Skip to Content
দ্বৈরথ

Price:

108.00 ৳


দ্বীপ্ত সায়র
দ্বীপ্ত সায়র
176.00 ৳
220.00 ৳ (20% OFF)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন (প্রথমা)
দ্য অ্যাডভেঞ্চার অব হাকলবেরি ফিন (প্রথমা)
160.00 ৳
200.00 ৳ (20% OFF)

দ্বৈরথ

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/34962/image_1920?unique=e536570

108.00 ৳ 108.0 BDT 135.00 ৳

Not Available For Sale

(20% OFF)

This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

বাথরুমের দরজা খােলা। লােকটা অনেকক্ষণ ধরে বাথরুমে। বিশ্রী রকমের একটা আওয়াজ আসছে। “রল-গল-গরল। একজন মানুষ এমন কুৎসিত শব্দে গার্গল করে কীভাবে ? সুন্দর শােভন কিছুই কি মানুষটার নেই ? সােমা হাই তুলল। মাত্র নটা বাজে। এর মধ্যে হাই ওঠার কথা না। কিন্তু এই মানুষটি আশেপাশে থাকলে তার হাই ওঠে। লােকটি অবশ্য বুঝতে পারে না। হাই ওঠার সঙ্গে যে অবহেলার একটা ব্যাপার আছে, তা বােধহয় সে জানেও না। জানলেও তার হয়তাে কিছু যায় আসে না। :সােমা ! | লােকটার গলার স্বর অবশ্য মিষ্টি। না, মিষ্টি বলাটা ঠিক হচ্ছে না। পুরুষদের গলা মিষ্টি হয় না। ধাতব একটা ঝংকার শুধু থাকে। এই লােকের তা আছে। শুনতে ভাল লাগে। কথা শুনলে জবাব দিতে ইচ্ছে করে। :এই সােমা ! ৪ আসছি। ও একটু লবণ দাও। ও লবণ দিয়ে কী করবে ? ও দাত ঘষব। শালা দাঁতে পেইন উঠেছে। সােমা লবণ আনতে গেল। তার কানে ঝনঝন করে বাজছে—দাঁত ঘষব । শালা দাঁতে পেইন উঠেছে। লােকটা কি ইচ্ছে করলে শালা শব্দটা বাদ দিতে পারত না ? বােধহয় না। এইসব শব্দ তার রক্তে মিশে আছে। এই ঘরে একটা সাদা রঙের বিড়াল আসে।বিড়ালটার একটা চোখ নষ্ট । তাই সে বিড়ালটাকে ডাকে কানাশালী। বিড়ালটাকে শালী না ডাকলে কি চলত না ? সােমা ঝকঝকে একটা পিরিচের ঠিক মাঝখানে খানিকটা লবণ নিল। কিছু ছড়িয়ে গিয়েছিল—সাবধানে সে একত্র করল। অসুন্দর কোনােকিছুই তার ভাল লাগে না। যদিও তাকে বাস করতে হয় অসুন্দরের মধ্যে। | লােকটা তার হাত থেকে পিরিচ নিল। লবণ কত সুন্দর করে সাজানাে

হুমায়ুন আহমেদ

হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের এক কিংবদন্তী হুমায়ূন আহমেদ। বিংশ শতাব্দীর বাঙালি লেখকদের মধ্যে তিনি অন্যতম স্থান দখল করে আছেন। একাধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও নাট্যকার এ মানুষটিকে বলা হয় বাংলা সায়েন্স ফিকশনের পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বেশ সমাদৃত। বাদ যায়নি গীতিকার কিংবা চিত্রশিল্পীর পরিচয়ও। সৃজনশীলতার প্রতিটি শাখায় তাঁর সমান বিচরণ ছিল। অর্জন করেছেন সর্বোচ্চ সফলতা এবং তুমুল জনপ্রিয়তা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাঙালি জাতিকে হুমায়ুন আহমেদ উপহার দিয়েছেন তাঁর অসামান্য বই, নাটক এবং চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রের বদৌলতে মানুষকে করেছেন হলমুখী, তৈরি করে গেছেন বিশাল পাঠকশ্রেণীও। তাঁর নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আগুনের পরশমনি’ দেখতে দর্শকের ঢল নামে। এছাড়া শ্যামল ছায়া, শ্রাবণ মেঘের দিন, দুই দুয়ারী, চন্দ্রকথা, ঘেটুপুত্র কমলা প্রভৃতি চলচ্চিত্র সুধীজনের প্রশংসা পেয়েছে। অনন্য কীর্তি হিসেবে আছে তাঁর নাটকগুলো। এইসব দিনরাত্র, বহুব্রীহি, আজ রবিবার, কোথাও কেউ নেই, অয়োময়ো আজও নিন্দিত দর্শকমনে। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের জনক তিনি। রচনা করেছেন নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, জোছনা ও জননীর গল্পের মতো সব মাস্টারপিস। শিশুতোষ গ্রন্থ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক রচনা, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী মিলিয়ে হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমূহ এর পাঠক সারাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে। হুমায়ূন আহমেদ এর বই সমগ্র পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), একুশে পদক (১৯৯৪), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), মাইকেল মধুসূধন দত্ত পুরস্কার (১৯৮৭), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮), শিশু একাডেমি পুরস্কার, জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকসহ নানা সম্মাননা। হুমায়ূন আহমেদ এর বই, চলচ্চিত্র এবং অন্যান্য রচনা দেশের বাইরেও মূল্যায়িত হয়েছে৷ ১৯৪৮ সালের ১৩ই নভেম্বর, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলায় কুতুবপুরে পীরবংশে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন। গাজীপুরে তাঁর প্রিয় নুহাশ-পল্লীতে তাঁকে সমাহিত করা হয়

Title

দ্বৈরথ

Author

হুমায়ুন আহমেদ

Publisher

Kakoli Prokashoni

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Novel
  • বাথরুমের দরজা খােলা। লােকটা অনেকক্ষণ ধরে বাথরুমে। বিশ্রী রকমের একটা আওয়াজ আসছে। “রল-গল-গরল। একজন মানুষ এমন কুৎসিত শব্দে গার্গল করে কীভাবে ? সুন্দর শােভন কিছুই কি মানুষটার নেই ? সােমা হাই তুলল। মাত্র নটা বাজে। এর মধ্যে হাই ওঠার কথা না। কিন্তু এই মানুষটি আশেপাশে থাকলে তার হাই ওঠে। লােকটি অবশ্য বুঝতে পারে না। হাই ওঠার সঙ্গে যে অবহেলার একটা ব্যাপার আছে, তা বােধহয় সে জানেও না। জানলেও তার হয়তাে কিছু যায় আসে না। :সােমা ! | লােকটার গলার স্বর অবশ্য মিষ্টি। না, মিষ্টি বলাটা ঠিক হচ্ছে না। পুরুষদের গলা মিষ্টি হয় না। ধাতব একটা ঝংকার শুধু থাকে। এই লােকের তা আছে। শুনতে ভাল লাগে। কথা শুনলে জবাব দিতে ইচ্ছে করে। :এই সােমা ! ৪ আসছি। ও একটু লবণ দাও। ও লবণ দিয়ে কী করবে ? ও দাত ঘষব। শালা দাঁতে পেইন উঠেছে। সােমা লবণ আনতে গেল। তার কানে ঝনঝন করে বাজছে—দাঁত ঘষব । শালা দাঁতে পেইন উঠেছে। লােকটা কি ইচ্ছে করলে শালা শব্দটা বাদ দিতে পারত না ? বােধহয় না। এইসব শব্দ তার রক্তে মিশে আছে। এই ঘরে একটা সাদা রঙের বিড়াল আসে।বিড়ালটার একটা চোখ নষ্ট । তাই সে বিড়ালটাকে ডাকে কানাশালী। বিড়ালটাকে শালী না ডাকলে কি চলত না ? সােমা ঝকঝকে একটা পিরিচের ঠিক মাঝখানে খানিকটা লবণ নিল। কিছু ছড়িয়ে গিয়েছিল—সাবধানে সে একত্র করল। অসুন্দর কোনােকিছুই তার ভাল লাগে না। যদিও তাকে বাস করতে হয় অসুন্দরের মধ্যে। | লােকটা তার হাত থেকে পিরিচ নিল। লবণ কত সুন্দর করে সাজানাে
    No Specifications