Skip to Content
ইনসাইড ’র’ : ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার অজানা অধ্যায়

Price:

320.00 ৳


ইনসাইড ইসলাম
ইনসাইড ইসলাম
232.00 ৳
290.00 ৳ (20% OFF)
ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরী (ওরিয়ানা ফালাচি)
ইন্টারভিউ উইথ হিস্টরী (ওরিয়ানা ফালাচি)
340.00 ৳
425.00 ৳ (20% OFF)

ইনসাইড ’র’ : ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার অজানা অধ্যায়

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/22331/image_1920?unique=7c9d374

320.00 ৳ 320.0 BDT 400.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

আমি গুপ্তচর, তুমি গুপ্তচর’-এ ধরণের লুকোচুরি খেলা বহুদিন যাবত পৃথিবী জুড়ে চলছে। পাতলা বা অকিঞ্চিৎকর’ আবরণে সত্য পরিচয় ঢেকে রেখে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো ইন্টেলিজেন্স জগতে বহুল আলোচিত একটি পদ্ধতি, যদিও এ ‘ঢেকে রাখা স্বীকৃত নৈতিকতার মানদণ্ডে বড় ধরণের প্রশ্নসাপেক্ষ কোনো ব্যাপার নয়। অন্যদেশের গুপ্তচর নিজদেশে প্রায় থোলাখুলিভাবে শুধু যৎকিঞ্চিৎ পাতলা আবরণের’ (Cover, কূটনৈতিক পরিচয়) আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তিতে নিয়োজিত থাকে। কিন্তু যখনই ঐ ‘পাতলা আবরণটি খসে যায় তখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, সে গ্রেপ্তার হতে চলেছে। সকলের মনেই একটি মৌলিক প্রশ্ন জাগতে পারে “গুপ্তচর কেন?” এ ক্ষেত্রে সহজ স্বাভাবিক উত্তর হচ্ছে “টিকে থাকার জন্য”। ক। প্রাচীন যুগে গুপ্তচরবৃত্তি (Spies in Ancient Times) টিকে থাকার সগ্রাম, পৃথিবীতে প্রাণ বা জীবন উদ্ভবের দিনের মতোই পুরানো। প্রাচীন প্রস্তর, লৌহ ও তাম্র যুগে আমরা পাথর ও ধাতব অস্ত্রের সন্ধান পাই। এ সব অস্ত্র-শস্ত্র শুধু খাদ্য সংগ্রহের জন্য নয় বরং হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ ও পরবর্তীতে সহযোগী মানুষের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে। টিকে থাকার সংগ্রাম শুধু অস্ত্রের গুণগত মান ও তার ব্যবহারের প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল ছিল না বরং শত্রুর চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞানের ওপর অর্থাৎ কখন, কোথায় এবং কিভাবে শত্রু আক্রমণ চালাবে এ সমস্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আবর্তিত হয়েছে। এ ধরণের তথ্য সগ্রহের উপর টিকে থাকা ও বিজয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং তথ্যের অভাব ও দুস্প্রাপ্যতা পরাজয় ও মৃত্যু ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং টিকে থাকার এ সংগ্রামে কিছু লোক নিজেদের তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত করলাম যারা ‘জাসুস’ (Spy) অর্থাৎ ‘গুপ্তচর’ হিসেবে পরিচিত। এ পদ্ধতি ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করে এবং বর্তমানে যাকে আমরা এসপায়োনেজ’ বলে জানি সে অভিধায় ভূষিত হয়। প্রাচীন ভারতীয় পুঁথিপত্রেও গুপ্তচরবৃত্তির বিভিন্ন কাহিনীর উপস্থিতি লক্ষণীয়। মনুর’ চরিতাবিধানে এ ব্যাপারে স্পষ্ট উল্লেখ্য যে, “রাজা বা শাসনকর্তা অবশ্যই নিজদেশে ও তার শত্রুদেশে গুপ্তচরের মাধ্যমে খবরাখবর সংগ্রহ করবেন।” বেদ, মহাভারত, রামায়ণেও এরূপ বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়; রামায়ণে বিদেশি দেশগুলোয় গুপ্তচর মারফত লক্ষ্য রাখার জন্য বলা হয়েছে। দ্রুপ মহাভারতে দুর্যোধনের গুপ্তচরবৃত্তির উদাহরণ.......

Abu Rushed

আবু রুশ্‌দ্ সামরিক কর্মকর্তা থেকে সাংবাদিক। এমনটি সচরাচর দেখা যায় না। আবু রুশদ একসময় ক্যারিয়ার হিসেবে সৈনিক জীবনকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা তাকে সেই পেশা থেকে নিয়ে এসেছেন সাংবাদিকতায়। আৰু জশন-এর জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ জেলায়। তার পিতা ছিলেন রংপুর কারমাইকেল কলেজের অধ্যাপক। রংপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করার পর অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন ১৩তম দীর্ঘমেয়াদী কোর্সে। ক্যাডেট কলেজে সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলা ও ইংরেজী বিতর্কে ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। পরবর্তীতে বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমীতে দীর্ঘ দুই বছরের প্রশিক্ষণকালে ৩য় ও ৪৩ টার্মে যথাক্রমে কর্পোরাল ও আন্ডার অফিসার এ্যাপয়েন্টমেন্ট লাভ করেন। ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর কমিশন পান কোর্সের প্রথম দশজনের একজন হিসেবে। সিগন্যাল কোরের অফিসার হিসেবে বেসিক কোর্স ও স্কুল অ ইনফ্যান্সী এন্ড ট্যাকটিকস্-এ রিট কোর্স কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে স্বাস্থ্যগত কারণে অবসর দেয়া হয় ১৯৮৯ সালে। এল পি আর শেষে তদানীন্তন সরকার বেসামরিক পর্যায়ে সরকারি চাকুরি দেয়ার ব্যবস্থা করলেও তিনি তাতে যোগ দেননি। এরপর চলে আসেন সাংবাদিকতায়। এ পর্যন্ত সিনিয়র রিপোর্টার, বিশেষ সংবাদদাতা ও সহকারী সম্পাদক পদে কাজ করেছেন বেশক'টি প্রথম শ্রেণির দৈনিক পত্রিকায়। টেলিভিশন রিপোর্টিং-এর উপর কোর্স করেছেন ও ভাতে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ।। বাংলাদেশে প্রতিরক্ষা সাংবাদিকতার শুরু আৰু অশন-এর হাত দিয়েই। যুদ্ধ বিষাক্ত দেশে জাতিসংঘ পরিচালিত শান্তি রক্ষা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর আমন্ত্রণে গিয়েছেন সিয়েরালিওন ও দক্ষিণ সুদানে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নেয়া ও মিডিয়া টিমের সদস্য হিসেবে ভ্রমণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানী, ইতালী, ফ্রান্স, দক্ষিণ সুদान, সিয়েরালিওন, চীন ও পাকিস্তান। এছাড়াও ঘুরে বেরিয়েছেন তুরস্ক, মিশর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, থাইল্যাণ্ড ও হংকং। ২০০৮ সাল থেকে নিজের সম্পাদনায় প্রকাশ করছেন বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিরক্ষা বিষয়ক জার্নাল 'বাংলাদেশ ডি পাশাপাশি নিরাপত্তা বিশ্লেষক হিসেবে বিদেশের অনেক প্রতিরক্ষা - জার্নালে তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলোর টক শোতেও অংশগ্রহণ করছেন নিয়মিত। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিবাহিনী ও মানবাধিকার, ইনসাইড 'র'-ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার অজানা অধ্যায় (অনুবাদ), বাংলাদেশে 'র' আগ্রাসী গুপ্তচরবৃত্তির স্বরূপ সন্ধানে, Secret Affidavit of Yahya Khan on 1971, আওয়ামী লীগ ও সশস্ত্রবাহিনী, ইয়াহিয়া খানের গোপন দলিল এবং জাতীয় নিরাপত্তা, রণনীতি ও সশস্ত্র বাহিনী। এছাড়া বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিকে তার অসংখ্য নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

Title

ইনসাইড ’র’ : ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থার অজানা অধ্যায়

Author

Abu Rushed

Publisher

Bangladesh Defence Journal Publishing

Language

Bengali / বাংলা

আমি গুপ্তচর, তুমি গুপ্তচর’-এ ধরণের লুকোচুরি খেলা বহুদিন যাবত পৃথিবী জুড়ে চলছে। পাতলা বা অকিঞ্চিৎকর’ আবরণে সত্য পরিচয় ঢেকে রেখে গুপ্তচরবৃত্তি চালানো ইন্টেলিজেন্স জগতে বহুল আলোচিত একটি পদ্ধতি, যদিও এ ‘ঢেকে রাখা স্বীকৃত নৈতিকতার মানদণ্ডে বড় ধরণের প্রশ্নসাপেক্ষ কোনো ব্যাপার নয়। অন্যদেশের গুপ্তচর নিজদেশে প্রায় থোলাখুলিভাবে শুধু যৎকিঞ্চিৎ পাতলা আবরণের’ (Cover, কূটনৈতিক পরিচয়) আড়ালে গুপ্তচরবৃত্তিতে নিয়োজিত থাকে। কিন্তু যখনই ঐ ‘পাতলা আবরণটি খসে যায় তখন নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, সে গ্রেপ্তার হতে চলেছে। সকলের মনেই একটি মৌলিক প্রশ্ন জাগতে পারে “গুপ্তচর কেন?” এ ক্ষেত্রে সহজ স্বাভাবিক উত্তর হচ্ছে “টিকে থাকার জন্য”। ক। প্রাচীন যুগে গুপ্তচরবৃত্তি (Spies in Ancient Times) টিকে থাকার সগ্রাম, পৃথিবীতে প্রাণ বা জীবন উদ্ভবের দিনের মতোই পুরানো। প্রাচীন প্রস্তর, লৌহ ও তাম্র যুগে আমরা পাথর ও ধাতব অস্ত্রের সন্ধান পাই। এ সব অস্ত্র-শস্ত্র শুধু খাদ্য সংগ্রহের জন্য নয় বরং হিংস্র প্রাণীর আক্রমণ ও পরবর্তীতে সহযোগী মানুষের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে। টিকে থাকার সংগ্রাম শুধু অস্ত্রের গুণগত মান ও তার ব্যবহারের প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল ছিল না বরং শত্রুর চরিত্র সম্পর্কে জ্ঞানের ওপর অর্থাৎ কখন, কোথায় এবং কিভাবে শত্রু আক্রমণ চালাবে এ সমস্ত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আবর্তিত হয়েছে। এ ধরণের তথ্য সগ্রহের উপর টিকে থাকা ও বিজয় ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং তথ্যের অভাব ও দুস্প্রাপ্যতা পরাজয় ও মৃত্যু ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং টিকে থাকার এ সংগ্রামে কিছু লোক নিজেদের তথ্য সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত করলাম যারা ‘জাসুস’ (Spy) অর্থাৎ ‘গুপ্তচর’ হিসেবে পরিচিত। এ পদ্ধতি ধীরে ধীরে উন্নতি লাভ করে এবং বর্তমানে যাকে আমরা এসপায়োনেজ’ বলে জানি সে অভিধায় ভূষিত হয়। প্রাচীন ভারতীয় পুঁথিপত্রেও গুপ্তচরবৃত্তির বিভিন্ন কাহিনীর উপস্থিতি লক্ষণীয়। মনুর’ চরিতাবিধানে এ ব্যাপারে স্পষ্ট উল্লেখ্য যে, “রাজা বা শাসনকর্তা অবশ্যই নিজদেশে ও তার শত্রুদেশে গুপ্তচরের মাধ্যমে খবরাখবর সংগ্রহ করবেন।” বেদ, মহাভারত, রামায়ণেও এরূপ বিভিন্ন বর্ণনা পাওয়া যায়; রামায়ণে বিদেশি দেশগুলোয় গুপ্তচর মারফত লক্ষ্য রাখার জন্য বলা হয়েছে। দ্রুপ মহাভারতে দুর্যোধনের গুপ্তচরবৃত্তির উদাহরণ.......
No Specifications