Skip to Content
বাঘবিধবা

Price:

295.00 ৳


চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট
চেঙ্গিস খান : সব মানুষের সম্রাট
325.00 ৳
325.00 ৳
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে কুড়িগ্রাম
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের খোঁজে কুড়িগ্রাম
325.00 ৳
325.00 ৳

বাঘবিধবা

https://pathakshamabesh.com/web/image/product.template/26273/image_1920?unique=0fec06c

295.00 ৳ 295.0 BDT 295.00 ৳

Not Available For Sale


This combination does not exist.

Terms and Conditions
30-day money-back guarantee
Shipping: 2-3 Business Days

 Delivery Charge (Based on Location & Book Weight)

 Inside Dhaka City: Starts from Tk. 70 (Based on book weight)

 Outside Dhaka (Anywhere in Bangladesh): Starts from Tk. 150 (Weight-wise calculation applies)

 International Delivery: Charges vary by country and book weight — will be informed after order confirmation.

 3 Days Happy ReturnChange of mind is not applicable

 Multiple Payment Methods

Credit/Debit Card, bKash, Rocket, Nagad, and Cash on Delivery also available. 

মায়ের চেয়ে সুন্দর বন বেশি পছন্দ ছিলো বাবাটার। পশুর নদীর গর্জন শুনলেই তার মাথা খারাপ হয়ে যেত। মোটা চালের ভাত আর কোন্দ আলুর ঝাল ঝাল বিদঘুটে একটা তরকারী খেয়ে রোজ দুপুরে সে বের হয়ে যেত নৌকাটা নিয়ে। পশুর আর সন্ধ্যা নদীর অলিগলি চষে বেড়ানো হয়েছে তার। বনের গভীরে, একদম গহীনে কাঠের জন্য যেত বাবা। সাথে থাকত মোর্শেদ আলী। তোবড়ানো একটা টিনের ডিব্বায় মা খাবার দিয়ে দিতো। ওটা থাকতো মোর্শেদ আলীর হাতে। এক হাতে বৈঠা আরেক হাতে ডিব্বা। বাবা কুড়াল পাশে রেখে নৌকার পাটাতনে কাত হয়ে শুয়ে গান ধরতো। ‘ওরে হৈ হৈ, জোয়ান মরদ বয়সের আগে হইলো বুড়া/ নাইরে বিবির সোহাগ/আনিতে রস ছোবল দিলো শঙ্খচূড়া...।’ একটা সময় নদী ছেড়ে নৌকা ঢুকতো খালে। নালার মতন ছোট্ট খাল। সে নালার শরীর চিড়ে ধীরে ধীরে নৌকা যেত গহীনে। এতটা গহীনে যেখানে বনকর্মীরা তো দূরের কথা, জলদস্যুরাও আসতো না। শুধু বাতাসের সো সো আওয়াজ। জলের ওপর বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ আঘাত। ভুতুড়ে পরিবেশ। মোর্শেদ আলীর ভয় ধরতো। বলতো,‘বাপজান, ডর লাগে। ফিরা যাই লন।’ তার বাবা হাসতো। বলতো, ‘পুরুষ মাইনষের কইলজা হইতে হইবো পাহাড়ের মতন। এক বিঘৎ হইলে চলবো?’ শুনে মোর্শেদ আলী চুপ যেত। ছোটবেলা থেকেই তার পৌরুষত্ব টনটনা। তবে এদিকে বাঘের ভয় আছে। শুনেছে অন্যদের কাছে। বাঘ জনবসতির কাছে এসে নিত্য টেনে নিয়ে যায় ছাগল, গরু। একটা বাঘ না, অনেকগুলো বাঘ। মোর্শেদ আলীর ভয় তাই কমতো না। ইচ্ছে না থাকার পরেও তাই থেকে থেকে বলতো, ‘ও বাপজান। ফিরা যাই না।’ বাবা হাসতো। খালিই হাসতো। ধুর।

Kingkor Ahsan

কিঙ্কর আহ্সান জন্ম ১৯৮৯ সালের ৬ জুলাই কুষ্টিয়া জেলায়। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগে। সেখান থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুবাদে সক্রিয় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লেখক সংঘ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, কন্ঠশীলন, মুক্তআসর, বিল্ড বেটার বাংলাদেশসহ আরও অনেকগুলো সংগঠনের সাথে। লেখালেখির শুরু তার দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে। টানা পাঁচ বছর বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কন্ঠ, বাংলানিউজ, পরিবর্তনসহ দেশের প্রায় সব শীর্ষ দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে লেখালেখি করেছেন। ছোটগল্প লেখার পাশাপাশি কালের কন্ঠের 'বাতিঘর' পাতায় শিক্ষানবিস সাব এডিটর হিসেবে কাজ করেছেন। সহকারী স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে কাজ করেছেন 'কে হতে চায় কোটিপতি' টিভি শো'তে। পাশাপাশি 'মার্কস অলরাউন্ডার', 'হাসতে মানা', 'হ্যান্ডসাম দি আলটিমেট ম্যান পাওয়ার্ড বাই বাংলাদেশ নেভী' ও 'বাংলাদেশ সুপার লীগ-গ্রান্ড লোগো আনভেইলিং' এর প্রধান স্ক্রিপ্ট রাইটার ছিলেন। এই স্বল্প সময়ের সৃজনশীল ক্যারিয়ারেও বেশ সাড়া ফেলেছে কিঙ্কর আহ্‌সান এর বই সমগ্র। লেখালেখির পাশাপাশি ফিল্মের কাজেও জড়িয়েছেন এই লেখক। 'পাতার নৌকা', 'ক্রিং ক্রিং' ও 'জলপরানি' টেলিফিল্মের কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন অনেকের। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সাথে ডকুমেন্টারি নির্মাণের কাজ করেছেন। কাজ করেছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও বিজ্ঞাপন সংস্থায়। সবকিছুর পরও যেন লেখালেখিই কিঙ্কর আহ্‌সান এর আসল জায়গা। বইমেলায় প্রকাশিত 'আঙ্গারধানি', 'কাঠের শরীর', 'রঙিলা কিতাব', 'স্বর্ণভূমি', 'মকবরা', 'আলাদিন জিন্দাবাদ' ইত্যাদি কিঙ্কর আহ্‌সান এর বই সমূহ, যা বেশ পাঠকপ্রিয়তা লাভ করেছে।

Title

বাঘবিধবা

Author

Kingkor Ahsan

Publisher

Shikha Prokashoni

Number of Pages

128

Language

Bengali / বাংলা

Category

  • Short Story
  • First Published

    JAN 2021

    মায়ের চেয়ে সুন্দর বন বেশি পছন্দ ছিলো বাবাটার। পশুর নদীর গর্জন শুনলেই তার মাথা খারাপ হয়ে যেত। মোটা চালের ভাত আর কোন্দ আলুর ঝাল ঝাল বিদঘুটে একটা তরকারী খেয়ে রোজ দুপুরে সে বের হয়ে যেত নৌকাটা নিয়ে। পশুর আর সন্ধ্যা নদীর অলিগলি চষে বেড়ানো হয়েছে তার। বনের গভীরে, একদম গহীনে কাঠের জন্য যেত বাবা। সাথে থাকত মোর্শেদ আলী। তোবড়ানো একটা টিনের ডিব্বায় মা খাবার দিয়ে দিতো। ওটা থাকতো মোর্শেদ আলীর হাতে। এক হাতে বৈঠা আরেক হাতে ডিব্বা। বাবা কুড়াল পাশে রেখে নৌকার পাটাতনে কাত হয়ে শুয়ে গান ধরতো। ‘ওরে হৈ হৈ, জোয়ান মরদ বয়সের আগে হইলো বুড়া/ নাইরে বিবির সোহাগ/আনিতে রস ছোবল দিলো শঙ্খচূড়া...।’ একটা সময় নদী ছেড়ে নৌকা ঢুকতো খালে। নালার মতন ছোট্ট খাল। সে নালার শরীর চিড়ে ধীরে ধীরে নৌকা যেত গহীনে। এতটা গহীনে যেখানে বনকর্মীরা তো দূরের কথা, জলদস্যুরাও আসতো না। শুধু বাতাসের সো সো আওয়াজ। জলের ওপর বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ আঘাত। ভুতুড়ে পরিবেশ। মোর্শেদ আলীর ভয় ধরতো। বলতো,‘বাপজান, ডর লাগে। ফিরা যাই লন।’ তার বাবা হাসতো। বলতো, ‘পুরুষ মাইনষের কইলজা হইতে হইবো পাহাড়ের মতন। এক বিঘৎ হইলে চলবো?’ শুনে মোর্শেদ আলী চুপ যেত। ছোটবেলা থেকেই তার পৌরুষত্ব টনটনা। তবে এদিকে বাঘের ভয় আছে। শুনেছে অন্যদের কাছে। বাঘ জনবসতির কাছে এসে নিত্য টেনে নিয়ে যায় ছাগল, গরু। একটা বাঘ না, অনেকগুলো বাঘ। মোর্শেদ আলীর ভয় তাই কমতো না। ইচ্ছে না থাকার পরেও তাই থেকে থেকে বলতো, ‘ও বাপজান। ফিরা যাই না।’ বাবা হাসতো। খালিই হাসতো। ধুর।
    No Specifications