া, দিনের বেলা স্বামীর সঙ্গে দেখা করে অথবা কথা বলা ছিলো একেবারে নিষিদ্ধ। পুরুষ-শাসিত বাঙালি সমাজে নারীরা তখন ছিলো একটা জন্তুর মতো। তার ভূমিকা ছিলো একের ভিতরে পাঁচ-একই সঙ্গে সে ছিলো রাঁধুনি, পরিচারিকা, আয়া, সন্তানের মা এবং শয্যাসঙ্গিনী। তারপর দেড় শো বছরে আমূল পরিবর্তন এসেছে সেই অবস্থার। কিন্তু কী করে? কাদের চেষ্টায়? কোন নারীরা প্রথমে পথ দেখিয়েছিলেন সামনে এগিয়ে যাওয়ার? মাত্র দেড় শো বছরে এতো বড়ো সামাজিক পরিবর্তন কী কওে সম্ভব হলো? এই গ্রন্থে সেই কথাই লেখা হয়েছে, কয়েকজন নারীর দৃষ্টান্ত দিয়ে। রাসুন্দরী দেবী অবিশ্বাস্যভাবে নিজে নিজে লেখাপড়া শিখে বাঙালিদের মধ্যে সবার আগে আত্মজীবনী রচনা করেছিলেন। কৈলাসবাসিনী দেবী সবার আড়ালে স্বামীর কাছে লেখাপড়া শিখে তিনখানা বই লিখেছিলেন। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী বাঙালি নারীদের শাড়ি পরা শিখিয়েছিলেন। নিজে গিয়েছিলেন বড়োলাটের সঙ্গে ডিনার করতে। কৃষ্ণভাবিনী দাস বিলেতে গিয়ে একটি চমৎকার ভ্রমণকাহিনী লিখেছিলেন। রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন নারীদের জন্যে পুরুষের সমান অধিকার এবং মর্যাদার দাবি তুলেছিলেন। মোট কথা, ইতিহাস রচনা করেছিলেন তাঁরা। সেই ইতিহাসই এ বইয়ের বিষয়বস্তু।
    No Specifications