টমাস আলভা এডিসন (উৎস)

টমাস আলভা এডিসনের জন্ম ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে—মিলান, ওহাইও, আমেরিকায়। এডিসনের জীবন যেন বাস্তব এক রূপকথা। ১৩ বছর বয়সে ট্রেনের পত্রিকা হকার থেকে তিনি হয়েছেন দৈনিক পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক। তার সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম গ্র্যান্ড ট্রাংক। হেরাল্ড।শৈশব থেকেই মাথামােটা ছেলে’ এডিসন নানারকম গবেষণায় মেতে থাকতেন। সময়ের পরিক্রমায় তিনি একাই পাল্টে দেন আধুনিক পৃথিবীর চেহারা। তার আবিষ্কৃত বস্তুগুলাের জন্য জনজীবনে। বিরাট পরিবর্তন আসে। উল্লেখযােগ্য আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের মধ্যে রয়েছে— গ্রামােফোন, ভিডিও। ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক বাতি, ভােট ধারণকারী যন্ত্র, বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি, মােশন পিকচার ক্যামেরা, চলচ্চিত্র ক্যামেরা, বৈদ্যুতিক রেলগাড়ি, বৈদ্যুতিক রেলপথ, ট্রামগাড়ি, মাইক্রোফোন প্রভৃতি। এডিসনের নামে ১,০৯৩টি মার্কিন পেটেন্টসহ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানিরও পেটেন্ট রয়েছে। অবিশ্বাস্য সব সাফল্যই নয়—‘ব্যর্থতাও রয়েছে। এডিসনের জীবনে। তিনি চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন, এমন বিষয়ে পরবর্তীকালে তার পথ ধরে অন্য । বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করেন—উক্তি যন্ত্র, লােহা নিষ্কাশক, বৈদ্যুতিক মিটার, ফল সংক্ষণ, কক্রি গাড়ি, টেকসই আসবাবপত্র, কথাবল, পুতুল বর্তমানের যে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন, হাতের নাগালে সবকিছু—এর নেপথ্য কর মহল বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন মুলত তিন জানতেন না। নাওয়া-খ তুলে দিত হয়ে মজে থাকতেন। এডিসনের জন্ম না হলে জমি। আরাে কত হাজার বছর পিছিয়ে থাকল । শিউরে উঠতে হয়। এ যশস্বী বিজ্ঞান ১৯৩১ সালের ১৮ দুই মৃত্যুবরণ করেন।